পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tइंग्ल, $y०९ ५, , অসং । জগৎ অসং, মায়াকল্পিত। যেরূপ অন্ধকার রজনীতে রজ্জতে সর্পভ্রম হয় অথবা যেরূপ দূর হইতে একখণ্ড শুক্তিকাতে রজত ভ্রম হয়, তদ্রুপ এই দৃশ্যমান জগতে জগৎ বলিয়া ভ্রম হয় । যখন এই ভ্রম বিদূরিত হইবে, যখন তত্ত্বজ্ঞান হৃদয়কে আলোকিত করবে, তখনই আমাদের "একমেবাদ্বিতীয়ং ব্রহ্ম নান্যদস্তি কিঞ্চন’ সম্যক্ রূপে উপলব্ধি হইবে এবং আমরা মুক্ত হইব । একমাত্র ব্রহ্মই জগতের উপাদান কীলণ, নিমিত্ত কারণ এবং মূল কারণ 'সত্যং জ্ঞানমনস্তং ব্রহ্ম সচ্চিদানন্দরূপং ইহাই ব্রহ্মের লক্ষণ; তিনি সত্য স্বরূপ এবং অন স্ত স্বরূপ ; তিনিই সৎ স্বরূপ, চিৎ স্বরূপ এবং আনন্দ স্বরূপ । তিনিই সত্তার আদিদে নক, তিনিই জ্ঞানের অকর এবং তিনিই তানদের নিদান । ঈশ্বরের এই ব্রিরিপ স্বরূপ ঋগ্বেদ সংহিতার সময় হইতে প্রচfলত। উপনিসদে ইহার সম্পূর্ণ বিবরণ লক্ষিত হয় । তথন অন্য কোন জাতির ধৰ্ম্মশাস্ত্র প্রণীত হয় নাই । খাষ্ট্ৰীয় সমাজে শঙ্করাচার্য্যের সংক্ষিপ্ত জীবনী ঈশ্বরের ত্ৰিবিধ স্বরূপ ইহার সহিত ঠিক্‌ ৷ মিলিয়া যায় । পবিত্র আত্ম। এই তিন স্বরূপ স্বীকার করেন । পিতা সৎস্বরূপ বা সন্তার আদিস্রষ্ট। পুত্র চিৎস্বরূপ বা জ্ঞানের আকর এবং পবিত্র আত্মা আনন্দ স্বরূপ বা আনন্দের আলয় । অনেক মিলনরী মহোদয় বলেন যে র্তাহ দের ত্ৰিবিধ স্বরূপ হইতে আর্য্যদিগের ব্রিবিধ স্বরূপ অপহৃত। একথা কত দূর সঙ্গত তাহা বিবেচক মাত্রেই বুঝিতে পারেন। উপনিষৎ বাইবেলের অনেক পূর্বের সামগ্রী। পরব্রহ্মের স্বরূপ ‘অবাঙ মনস cशाकद्रम्' । हेश शांका ब्राद्र विद्रुङ कद्रा যায় না। মনেও ইহার সম্পূর্ণ ধারণা হয় で5

్న १

tহারা ও পিতা, পুত্র এবং ! a、ペ)○ ন। তিনি অচিন্তনীয়, অনিৰ্ব্বচনীয় এবং অনাকলনীয় । তিনি জগৎ স্বজন করিতে কামনা করিয়া সঙ্কল্প মাত্রে ইহার স্বষ্টি করিলেন । এই স্বষ্টির কারণ অবিদ্যা,মায়। বা অজ্ঞান ! ইচ্ছাময় ব্রহ্ম ইচ্ছা পূৰ্ব্বক আপনাকে অবিদ্য বা তজ্ঞান দ্বারা আচ্ছন্ন করিলেন এবং জগৎ উৎপাদন করিলেন । ইচ্ছা করিলে তিনি ইহা না করিতেও পারিতেন । কেন তা হার ইচ্ছা হইল এ প্রশ্নের উত্তর কেহ জানে না । এই অবিদ্যাবশতই আমরা জীবাত্ম। পরমাত্মার প্রভেদ বুঝিতে পারি ন! এই পরিদৃশ্যমান জগৎ, ভৌতিক শরীর এবং মনকে প্রকৃত বস্তু সৎ পদার্থ বলিয়। মনে করি । বেদন্তিদর্শন এই অজ্ঞান ন। অবিদ্য নিরাস করিয়া জীবাত্ম এবং পর যাত্মার যে কোন ভেদ নাই তাহা বুঝাএই অবিদ্যার ঘোল কাটিয় | গেলে আমাদের আর এই সকল ভ্ৰম থ|কিবে না । তখন আমরা "একমেবাদ্বিতীয়ং ব্রহ্ম নে কি পদার্থ তাহ বুঝিতে পারিব । শঙ্করাচার্য্যের মতে মনুষ্য নিত্য কৰ্ম্মের আচরণে প্রবৃত্ত হইবে এবং কৰ্ম্মসমুদায় পরব্রহ্মে সমপণ করিবে । তিনি শিষ্যদিগকে এবং এবং ইয় দেয় । উপদেশ দিতেন যে নিত্য কৰ্ম্ম সম্পাদন . করিলে পরমেশ্বর সন্তুষ্ট এবং প্রীত হয়েম এবং অদ্বৈত জ্ঞানালোক প্রদান করেন । যদি ও শঙ্করাচার্য জগতের বস্তু-সত্ত। স্বীকার করিতেন না কিন্তু তিনি ইহাকে কাল্পনিক বলিয়া ভাগ্রাহ্য করিতে বলিতেন না। তাহার মতে জগৎ প্রভূতির পারমীর্থিক সত্তা নাই, কিন্তু ব্যবহারিক সত্তা আছে । ঈশ্বরের সভা পারমার্থিক । ইহা কেহই স্বীকার করেন না যে ঈশ্বরের সন্ত। এবং জগৎ প্রভৃতির সব এক প্রকার । জগদাদি সমস্ত অনিত্য, কিন্তু ঈশ্বর নিত্য ।