পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৩ * পাইব নব বল, মুড়িব অজ্ঞজল, চরণ ধরিয়ে পুরবে কামনা । এবারে যেরূপ জনতা হয় তদষ্টে বস্তু তই আশঙ্ক। হুইয়াছিল, যে বুঝি লোকের কোলাহলে এই বহুদিনের প্রার্থিত উৎসবের কিছু ব্যাঘাত ঘটে কিন্তু ঈশ্বরের কৃপায় তাহা হয় নাই । এত অধিক সংখ্য লোক ও উপাসনার সময় চিত্রাপিতের ন্যায় নীরব ছিলেন । ধন্য ঈশ্বর, যে সময় তুমি এই লঙ্গদেশে তোমার ধৰ্ম্ম পাঠাইয় ছিলে তখনকার সেই দুর্ভেদ্য অন্ধকার দেখিয়া মনে ভয় হইয়াছিল যে বুঝি এদেশে এই ধৰ্ম্মবীজ ফলবৎ হইবে না, কিন্তু এখন অসংখ্য লোক ইহার শীতল আশ্রয় পাইবার জন্য লীলায়িত । ইহা দেখিলে এবং মনে হইলে আমরা হর্ষে উৎফুল্ল হই । তুমি অনন্ত, তোমার উপাসক-সংখ্যা অনন্ত হউক এবং গৃহে গৃহে এইরূপ উৎসব প্রবর্তিত হউক । अमखुद्र मज्र) उन्न श्हेल । কেরা কোলাহল সহকারে রজনীর নিস্তব্ধত। দূর করিয়া স্বস্ব স্থানে প্রস্থান করিলেন । ( প্রাপ্ত ) স্ত্রীশিক্ষা এবং স্ত্রীবিদ্যালয়ে স্ত্রীনিবাস । যখন এদেশে স্ত্রীবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় তখন মনে হইয়াছিল এত দিনের পর বুঝি আমাদিগের প্রকৃত উন্নতির 어각 প্রমুক্ত হইল। কারণ স্ত্রী জাতি মনুষ্য-সমাজের অ’ দ্বাঙ্গ । তাহীদের উন্নতিতে মনুষ্য-সমাজেরই অৰ্দ্ধাঙ্গ পুষ্ট হইতেছে। সুতরাং সেই শুভ অনুষ্ঠান এহুদেশীয়ের সদর দৃষ্টিতে দেখিয়াছিলেন । কিন্তু এখন শিক্ষাপ্রণালীর দোষে সেই প্রাথিত উন্নতির ব্যাঘাত ঘটিতেছে। অর্থাৎ ভাবপ্রধান স্ত্রীজাতির অমু তত্ত্বৰোধিনী পত্রিক " - _ _ ४°,कछा, फ्रै গুণ শিক্ষা এখনও এতদ্দেশে প্রবর্তিত হয়। नाहे । मा इहेबांद्र ८५ान रुद्रण भूखকের জসস্তাব। বঙ্গভাষায় যে সকল ইতিহাসদি গ্রন্থ যেরূপে প্রণীত হইয়াছে তাহা বুদ্ধিপ্রধান পুরুষের উপযোগী কিন্তু তদ্বারা স্ত্রীলোকের বিশেষ উপকার দশিতে পারে না । যাই হউক আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে অবগত হইয়াছি কোন কোন কৃতবিদ্য জন-সমাজের এই অভাবটি মোচন করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হুষ্টয়াছেন । কিন্তু আমরা সম্প্রতি স্ত্রীবিদ্যালয় সংক্রান্ত একটী নূতন আন্দোলন শুনিয়া স্তম্ভিত হইলাম, ইহা বিদ্যালয়ে স্ত্রীজাতির বাস-ব্যবস্থা । স্ত্রীলোকেরা তথায় আহোরাত্রি বাস করিয়া বিদ্যা চর্চা করবে । এই বাস-ব্যবস্থা এতদেশে কতদূর সুফল প্রসব করিবে তাহার আলোচনা করাই আদ্যকার এই প্রস্তাব অবতারণার উদ্দেশ্য । পাঠকগণ এরূপ বিবেচন। ব্রেহ্মোপাস- , করিবেন না মে চিরন্তন রীতির বিরুদ্ধ কোন একট। কিছু দেখিলেই বা শুনিলেই অমনি তাহা তামাদের অসহ্য হইয় উঠে । আমরা জানি যে মনুষ্য-সমাজে এক রীতি চিরকাল প্রচলিত থাকিতে পারে না এবং থাকেও না । যদি জন-সমাজের বাস্তব অভাব নিব স্কন কোন একটি নূতন প্রথা প্রবর্তিত করিবার অবিশক হয় তাহার বিরুদ্ধে হাজার চিৎকার কর তাহার গতিরোধ করা সহজ হয় না । কিন্তু আমরা এখন বুঝিতে পারিতেছি না যে স্ত্রীজাতির বিদ্যালয়ে বাস করিবার বিশেষ কি আবশ্যক হইয়াছে । আমরা এই বাস-প্রথা প্রচলিত করিরার দুইটি উপলক্ষ দেখিতেছি । একটি আত্মনির্ভর-শিক্ষা অপরটি অবাধে বিদ্যানুশীলন । আত্মনির্ভর শিক্ষা অবশ্যই একটা স্পৃহনীয় গুণ কিন্তু এস্থলে তাহ দোষে পরিণত দুইতেছে। সকল দেশেই এই প্রথা দেখা যায়