পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S S வ মান রাজারা আমাদিগকে প্রদান করিতেন তল্লাভেও আমরা বঞ্চিত। দুঃখের বিষয় এই যে রাজকর আমরা হৃদয়ের শোণিত শুষ্ক করিয়া প্রদান করি তাহার ব্যয় বিষয়ে আমাদিগের কোন প্রকার মতামত প্রদান করিবীর ক্ষমতা নাই । , জাতিত্বের পঞ্চম উপাদান ধৰ্ম্ম । যাঙ্গালী জাতির বর্তমান ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় অবস্থা অতি হীন ও শোচনীয় । বাঙ্গালী জাতি যে কয়েকটি ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ে বিভক্ত প্রায় সেই সমস্ত ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোক আপন আপন ধৰ্ম্মে শিথিল বিশ্বাস হুইয়া পড়িতেছেন। পৌরাণিক ধৰ্ম্মাবলম্বী বাঙ্গালীদিগের মধ্যে এক্ষণে অকপট বিশ্বাসী ও যথার্থ ভক্তের সংখ্যা হ্রাস হইতেছে, তাহাদিগের মধ্যে অনেকে কেবল লৌকিক রক্ষার জন্যই পুঞ্জাদি করিয়া থাকেন, কিন্তু অকপট হৃদয়ের ভক্তি বা বিশ্বাস দ্বারা উৎসাহিত হইয়া সেরূপ করেন না। বর্তমান শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকে জড়বাদী, সংশয়বাদী, কিম্ব নাস্তিক হইতেছেন । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের স্বস্থিাও সন্তোসকর নহে। অৰ্দ্ধ শতাব্দী হইল ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। কিন্তু । এই অল্পকালের মধ্যে ব্রাহ্মগণ তিনটা সম্প্রদায়ে বিভক্ত। এই তিনটি দলের মধ্যে করিয়াছেন । র্তাহারা ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে লোকের নিকট একটি বিজাতীয় স্ষ্টি-ছাড়া ধৰ্ম্ম বলিয়া প্রতিপন্ন করিতেছেন । ধৰ্ম্ম বিষয়ে ঐক্য আমাদিগের সকল উন্নতির মূল স্বরূপ। যদি ভারতবর্ষের নিরীকার-উপাসকের দল পৌরাণিক ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের ন্যায় আপনাদিগকে হিন্দু বলিয়া পরিচয় দেন তাহ ছইলে আমরা দেশের উন্নতির জন্য অনেক প্রত্যাশা করিতে পারি, কিন্তু তাহার। যদি আপনাদিগের হিন্দুত্ব অস্বীকার করিয়া স্বজাতি তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। ১• কল্প, ২ ভাগ शहै८७ °त्रिखझे इन उॉझ हऐटल छांब्रख्বর্ষের আর কি প্রকারে মঙ্গল সাধন হইতে । পারে ? জাতিত্বের ষষ্ঠ উপাদান আচার ব্যবহার । আচার ব্যবহার সম্বন্ধে বঙ্গদেশের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত হীন । সমাজের অবনতিসম্পাদক নানাদুনীতি-পোষক আচার ব্যবহার বঙ্গদেশে প্রচলিত রহিয়াছে । বালাবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি যে সকল আচার ব্যবহার বঙ্গদেশে স্থপ্রচার রহিয়াছে, তৎসমূহের উন্নতি-প্রতিরোধক ফল সকলেই অবগত আছেন । জাতিত্বের সপ্তম উপাদান পরিচ্ছদ পরিচ্ছদ বিষয়ে বাঙ্গালী জাতির অবস্থা নিতান্ত অসন্তোষজনক । প্রতোক জাতির এক একটি নির্দিষ্ট পরিচ্ছদ আছে, সে পরিচ্ছদ ভিন্ন তাহারা কদাপি অন্য প্রকার পরিচ্ছদ ব্যবস্থার করে না । কোন একটি বৃহৎ সভা যথায় বহুসংখ্যক বঙ্গবাসীর সমাগম হইয়াছে সেখানে উপস্থিত হইলে বঙ্গবাসীগণ যে কত বিবিধ সজ্জায় সজ্জিত হইতে বিলক্ষণ রূপে শিখিয়াছেন তাহা উপলব্ধি করা যায়। সে সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদিগের মধ্যে কেহ কেহ মুসলমানী, কেহ কেহ সাহেবী; দুইজন বা ইহুদী-পরিচ্ছদ-বিশিষ্ট দুইটা দল একেবারে হিন্দুনাম পরিত্যাগ । দৃষ্ট হয়েন। যদৃচ্ছাক্রমে এরূপ বিজাতীয় পরিচ্ছদ পরিধান করিলে বঙ্গিালী জাতির পরিচ্ছদরূপ যে একটি জার্তিত্বের চিহ্ন আছে তাহা কিরূপে বলা যাইতে পারে। এই রূপ বিজাতীয় পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া বাঙ্গালীরা আপনাদিগের জাতিত্ব রক্ষার হানি করেন এমত নহে, আপনাদিগের শারীরিক স্বাস্থ্যেরও অনিষ্ট করেন। আমরা বলিয়াছি স্বদেশীয় পরিচ্ছদের উৎকর্ষ সাধন করা সভ্য জাতির লক্ষণ, কিন্তু বঙ্গবাসীগণ তাঁহা না করিয়া স্বদেশীয়