পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a.8 বর্ষ শেষ ব্রাহ্মসমাজ । ৩০ চৈত্র রবিবার, ব্রহ্মসম্বং ৫০ । এই ভূমণ্ডলমধ্যে দেশকালভেদে বিষয়-নিপুণ মনুষ্যজাতি যেমন বিষয়-বিত্ত লাভের বহুবিধ ভুলক্ষ্য পন্থা আবিষ্কৃত করিয়া বৈষয়িক সুখ ঐশ্বৰ্য্য বৰ্দ্ধন করিয়াছেন ; তেমনি ভারতবর্ষে ধৰ্ম্ম-পিপাসু আর্য্য-ঋষিগণ অতিপুরাকালে প্রাকৃতিক রাজো, ভোঁতিক ঘটনায় সাংসারিক ব্যাপারে সাধন সমাধানের নানা প্রকার সক্ষমতম অবসর ও উপলক্ষ অবলম্বন করিয়া পরব্রহ্মে হৃদয় মন আত্ম সমর্পণ করত আধ্যাত্মিক উন্নতির পরাকাষ্ঠ প্রদর্শন করিয়া গিয়াছেন । এমন একটী কাল, একটী প্রাকৃতিক ঘটনা নাই, যে সময়ে যে ঘটনায় তাহার অধ্যয়ন অধ্যt" | পনা প্রভৃতি পরিত্যাগ করিয়া সকল কালের কৰ্ত্তা, সমস্ত ঘটনার নিয়ন্ত সেই পরব্রহ্মের ধ্যান ধারণায়,পূজাৰ্চনায় নিযুক্ত না হইতেন। এমন একটী সাংসারিক ব্যাপার নাই যাহতে র্তাহারা সেই বিদ্যা-সম্পদ বুদ্ধি-বিধাতা ঈশ্বরকে সৰ্ব্বাগ্রে প্রণিপাত না করিয়৷ তৎসুম্ভোগে প্রবৃত্ত হইতেন। তাঙ্গারদের বিজ্ঞানবস্ফারিত নেত্র,সীমানা প্রাকৃতিক ঘটনাতে ও ঈশ্ববের মহতী কীৰ্ত্তি, অতুলন প্রভাব জাজ্বল্যতর রূপে সন্দর্শন করিত ; র্তাহারদের প্রেমাদ্র হৃদয় অতাল্প বিষয়ের জনা ও ঈশ্বরসন্নিধানে শ্রদ্ধা ভক্তি প্রীতি কৃতজ্ঞতা-ভারে অবনত হইয়া পড়িত। স্থান-ভেদে যেমন তাহার। নদী-গিরি, সাগর সমুদ্র, অরণ্যনিবার প্রভৃতিতে ঈশ্বরের জ্ঞান-শক্তি মহিম৷ দেদীপ্যমান রহিয়াছে দেখিয়া তৎসমূহকে সাধন-সমাধান পক্ষে পুণ্যভূমি বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন; তেমনি কাল-ভেদে বিশ্ব-নিয়ন্তার উজ্জ্বলতর প্রকাশ ও বিচিত্র করুণ প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করিয়া, প্রতিমধ্যাহ্ন তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। t | זיtש א אף "כ সায়াহ্ন, পক্ষাৰ্দ্ধ এবং পক্ষ মাস ঋতু সংবৎসর সময়কেও ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা, প্রীতি, কৃতজ্ঞতা-প্রকাশ-পক্ষে পবিত্র কাল বলিয়া অবধারণ করিয়া গিয়াছেন। গ্রহণ প্রভৃতি ভৌতিক ঘটনায় ঈশ্বরের জাগ্রত জীবন্ত সত্তা উপলব্ধি করিয়া সেই জন্যই তৎকালে পরিস্নাত শরীরে পরিশুদ্ধ হৃদয়ে তাহার স্তব-স্তুতি ও মহিমা কীৰ্ত্তনের ব্যবস্থা করিয়াছেন ! যাহারদের হৃদয়ে ঈশ্বর-প্রেম অহনিশি প্রজ্বলিত হইতেছে, তাহারা কি কেবল দেশ কাল মধ্যে বা জীবনের প্রত্যেক ঘটনায় সেই প্রাণসখীর নবতর কল্যাণতর জ্ঞান শক্তি মহিমা, স্নেহ প্রীতি করুণা প্রত্যক্ষ প্রতীতি করিয়া নীরব থাকিতে পারেন ? অহোরাত্র, পক্ষ মাস, ঋতু সংবৎসর প্রভৃতির কথা দূরে থাকুক, তাহার প্রতিনিমেষে, প্রতি নিঃশ্বাসেই, তাহার সন্নিকৰ্ষ অনুভব করত র্তাহারই মহিমা কীৰ্ত্তন করেন । সেই কারণেই পৃথিবীর অপরাপর জাতি অপেক্ষ আর্য্যজাতির মধ্যেই ঈশ্বরের পূজাৰ্চনার কাল-বাহুল্য দৃষ্ট হইয়া থাকে। পুণ্যভূমি ভারতের অধিবাসীদিগের হৃদয় ভগবৎ-প্রেমপূর্ণ বলিয়াই সামান্য ঘটনাতেই তাহা উচ্ছ - সিত হইয় উঠে ; ঈশ্বরের প্রতি তাহারদিগের আস্থা অনুরাগ ও নির্ভরের ভাব তাধিকতর বলিয়াই সামান্য সূত্রেই সেই বিশ্ববিধাতার প্রতি তাহারদের হৃদয় কৃতজ্ঞতাভারে অবনত হইয় পড়ে । সেই জনাই সকল-জাতি অপেক্ষা আর্য্য-জাতির মধ্যেই ংস্কার-সংখ্যা অধিক দেখা যায়। জরাযু মধ্যে জীবসঞ্চার হইতেই সংস্কার-কার্য্য আরম্ভ হয়, মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত সেই স্রোতঃ প্রবাহিত হইয়া থাকে – মনুষ্য লোকান্তরিত হইলেও সেই পরলোকগত আত্মার প্রতি আর্য্য জাতির বংশপরম্পরাগত কৰ্ত্তব্য কার্য্যের শেষ হয় না। প্রতি-সাংসারিক ঘট