পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ ১৮৪২ পরিচ্ছদ পরিত্যাগ পূর্বক অস্বাস্থ্যকর বিদেপরিচ্ছদ ব্যবহার করিতে আরম্ভ করিতেছেন । এমন কি অত্যন্ত গ্রীষ্মের সময়েও কোন কোন বাঙ্গালী সাহেবী-পরিচ্ছদ পরিধান পূর্বক গলদঘৰ্ম্ম-কলেবর হইয়। অনোর সদয়ে কৃপার উদ্রেক করেন । ফলত বাঙ্গালী জাতির পরিচ্ছদ সম্বন্ধীয় অবস্থা যে अङाख शेन ऊांश ●झेहे ८दांशशगा शहै び5び逐 | জাতিত্বের অষ্টম উপাদান ভাষা । বঙ্গভাষার বর্তমান অবস্থা অনুন্নত ও হীন । বৰ্ত্তমান বঙ্গ সাহিত্যের অধিকাংশ ইংরাজী অনুকরণে পরিপূর্ণ। • জাতীয়-ভাব-সমন্নিত বঙ্গ সাহিত্য অদ্যপি সমুদিত হয় নাই। বঙ্গীয় উপন্যাস ও কবিতা ইংরাজী অনুকরণে পরিপূর্ণ। বঙ্গসাহিত্যে যে কত গৃঢ়রূপে বিজাতীয় ভাব সকল প্রবেশ করিয়াছে তাহ বঙ্গীয় উপন্যাস ও কবিতায় ইংরাজী কোর্টসিপ প্রভূতির বর্ণন দ্বারা সপ্রমাণ হইতেছে। বঙ্গীয় গ্রন্থকারেরা যেরূপ অন্ধতার সহিত এই রূপ হীন অনুকরণ করিতেছেন তাহা দেখিয় আমরা বিস্মিত হইয়াছি। বর্তমান সময়ে আমরা যাহাকে বঙ্গসাহিত্য বলি তাছা কতকগুলি ইংরাজী ও সংস্কৃতের অনুবাদ ও কতকগুলি ইংরাজী ভাবপূর্ণ উপন্যাস ও কবিতার সমষ্টি । অনুবাদ ও ৰিজাতীয় ভাবপূর্ণ গ্রন্থ সকল যে সাহিত্যের প্রাণ, সে সাহিত্য যে কতদূর উন্নত ও শ্রেষ্ঠ তাহা বুদ্ধিমান ব্যক্তি মাত্রেই বুঝিতে পারেন । * জাতিত্বের নবম উপাদান পুরাবৃত্ত । সমগ্র ভারতবর্ষের পুরাবৃত্তের ন্যায় বঙ্গদেশের পুরাবৃত্ত তমসাচ্ছন্ন। ইউরোপীয় নানা জাতির পুরাবৃত্ত যেরূপ বিস্তুতরূপ লিখিত আছে, ভারতবর্ষ কিম্ব বঙ্গদেশের সেরূপ নাই। বাঙ্গালী জাতির পুরাবৃত্ত যতদূর জাতিত্বের উপাদান ও বাঙ্গালী জাতি SS জ্ঞাত হওয়া যায় তাহা অতি হীন । যে জাতির পুরাবৃত্ত গৌরবাস্পদ, সে জাতি অবনত হইলেও তাহার উন্নতি সাধনের যে একটি প্রকৃষ্ট উপায় আছে তাহা আমরা পূর্বপ্রস্তাবে প্রদর্শন করিয়াছি কিন্তু বাঙ্গালী জাতির পুরাবৃত্ত অতি হীন। বাঙ্গালীদিগের পূর্ববগৌরব অতি অল্পই আছে । পালবংশীয় রাজাদিগের রাজত্বকালে দেবপাল দেব আসাম হইতে কর্ণাট পর্য্যন্ত স্বীয় রাজ্য বিস্তীর করিয়াছিলেন । বঙ্গদেশীয় রাজকুমার বিজয়সিংহ পিতাকর্তৃক নির্বাসিত হইয়া অনুচর ও সহচর সহ বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করিয়া সিংহল দ্বীপ জয় করিয়াছিলেন । বঙ্গবাসীগণ বঙ্গদেশের বৌদ্ধরাজাদিগের সময়ে সমুদ্রযাত্রা করিতেন ; এবং রাজা প্রতাপাদিত্য জাহাঙ্গীর বাদ সাহের সহিত যুদ্ধ করিয়াছিলেন । বঙ্গদেশের পুরাবৃত্তে বাঙ্গালী জাতির গৌরব-জনক এই কয়েকটি ঘটনা ব্যতীত অন্য কোন ঘটনা পাওয়া যায় না। আমরা দেখিলাম যে জাতিত্বের সকল উপাদান সম্বন্ধেই বাঙ্গালী জাতির বর্তমান অবস্থা হীন ও শোচনীয় ; কোনটির সম্বন্ধেও উন্নত নহে। বাঙ্গালী জাতির এই বর্তমান হীন ও অবনত অবস্থা চিন্তা করিলে নৈরাশ্য আসিয়া আমাদের হৃদয়কে অভিভূত করে, বাঙ্গালী জাতি যে কথন একটি উন্নত ও স্থসভা জাতি বলিয়া পৃথিবীতে পরিগণিত হইতে পরিবে সে বিষয়ে আমাদিগের মনে মহান সন্দেহ উপস্থিত হয়। কিন্তু আশীর ন্যায় উৎসাহকর পদার্থ আর কিছুই নাই, বঙ্গদেশের বর্তমান অবস্থ পর্য্যালোচনা করিয়া যে সন্দেহ ও নিরাশা আমাদিগের হৃদয় ও মনকে অধিকার করে তাহা দূর করিয়া অাশা অবলম্বন পূর্বক আমাদিগকে স্বজাতির উন্নতি সাধনাৰ্থ দৃঢ়সংকল্প ও দৃঢ়