পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Չ Տ8 উঠে । সমুদায় নর নারী সেই এক অষ্টর স্বস্ট; এক পিতার পুত্র কন্যা হইয়াও ঘে এখানে বিবাদ বিসম্বাদে, দ্বন্দু বিদ্বেষে ছিন্ন ভিন্ন হইয়া রহিয়াছে, সেই লক্ষ্য-ভ্রংশই তাহার একমাত্র কারণ ! সেই অতুলন আদর্শ পরব্রহ্মের ঐশ্বরিক ভাবের অনুকরণে সাদ সমগ্র মনুষা জাতি যত্নবান হয়, তাহ ছইলে তাহারা নিশ্চয়ই উচ্চ দেবপ্রকৃতি লাভ করিতে পারে । আপনাদিগের লঘুতা ক্ষুদ্র তা পরিত্যাগ করিয়া যদি সেই মহান ভুমা ঈশ্বরের বশবৰ্ত্তী হয়, তাহা হইলে সংসার চাইতে ধৰ্ম্ম-জনিত বিবাদ কলহু অনৈক্য অসদ্ভাব এককালে তিরোহিত হইয়া যায । অচির কাল মধ্যেই এই যন্ত্যলোকে অপার শান্তি অচ্ছেদ্য ভ্রাতৃভাব রাজত্ব করিতে থাকে । সমুদায় মনুষ্য জাতি এ ককালে ঈশ্বরের নিজস্ব পরিবার রূপে পরিণত হয় । সেই লক্ষ্য হার হইয়াই মনুষ্য-সমাজের এই শোচনীয় দুৰ্গতি দুর্দশ উপস্থিত হইয়াছে । এক আলেখ্য দৃন্টে সহক্স ব্যক্তি যদি অনুলিপি করিতে প্রবৃত্ত হয়, তাহ হইলে পরম্পর সকলেরই মধ্যে যেমন একতা রক্ষা পায়, তেমনি সমুদায় মলুনাজাতি যদি সেই এক অভ্রান্তু ঈশ্বরকে আদর্শ করিয়া শিক্ষিত চয়, তাহা হইলে সকলেরই লক্ষ সকলেরই উদ্দেশ্য এক হইলারই সম্ভাবনা ৷ ধৰ্ম্মের মধ্যে ক্ষুদ্র আদর্শ, ক্ষুদ্র ভাপ প্রবিষ্ট হু ওয়াতেই মৰ্ত্তালোকে সেই মহান লক্ষ্য সংসিদ্ধি পক্ষে বিমমতব বিড়ম্বন উপস্থিত হইয়াছে । অশান্তি কলহে চারিদিক পূর্ণ হইতেছে । সেই ঈশ্বরের প্রতি প্রত্যাবৰ্ত্তন না করিলে আর মনুষ্য-সমাজের নিস্তার নাই । সেই মহান আদর্শের অমুবন্ত ন হইলে আর ঐক্যস্থলে উপনীত হইবার আশা নাই । তিনিই কেবল একাকী সকলের কামনা পূর্ণ করিতে পারেন, তিনিই তত্ত্ববোধিনী কেরল মনুষ্যজাতির জ্ঞান পৃহা প্রেশ্নশ্বস্থা চরিতার্থ করিতে সমর্থ হয়েন । আtশ্বরী কেবল তাহাকে ছাড়িয়াই মধুলিঙ্গ, মক্ষিকার নায় উচ্চ কলরবে দলে দলে ইতস্তত পরিভ্রমণ করিতেছি । সেই সুধার আকর প্রেয়ের প্রস্রবণ ঈশ্বরকে প্রাপ্ত হইলেই মধুচক্রে উপবিষ্ট মক্ষিকার নায় শুদ্ধভাবে তাহার অমৃতপানে নিযুক্ত হইব । তখনই বিবাদ বিতণ্ডা,দ্বন্দ, কলহ নিঃশেষিত হইবে। তখন র্তাহাকে পাইয়া—অন্তর বাহিরে তাহার, উজ্জ্বল সত্তা প্রতীতি করিয়া, তাহার জ্ঞান প্রেম মঙ্গল ভাবের উজ্জ্বল কিরণে আমারদের ক্ষুদ্রত। মলিনতা দন্ত মৎসরত। সকলই তিরোচিত হইয়া যাইবে । অতএব দেখ, এই উৎসব-ক্ষেত্রে অল্প ক্ষণের জন্য সকলে সেই মছ'ন আদর্শ ঈশ্ব-. রের প্রতি অন্তশ্চক্ষু উন্মীলিত করিয়াছেন, মর্ত্যে কি অপূৰ্ব্ব মনোহর দৃশ্যের অভিনয় হইতেছে । দেবতারাও এ দৃশ্য সন্দর্শন করিবার জন্য অাশ করেন । অামারদের মধ্যে সম্পদ সৌভাগ্যের, বিদ্যা বুদ্ধির, রুচি প্রবৃত্ত্বির বৈষম্য থাকিলে ৪ দেগ লক্ষোর গুণে কেমন সকলে ঐক্যস্থলে উপনীত হইয়াছি । সকলেরই কামন—সকলেরই প্রার্থন এথল সেই একেরই জন্য । আমরা ঘদি সমবেত চেষ্টার দ্বার। ক্রমে ইহার আকার আয়তন বিস্তার করত নগর পল্লী দেশ বিদেশ অধিকার করিতে পারি, তাহা হইলে অচিরকাল মধ্যেই পৃথিবী ভূ-স্বৰ্গ হইয় উঠে । ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম এই পবিত্র ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম সকল নর নারীকে সেই একেরই শরণাপন্ন করিয়া দিবার জনাই আবিভূত হইয়াছেন । ঈশ্বরের বিচ্ছিন্ন পুত্র কন্যা সকলকে এক পরিবারে পরিণত করিয়া দিবাৰু নিমিত্তই মর্ত্যে এই অতুলন সার্বভৌমিক অসাম্প্রদায়িক আনন্দ উৎসব অনিয়ন করিয়াছেন । অতএব