পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 No) , জের প্রকৃতি-বিরুদ্ধ ঈদৃশ শতশত কাৰ্য্য প্রবর্তিত হইলেও এখনও পর্য্যন্ত যে সম্পূর্ণ রূপে হিন্দুসমাজ বিপর্য্যস্ত না হইয়া দণ্ডায়মান আছে, ইহাই আশ্চর্য্য ! ইহাই ঈশ্বরের বিচিত্র করুণ ! আর্য্য জাতি এমনই ধৰ্ম্মানুরক্ত এবং ঈশ্বর-ভক্ত যে কেবল সৌর দিন উপলক্ষ করিয়া ঈশ্বরের ধ্যান-ধারণা ও পুজার্চনাতে র্তাহারদের হৃদয় পরিতৃপ্ত হয় নাই, তাহারা চান্দ্র মাস অবলম্বন করিয়া তিথি-বিশেষে নবতর প্রাকৃতিক শোভা সৌন্দর্য্যের অভিনযে ঈশ্বরের স্নেহ করুণ, জ্ঞান মহিমা প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করিয়া সেই দেব-দেবের আরাধন করত আত্মোন্নতি সংসাধন করিয়াছেন । শ্রুতি-স্মৃতি, পুরাণ-তন্ত্র, কাল পরম্পরায় উপাসনার যে সকল দেশ কাল নির্দেশ করিয়াছেন, অনুসন্ধান করিলে তাহার মধ্যে সাধন-সমাধান-পক্ষে কোন নী কোন রূপ প্রাকৃতিক অনুকূলতাই দৃষ্ট হইয় থাকে ইহারই জন্য র্তাহারা অর্মানিশার সূচি ভেদ্য অন্ধকারের মধ্যে ঈশ্বরের মহীয়সী শক্তি, মহান গম্ভীর-সন্তা উপলব্ধি কৰিয়া রোমাঞ্চিত-শরীরে সবিস্ময় হৃদয়ে তাহাকে স্মরণ করিতেন । পৌর্ণমালীর পৃর্ণচন্দ্রীলোকে তাহার স্নেহ প্রেম বিকীরিত দেখিয়া – তাহার শোভা সৌন্দর্য্য প্রত্যক্ষ প্রতীতি কবিয়া প্রেমোৎফুল্ল হৃদয়ে সেই সত্য-স্থান্দর-মঙ্গল-স্বরূপের ধ্যান-ধারণায় প্রবৃত্ত হইতেন। পক্ষাৰ্দ্ধ কালে—যে কালে অৰ্দ্ধ রজনী জ্যোৎস্নময় এবং অপরাদ্ধ নিবিড় অন্ধকারে অtটছন্ন অথবা ইহার বিপর্যায় ঘটনা দ্বারা ধরণী-পুষ্ঠে ঈশ্বরের অতুলন জ্ঞান-শক্তি-মহিমার অভিনয় হইতে থাকে সেই অষ্টমী তিথিকে তাহারা পুণ্যকাল জানিয়া ঈশ্বরচিন্তায় নিযুক্ত হইতেন । তাহারা সাধন-সমাধান-বিষয়ে যে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ७० कब्र; ९ छtन কতশত স্থূর্ণক্ষ্য অবসর আবিস্কৃত করিয়াছিলেন, তাহ আলোচনা করিলে বিস্ময়াপন্ন হইতে হয়। এই নিমিত্তই প্রতিমধ্যtছু সায়াছু এবং প্রদোষ মহানিশ উষা প্রভৃতি কাল-গ্রস্থি সকল ব্রহ্মচিস্তার পবিত্র সময় বলিয়া যোগ-শাস্ত্রে অভিহিত হইয়া থাকে । এই কারণেই আজিকার বর্ষ-অন্তিম-দিবস, ঈশ্বরের সন্নিধানে শ্রদ্ধা ভক্তি, প্রীতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পবিত্র অবসর বলিয়া বিনির্দিষ্ট হইয়াছে । আজ দেখ । সমগ্র ভারত পুণ্য কার্ঘ্যের প্রশস্ত ক্ষেত্র হইয়া উঠিয়াছে । আজ আর্য্য-কুলের সমস্ত নর-নারী নবতর ব্ৰতকৰ্ম্ম দীন-ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হইয়। সংসার-আশ্রমের প্রকৃত মর্যাদা রক্ষা করিতেছেন । আমরা কি বিশ্বাধিপতি পরব্রহ্মের উপাসক হুইয়া আজি নীরব নিশ্চেষ্ট থাকিব ? পুর্ণ একবৎসর কাল র্যার নিত্য অকপট স্নেহে লালিত পালিত হইয়াছি, র্তাঙ্গার প্রতি কি আজ আকৃত্রিম শ্রদ্ধা ভক্তি প্রীতি প্রদর্শিত হইবে না ? র্যার বিতরিত অন্ন জলে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, সত্য মঙ্গলে শরীর-মন-আত্ম পরিপোষিত হইয়াছে, তাহার সন্নিধানে কি আমরা কায়মনোবাকো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিব না ? যার প্রেরিত ধৰ্ম্মবল ও শুভ বুদ্ধি লাভ করিয়া এই ভয়াবহ সংসারমধ্যে আলোক অন্ধকারের, অমৃত গরলের, পুণ্য পাপের, ধৰ্ম্মধৰ্ম্মের প্রভেদ বুঝিতে পারিয়া দেবগম্য শ্রেয়ঃপথে পদবিক্ষেপের চেষ্টা করিতেছি— দূরে নয়, আত্মার মধ্যেই যাহার উজ্জ্বল জীবন্ত মত্তা প্রত্যক্ষ প্রতীতি করিয়া আমরা এই মর্ত্য লোকে থাকিয়াও অমৃতের অস্বিাদ প্রাপ্ত হইতেছি, তাহাকে কি জ্বাজ সমুদায় আত্মার সহিত প্রীতিপূজা প্রদান করিতে পারিব না ? যদি তা না পারি, ধিক্ এ