পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

جه الأخefج আদি ব্রাহ্মসমাজ २१ ജബ് ജ് -ബ জীবনে—অামারদের বল-বুদ্ধি, জ্ঞানশক্তিতেও ধিক্ ! ! পরমাত্মন! আজ কোন প্রাণে তোমাকে ভুলিয়া থাকিব ! তোমার স্নেহ করুণার স্রোত যে আমারদের প্রতি শির শোণিতে, পেশী অস্থিতে, প্রতি গ্রস্থিগ্ৰন্থিতে প্রবাহিত হইতেছে! তোমার আকপট প্রেম যে মনের প্রত্যেক অঙ্গ প্রত্যঙ্গে, আত্মার প্রতি বৃত্তি প্রবৃত্তিতে ভাসমান রহিয়াছে ! তোমার সত্তাতে যে আমারদের সত্তা, তোমার আশ্রয়ে যে আমরা এখানে জীবিত রহিয়াছি ! তুমি যে অন্তরে বাহিরে জাজ্জ্বল্যতর রূপে প্রকাশ পাইতেছ, তোমীর এই জলন্ত মহিমার মধ্যে থাকিয়! এমন অন্ধ আত্মা কোথায়, যে তোমাকে দেখিতে পায় না ? তোমার স্নেহ করুণার জ্ঞান-মহিমার অযুত অগণ্য উজ্জ্বল নিদর্শন চতুর্দিকে সন্দর্শন করিয়াও তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা-ভরে অবনত হয় না ? জগদীশ ! মানব-মনের এমন কি সাধ্য, যে তোমার সম্বৎসরের আশেষ স্নেহ করুণা সকল সে স্মরণ করিয়া রাখিতে পারে । এখনই তুমি আমারদের প্রতি যে অতুলন প্রেম বিতরণ করিতেছ, তাহাতেই আমাদের আত্ম৷ তোমার পবিত্র সন্নিধানে প্রণত হইতেছে। হে অভয়দাতা। আমীরদের পাপ তাপ দুঃখদুর্গতির পরিহার করিয়া অভয় দান কর । আমরা ক্ষীণ হীন মলিন জীব ; আমারদের সহস্র অপরাধ মার্জনা করিয়া প্রাতি-পূজা গ্রহণ কর, যে আমরা কৃতাৰ্থ इहे । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । ΕΦ"αγΦΑ: Ο 轉 আদি ব্রাহ্মসমাজ । ৩রা বৈশাখ ব্রাহ্মসম্বৎ ৫১ ৷ ” এই পবিত্র স্থানে আমরা সেই পরম পবিত্র দেব-দেবের উপাসনার জন্য সমাগত হইয়াছি । আমরা এ প্রকার দুর্বল ও বিষয়াসক্ত যে সৰ্ব্বক্ষণ সেই হৃদয়-নাথকে হৃদয়-সিংহাসনে দর্শন করিতে অক্ষম । কিন্তু আমাদের এমন কি এক বিন্দুও বল নাই যে বিষয়াকর্ষণের প্রতিকূলে যাইয়া ক্ষণকালের জন্য উচ্চতম শাশ্বত পরমানন্দ উপভোগ করি ? আমরা যদি তাহার জন্য তৃষ্ণাৰ্ত্ত না হইয়া এখানে আসিয়া থাকি, তবে এখানে উপস্থিত হওয়া আর না হওয়া উভ য়ই সমান ! “হৃদয় পিপাসু সদা পরমেশ্বর পাদকমল মধু পানে” এই অমৃতময় সংগীত কি আমাদের হৃদয়-তন্ত্রীতে নিনাদিত হইবে ? fপ্রয়-জন-দর্শন-লালসায় যিনি কখন ব্যাকুল হইয়াছেন, তিনিই জানেন—প্রাণ হইতে প্রিয়, পুত্র হইতে প্রিয়—বিত্ত হইতে প্রিয় পরমেশ্বরকে দেখিবার পূর্বে হৃদয়ে কেমন ব্যাকুলত আইসে । আমরা কি ব্যাকুল হৃদয়ে তাহার দর্শনার্থী হইব না ? ব্ৰহ্ম-দৰ্শন ব্যতীত ব্রহ্মোপাসনা নিষ্ফল । র্তাহীকে দেখিবার জন্য কি আমরা আশাপথ নিরীক্ষণ করিয়া থাকিব না ? তাহাকে দেখিবার জন্য যদি প্রাণ আকুল হয় তবে কৃপা-নাথ কৃপা করিয়া আমাদের হৃদয়ে প্রকাশিত না হইয়া থাকিতে পারেন না। উহাকে দেখিতেই হইবে তাহার মধুর সত্তা হৃদয়ে অনুভব করিতেই হইবে—সেই স্বৰ্গীয় স্বধাবারিতে আত্মার ক্ষুধা তৃষ্ণ শান্তি করিতেই হইবে—যভক্ষণ না তাহার দর্শন পাই ততক্ষণ আসন হইতে উঠিব না— আমরা কি এই প্রকার প্রতিজ্ঞা-পরায়ণ