পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহা আর্য্য-সাধক-সমাজে পরিত্যাগ করি বার বিধি পরিদৃষ্ট হইয়া থাকে। । আসন-পৰ্য্যায়ে ঋষিগণ কৃষ্ণজিনকেই সর্বোৎকৃষ্ট আসনরূপে সৰ্ব্ব প্রথমে গ্রহণ করিয়াছেন । বস্তুত ইহার তুল্য সুদৃশ্য স্কুল এবং চিত্তপ্রফুল্লকর স্বভাবজাত উৎ কৃষ্ট আসন আর প্রায়ই পরিদৃষ্ট হয় না। ইহাতে উপবেশন করা দূরে থাকুক, দেখিব৷ যাত্রই হৃদয়ে একটী অতুলন স্ফৰ্ত্তির সঞ্চার হয় । উপবেশন করিলে তো তাপ তাড়ি তের আনুকূল্য নিবন্ধন চিত্ত শান্ত সমাহিত হইয়া সাধকের জ্ঞান-প্রেম-শিখা অবাতকম্পিত দীপের ন্যtয় ঈশ্বরের অভিমুখে উথিত করিয়া দেয় । কৃষ্ণজিন নামে যে সকল মৃগচৰ্ম্ম সচরাচর বিক্রীত হইয়া থাকে, প্রকৃত কৃঞ্চাজিনের তুলনায় তাহ কিছুই । নহে, নিতান্ত অপদাৰ্থ মাত্র । বাস্ত্ৰ চৰ্ম্ম অসনের দ্বিতীয় পৰ্য্যায়ে গৃহীত হুইয়াছে। ইহ। উৎকৃষ্ট জাতীয় হইলেই “কৃষ্ণজিনে জ্ঞানসিদ্ধি: শ্রমোক্ষেী বাস্ত্ৰচৰ্ম্মণি” তন্ত্রসাব সাধক, সাধন সমাধান বিষয়ে বস্তুতই এই ফলশ্রুতির প্রত্যক্ষ পুরস্কার লাভ । করিতে পারেন । ভারতের উত্তর পঞ্চিমাঞ্চলীয় রোমজ আসন প্রাগুক্ত প্রাকৃতিক আসনের অাদশেই নিৰ্ম্মিত হইয় থাকে । এতদেশীয় রোমজ আসন কোমল, স্থল এবং তদুপরি উপবেশন করিলে বিশেষ স্বচ্ছন্দত অনুভূত श्ञ । भाद्रौब्रिक उडीश शबकिउ श्ड़ेब्र থাকে । দীর্ঘকাল উপবেশনেও কোন কষ্ট রোধ হয় না, অথচ চিত্ত-একাগ্রতা-সাধন বিষয়ে বিশেষ অনুকূল। অতএব কৃষ্ণজিন ও ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্ম অভাবে সৰ্ব্বতোভাবে এই विश्राननिक <द्रायब थागम वादशद्र कब्र সাধক্ষের" পক্ষে "ঞ্জেয়ঃকল্প । কাষ্ঠসিনে উপবেশন দ্বারা যেরূপ কষ্ট ক্লেশ উপস্থিত হয়, ইহাতে অসীন হইলে তাদৃশ কোন যন্ত্রণ ভোগেরই সম্ভাবনা থাকে না, প্রত্যুত প্রভূত সচ্ছন্দতাই অনুভূত হইয়া থাকে । শরীর সুস্থ এবং মন সুস্থির হওয়াতে সাধক নিরুদ্বেগে দীর্ঘকাল ব্রহ্মজ্ঞানানুশীলন এবং পরব্রহ্মে আত্মীর সমাধি সাধনে কৃতকার্য্য হইতে পারেন এখন অনেক উপাসনাস্থলে এতদেশীয় রোমজ আসনের পরিবর্তে সুদণ্য করে পেট অসন ব্যবঙ্গত হইতে দেখা যায় । সভ্যতর জনপদে তাহা গুহের তল-শয্যা ব: আবরণ জন্যই ব্যবহার হইয় থাকে । তই তই কার্য্য সাধন পক্ষে তাহ অতি উৎকৃষ্ট উপদান । তাহ যেমন কঠিন, তেমনি দৃঢ় এবং সুদৃশ্য ও দীর্ঘকালস্থায়ী, কিন্তু উপসনা পক্ষে কোন রূপেই শ্রেয়স্কর নহে । তাহা যেরূপ কঠিন ও উগ্র উপকরণে নিস্মিত হইয় থাকে, তাহাতে কোন সাধকই দীর্ঘ কাল সচ্ছন্দরূপে উপবিষ্ট থাকিয়া ঈশ্বরের ধ্যান ধরণীয় চিন্তু সন্নিবেশ করিতে সমর্থ হয়েন না । কাষ্ঠাসনের ন্যায় অতাল্প কাল মধ্যেই চিত্ত বিক্ষেপ উপস্থিত করিয়া থাকে । অতএব উপাসনা-কালে তাদৃশ আসনে উপবেশন কর। কৰ্ত্তব্য নহে । সুপরিস্কৃত মৰ্ম্মর প্রস্তরদি দেখিতে অতি সুন্দর ও পবিত্র কিন্তু তাহা কাষ্ঠাসন অপেক্ষীও অধিকতর কঠিন । তাছাতে উপবেশন করিলে বিষমতর কষ্ট হইবার সম্ভাবনা অর্থাৎ রক্ত চলাচল অবরুদ্ধ হইয়া অসহ্য ক্লেশ ৎপাদন করত শরীরের সচ্ছন্দতা এবং মনঃऐश्री विमझे शहेम्ना यांच्च ऊख्छना “•iांशां८१ ব্যাধি পীড়িতঃ” (তন্ত্রসার) এই কল্যাণকর উপদেশ দ্বারা সাধককে তা ব্যবহারে নিবৃত্ত হইতে সঙ্কেত করিয়া গিয়াছেন। আর্ঘ্য ঋষিদিগের স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান বিষয়ে যে কি অসামান্য 전 1 ·