পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भ?ष ४५क९ নৈমিষারণ্যেং অগস্ত্যাশ্রম, কলিঙ্গাদি দেশ, প্রভাসতীর্থ, মন্দর ও গন্ধমাদন পৰ্ব্বত, নারায়ণ শ্ৰম, অষ্টি ষেণাশ্রম প্রভৃতি নানাবিধ স্থানে ভ্রমণ করিয়া পুনৰ্ব্বার দ্বৈতবনে প্রবেশ করিলেন । দ্বৈতবনে বাসকালে দুর্যোধন প্রভৃতি কৌরবগণ বিহারার্থে এবং স্বসমৃদ্ধি প্রদর্শন করিয়া পগুবদিগকে পরিতাপিত করিবার নিমিত্ত তথায় গমন করিল । দ্বৈতবনে পৰ্য্যটন-কালে উহারা গন্ধৰ্ব্বদিগের সহিত বিবাদ করিয়া গন্ধৰ্ব্বগণ কর্তৃক বদ্ধ ও ইয়াছিল। যুধিষ্ঠিরের আদেশে ভীমাদি বীৰগণ গন্ধৰ্ব্বদিগকে পরাজয় করিয়া কোঁর লদি গকে মোচন করেন । পাণ্ডবেরা পুনৰ্ব্বার দ্বৈতবন হইতে কামাক বনে গমন করিলেন । কামাকে তাহার। মৃগয়া করিতে বহির্গত হইলে সিন্ধুপতি জয়দ্ৰথ দ্রৌপদীকে হরণ করিয়া লইয়া যান; কিন্তু পাণ্ডবেরা তাহার অনুসরণ করিয়া ভঁাহার সহিত যুদ্ধ আরম্ভ করিলে, জয়দ্ৰথ দ্রৌপদীকে ভাগ করিয়া পলায়ন করে এবং যুধিষ্ঠির দেীপদীকে লইয়া আশ্রমে প্রবেশ করেন । ক:ম্যকে কিছু দিন বাস করিয়া পাণ্ডবেরা পুনর্ববর দ্বৈতবনে প্রস্থান করেন । দ্বৈতবনে মৃগয়া করিয়৷ পণ্ডিবেরা তথায় বাস ক রিতে লাগিলেন । এক দিন কোন ব্রাহ্মণের । অরণী সহিত মস্থানদণ্ড হরণ করিয়া একটি মৃগ পলায়ন করে । পঞ্চভ্রাতা এই মৃগের অন্বেষণে গমন করিলেন। পরে যুধিষ্ঠির ক্ষুৎপিপাসায় কাতর হইয়া নকুলকে জল আনয়ন করিতে বলিলেন ৷ নকুল একটি সরোবর দেখিয় তাহার জল পান করিতে উদ্যত হইতেছেন এমন সময়ে এই দৈবৰাণী হইল “ হে তাত ! আমার নিয়ম আছে যে, যে ব্যক্তি আমার প্রশ্নের উত্তর () কুরুক্ষেত্রের লম্বিস্থিত। প্রভাসতীর্থ গুর্জর এাদেশের সোমতীর্থ। । যুধিষ্ঠিরের সংক্ষিপ্ত জীবনী । 6.מלל দানে সমর্থ হইবে সেই ব্যক্তিই এই সরোবরের জল পান করিবে। অতএব তুমি সাহসিক কার্য্য করিও না । অগ্রে আমার প্রশ্নের উত্তর দান কর, পরে জল পান করিবে।” নকুল শূন্যস্থিত বকের এই বাক্য অগ্রাহ্য করিয়া যেমন জলপান করিতে উদ্যত হইলেন অমনি ভূমিতে পতিত হইয়া পঞ্চস্তু প্রাপ্ত হইলেন । তদনন্তর নকুলের বিলম্ব দেখিয়া যুধিষ্ঠির সহদেবকে পাঠাইলেন, কিন্তু সহদেবেরও পূর্বোক্ত দশ দটিল । তৎপরে অর্জন ও তৎপশ্চাৎ ভীমসেন উক্ত সরোবরে আসিয়৷ পূর্বোক্ত প্রকারে পঞ্চস্তু প্রাপ্ত হইলেন । তখন যুধিষ্ঠির ভ্রাতৃচতুষ্টয়ের অনাগমনে অত্যন্ত দুঃখিত হইয়। স্বয়ং সেই সরোবর-তীরে উপস্থিত হইলেম । তিনি তথায় উপনীত হইয়া দেখিলেন যে র্তাহার ভ্রাতৃচতুষ্টয় যুগন্তে লোকপালচতুষ্টয়ের ন্যায় পতিত রহিয়াছেন । এই ব্যাপার দর্শনে যুধিষ্ঠির অত্যন্ত সন্তপ্ত হইয়া বিলাপ ও পরিতাপ করিলেন। তৎপরে নান প্রকার আশঙ্ক। র্তাহার মনোমধ্যে উদিত হইল । অবশেষে ভাবিলেন বোধ হয় দুৰ্য্যোধন আমাদিগের উপাংশু-বধ-সাধনার্থ এই সরোবরের জল বিস-মিশ্রিত করিয়া রাখিয়াছে । পরে তিনি তৎপরীক্ষার নিমিত্ত ঐ জল পান করিতে উদ্যত হইলেন । অন্ত রীক্ষ হইতে তৎক্ষণাৎ পূৰ্ব্ববং বাকা উচ্চরিত হইল। তখন যুধিষ্ঠির উদ্ধে দৃষ্টি নিক্ষেপ পূর্বক দেখিতে পাইলেন যে একটি বক বলিতেছে “আমি তোমার ভ্রাতৃগণকে বিনাশ করিয়াছি, তুমি পঞ্চম ব্যক্তি, অতএব আমার প্রশ্ন সমূহের উত্তর দান করিয়া জল পান কর । অনস্তুর যুধিষ্ঠির সাতিশয় বিস্ময়াপন্ন হইয়া সেইবেককে প্রশ্ন জিজ্ঞাস করিতে বলিলেন J বক ক্রমান্বয়ে পঞ্চত্রিংশৎটি