পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'(N) লেন । কণাদ, কাপিল, শৈব, শাক্ত, বৈঞ্চব প্রভৃতি মত নিরস্ত হইল । দ্বৈত মতাবলস্বীদিগের পক্ষ এককালে বিলীন হইয়া গেল। শঙ্করাচার্য যথাস্থখে ইতস্ততঃ fবচরণ করতে লাগিলেন । একদিন জনৈক দুষ্ট কপালিক তাহার সমীপে উপস্থিত হইয়। সাতিশয় ভক্তি সহকারে ও বিনয়াবনত ভাবে তাছাকে বন্দনা করিল। তৎপরে সে ব্যক্তি র্ত্যহকে নিবেদন করিল যে মহাদেব তাহার প্রতি সস্তুষ্ট হইয়। তাছাকে এই বর দিয়াছেন যে “তুমি কোন সর্বজ্ঞ ব। রাজার মস্তক উপচার দিতে পারিলে সিদ্ধ হইবে” । সে শঙ্করাচার্যোর মস্তক প্রার্থনা করিল এবং তিনি ও তাহা দিতে স্বীকার ইলেন । সে দুষ্ট কাপালিক তা তত্ত্ববোধনী পত্রিক । হার ইষ্টসাধনাৰ্থ একদা শূলহস্তে শঙ্করের : নিকটে অtfসল এবং তাছাকে বধ করিবার উদ্যোগ করিতেছিল, এমন সময়ে নৃসিংহ- , দেব আবির্ভূত হুইয়। তাহাকে বিনাশ কীরলেন । এইটি সম্পূর্ণ নূতন উপাখানি । শঙ্করাচার্য্য তীর্থ পৰ্য্যটনে নির্গত হইয়। হরিহরালয়ের পথে দেখিলেন কোন দম্পতী মুত পুত্র ক্রোড়ে করিয়া ভয়ানক বিলাপ শিশুর জীবনদান করিলেন । তথ। হইতে ই বলীমে ত্রে গমন করিলেন এবং করিয়! তাতার পিতার প্রার্থমানুসারে সেই পুত্রকে জিজ্ঞাসা করিলেন “শিশো ! তুমি কে ? কি নিমি" এরূপ জড় হইয়াছ ? ” বালক বেদান্তীর্থগ্রথিষ্ঠ বাক্যে তাঁহার উত্তর তদর্শনে দয়ার্টু হইয়। সেই । অবশেষে গুরুর দর্শনাভিলাষে কেরলদেশে গমন করিলেন । সেস্থামে কোন ব্রাহ্মণের এক জড় পুত্র দর্শন চার্য্যের মুখ হুইতে র্তাহার পঞ্চাস্য চরণাটক • р 曝 f .* : F, - " i * * * , ' , !'; . . " 행 ye कछ, 越 雷帽 . l স্থিত হইয়া তথায় এক শোভন প্রাসাদ"নিস্মাণ এবং শারদ। দেবীর মূৰ্ত্তি সংস্থাপন করিলেন । এই স্থলে গিরি নামে জনৈক গুরুভক্ত ও গুরুপ্রিয় শিষ্য আচার্ষ্যের শুশ্রীষা করিতেন । ইনিই আনন্দগিরি নামে প্রথিত । ইনি গুরুর কৃপাবশে অশেষশাস্ত্র-কুশল হয়েন । এই সময়ে পদ্মপাদ, হস্তীমলক, সুরেশ্বর এবং গিরি এই চারিক্তন শঙ্করাচার্যোর প্রধান শিমারাপে বিখ্যাত্ত ছয়েন । ইহারা সকলেই শাঙ্কপভাষ্যের উপর টীকা রচনা করেন । পদ্মপাদবিরচিত টীকার নাম পঞ্চাসাচরণ বা পঞ্চপাদিক। টীকা । আনন্দগিরির টীকা স্বনাম-পাতি । সুরেশ্বর তৈত্তিরীয় ও বৃহদারণ্যক উপনিষদের ভাষ্যের টীকা রচনা করেন । হস্তামলকের টীকাও নিজ নামে বিখ্যাত । তদনন্তর শঙ্করাচার্ষ্য স্বভবনে মাতার চর ণ দর্শনার্থ গমন করিলেন এবং তাঁহাকে বিষ্ণুলোকে দিব্য শরীরে প্রেরণ কfরলেন । তৎপরে মতার পাঞ্চ ভৌতিক দেহ অগ্নি দ্বারা ভস্মসাৎ করিলেন । ইতিমধ্যে পদ্মপাদ তীর্থ-সন্দর্শন-কামনায় বহির্গত হইয়। কালম্ভীশ্বর, কাঞ্চীক্ষেত্র, পুণ্ডরীকপূব, রামেশ্বর প্রভৃতি তীর্থে ভ্রমণ করিয়া এই স্থানে তিনি শঙ্কর (যাহা ইতিপূৰ্ব্বে অগ্নি দগ্ধ হইয়াছিল) অবিকল সম্পূর্ণ লিখিয়া লয়েন। আর রাজশেখর নৃপতি স্বপ্রণীত নাটকত্রী (ইতিপূর্বে অগ্নি ষোগে ভস্মীভূত) শঙ্করাচার্য্যের মুখ হইতে সম্পূর্ণ উদ্ধার করেন। ধন্য স্মৃতিশক্তি ধন্য মেধা । . . . . দ্বিতীয়তঃ। শঙ্করাচার্ষের দিগ্বিজয় বিষয়ে মতভেদ 1 এত্তক্ষণ शाश बना તમ প্রদান করিল । ইহতে সকলই চমৎকৃত হইলেন এবং শিশুর পি ও শিশুকে শঙ্করাচার্ষোর হস্তে সমর্পণ করিলেন । ইহার নাম হস্তমিলক হইল । তদনন্তর আচাৰ্য্য শিষ্যগণ সমভিব্যাহারে শৃঙ্গগিরিতে সমুপ