পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cwfs swes ত্মাকে আশী-আনন্দে পুর্ণ করিতে থাকে। তিনি অস্তরে বাহিরে ঈশ্বরের জাজ্জ্বল্যতর প্রকাশ সন্দর্শন করিয়া, পাপ-তাপ ভয়-শোক হইতে মুক্ত হইয়। পবিত্র জীবন বহন করিতে থাকেন । অতএব কদাচ ব্রহ্ম-লাভের এই মহত্তর সাধন-অঙ্গের প্রতি উপেক্ষা ও অনাদর করিবে না ; সৰ্ব্বদ নিরলস হই য়), তন্মন—এক গ্রমনা হ চয় ঈশ্বরের জ্ঞান শক্তি মহিম। মমন করিবে । নিদিধ্যাসন । স্ব। মুন্ডুতেঃ সশস্ত্রম গুরোশৈ বৈপ লাক্যত । BBSBYBB BBSBSS BBSJKSBBB BBB S যোগবশিষ্ঠ । ব্রহ্ম-বোধক স্থশাস্ত্র সনদর্শন এবং গুরুবাক্য শ্রবণ, যিনি মনন দ্বার। একতা সম্পাদম-পুৰ্ব্বক নিরস্তর ব্রহ্মজ্ঞান অভ iাস করেন, তিনিই পরমাত্মাকে দর্শন করেন । ঈশ্বরের সত্ত্বাতে নিঃসংশয় হওয়ার নামই নিদি ধ্যাসন । বাহ্য জগতে র্তাহাব জ্ঞান শক্তি উপলব্ধি করিয়া আচার্য্য-সন্নিধানে তাহার মাহাত্মা শ্রবণ করিয়া সেই সকল পুনঃ পুনঃ আলোচনা পূর্বক মনন করিলে তাহাতে অটল নির্ভর, ঐকান্তিক নিষ্ঠ উপস্থিত হয় এবং তাছার সত্ত্বাতে নিঃংশয় হওয়া যায়। যিনি আমারদের স্রষ্ট। পাতা ও আশ্রয়-দাতা, যিনি ইহকাল পরকালের একমাত্র রক্ষক, যিনি আমারদের সম্পদের সহায়, বিপদের কাণ্ডারী, যিনি পাপের শাস্তা, পুণ্যের পুরস্কর্ত, র্যাহাকে অবলম্বন করিয়া এখানে বিচরণ করিতেছি, যাহার আশ্রয়ে থাকিয়া অনন্ত কাল জ্ঞান८८rय. लांखि-भत्रएल छेप्रउ रुईग्र बैंशिंद्र নিদিধ্যাসন | | | ১৩৫ সাধন সকলই নিষ্ফল । ঈশ্বরের সত্ত্বাতে নিঃসংশয় হওয়াই সাধন তপস্যার শেষ পুরস্কার । অনেকেই বিশ্ব-কৌশলে তঁহার জ্ঞানশক্তি প্রত্যক্ষ সন্দর্শন করেন, অনেকেই বিষয়-বিশেষে তাহার মাহাত্মা কীৰ্ত্তন করিয়া থাকেন, বহুলোকেই তাহার জগৎক্রিয়। পর্য্যালোচনা-পূর্বক তাহার মনন করেন কিন্তু তাছার সত্য-সুন্দর মঙ্গল স্বরূপে অকৃত্ৰিম আন্তরিক নির্ভর— তাব স্বরূপসত্ত্বাতে অটল-বিশ্বাস অনেকেরই দৃষ্ট হয ন। যখন সম্পদের সুখাবহ শরীর মন শীতল হইতে থাকে; যখন লোক স্বচ্ছন রূপে অবাধে স্বাস্থ্য সুখ উপভোগ করে, ঘথম প্রাকৃতিক নিরুপদ্রল তাবস্থায় অবস্থান করিতে থাকে, তখন অনেকেই ঈশ্বরের মঙ্গল স্বরূপের ব্যাখ্যা করে । কিন্তু যখন ভৌতিক বিপ্লবে দেশ-বিশেয উচ্ছিন্ন হয়, যখন সমূদ্র উচ্ছাসে বা আগ্নেয় গিরির অগ্নি উদণরণে নগর গ্রাম বিনষ্ট হইতে থাকে, যখন মহামারী প্রভৃতি উপস্থিত হইয়া লোকের স্বাস্থ্য সম্পদ গ্রাস করিতে আরম্ভ করে, যখন নব সুষ্ঠাগ্য উপস্থিত হইয়া লোকের তাশ-যষ্টি ভগ্ন করিয়া দেয়, তখন কত ক্ষীণ বিশ্বাসী মনুষ্যকে তাহীর সত্ত্ব স্বরূপে সংশয় প্রকাশ করিতে দেখা যায় । মনুষ্যের পক্ষে ইহ সামান্য কলঙ্ক নহে ! মনুষ্য আপনার পীপ-মোহ – আপনার ক্ষুদ্রত্ব লঘুত্ব এবং অপূর্ণত্ব আপনি প্রতীতি করিতে ন পারিয়া আপনার অন্ধতা অাপনি না বুঝিয়া সেই মহান ঈশ্বরে—সেই অনন্ত-মঙ্গল-স্বরূপে দোষারোপ করে। ইহু। কেবল শিক্ষা-সাধনেরই দোষ । পিতা মাতার আকৃত্রিম স্নেহ যখন সস্তা ছি?ে সেবা করিব ; তার সত্ত্বাতে যদি নিঃসংশয় নের স্বম্পষ্টরূপে হৃদয়ঙ্গম হয়, তখন খহইতে না পারি, তবে বিদ্যা-বুদ্ধি, শিক্ষা- দুঃখে, সম্পদ-বিপদে, স্নেহ-তাড়নাও তাহার