পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भत्रिन १४५२ তাজিন চীবর পরিধান করে, দীর্ঘ জটা নখ । শ্মশ্র রক্ষা করে, শাক শ্যাম গদ্দল মাত্র ভক্ষণ করিয়া শুস্কাঙ্গ হয় এবং অবশেষে গেব্রিত পর্য্যন্ত অবলম্বন করে, সে কামনা তাহাদের এই যে, তাহার এই জগত মধ্যে শ্রেষ্ঠ লোকপাল, ইন্দ্র, বরুণ বা ঘাম্য পদ প্রাপ্ত হইয়। জন্ম গ্রহণ করিবে । ধ্যানপর হইয়াও লোকে ব্রহ্মলোকে সুখের অtকাঙক্ষ করিয় থাকে । কিন্তু দেখুন, দেবাধিপতি ইন্দ্রদেবের স্বৰ্গ-রাজ্য-সদৃশ অপিনার এই বরিষ্ঠ নবরাজা, এই গিরি-সদৃশ উচ্চ অট্টালিকা, বৈজয়ন্ত সম ঐ তারাম উ দ্যান, ঐ স্থখাকর স্ত্রী-তাগার মামূহ তান-লয়গীতলুত্যে পুর্ণ। তাতএব হে সুরঙ্গ, এই সমস্ত দেব-ইসিত ভোগ্য বস্তু এই খানে থাকিয়। পরিভোগ করুন, গৃহ পরিত্যাগ করিলেন না । সংযুক্ত বোধিসত্ব কহিলেন, ছন্দক, পুৰ্ব্ব জন্মে কম-মোহ মুগ্ধ হইয় যে সন্ধনাবরুদ্ধন তাড়ন তর্জনদি শত শত দুঃখ ক্লেশ সহ্য করিয়া ও নিৰ্ব্বিগ্ন হইতে পারি নাই তাহ। শ্রবণ কর । পূর্বে আমি সংস্কৃত-মানস হইয়াও প্রমোদ-বশে মোহাকুল হইয়া দৃষ্টি-জালাবৃত অন্ধভূত হইয়াছিলাম। অতএব এই যে প্রমোদ ও দৃষ্টি জালাদি বন্ধন সকল ইহারা আত্ম সমস্ত । বুদ্ধদেব চরিত | | সংজ্ঞা-নাশক বেদনা-মূল-বিশিষ্ট । এই ; অজ্ঞান-ধৰ্ম্ম-জাত বিষয়ভোগশীলতা চপলজলদ-জাল-সন্তু ত-বিদ্যুৎ-প্রভা-সদৃশ অচিরস্থায়ী, তুষারবিন্দুসম তুচ্ছ এবং অসার । এই সমস্তই অনাত্ম শূন্য-স্বভাব মাত্র । অতএব হে ছন্দক, বিষয়াকর্ষণে আমার মন কিছুতেই আকৰ্ষিত মহে । তুমি এক্ষণে আমার সমলঙ্কত অশ্ব জানয়ন কর । আমি পূর্বেই চিন্তা করিয়া স্থির করিয়াছি যে পূর্ণ মঙ্গলের নিমিত্ত সকল পৃথিবীর সকল సె ধৰ্ম্মকে পরাভব করিয়া অামি সৰ্ব্বপৰ্ম্মেশ্বর ধৰ্ম্মরাজ মুনি হইব । ছন্দ ক কহিলেন, হে শাক্যপুঙ্গব, মরি, অম্বুজ লোচনা এই যে রমণি দল নিদ্রীয় কাতর বদনে বিছাং বার স্ফরিত ললিত স্পরশি ত শ্রীতিমূল নেত্ৰ মনোহর, হের নকি ? হের না কি সুঘোষ পণব চকোর নদিত মত মৃদঙ্গ মধুব মোহন মুরলী বেন্তু যায় গড় গড়ি কিন্নরী ভবন যথা তব রাজপুর ? কোথায় মাইতে চt ও না করি বিহার ? এই সব গন্ধ মাল্য রচিত চম্পকে থাকে থাকে গাথা তায় কুমুদ কুকুম পূরিত ব্যঞ্জন অন্ন যতনে সাধিত শকরার জাত নান সুগন্ধ পানীয় কেমনে উপেক্ষ যাহা দেবতা বাঞ্ছিত । স্বরঞ্জিত কাশীজাত বস্ত্ৰ মনোহর উষ্ম অনুলেপ এই শীতে স্থখ প্রদ উষ্মকালে এই সব অগুরু চন্দন, কামনার দ্রব্য সব ভুঞ্জ রাজস্থত । যৌবনের মূৰ্ত্তিমী কান্তি মনোহর করেন। করেন। দেব রথ বিসর্জন গভীর দুঃখের নীরে : আহক বাৰ্দ্ধক্য করি ও সন্ন্যাস কিবা য আছে মনন । বে:ধিসত্ব কহিলেন, কহিলে ষে সব তুমি আমীরে ছন্দক রূপ রস সব সুখ দ্রব্য মনোহর কত কোটি কল্প হতে ভুঞ্জিতেছি তাহ। কিন্তু কোই তৃপ্তি তায় ঘটিল আমার ! জনমিয়ে রাজপুত্ৰ কত কত বার চারি দ্বীপে রাজচক্রবর্তী হইয়াছি ভুঞ্জিয়াছি ধন রত্বে রমণী বেষ্টিত দেবের দুর্লভ পদ কত লভিয়াছি ।