পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ab" হইয়া উপাসনা করিতে বসিব না ? আমরা তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা १० कझ, २ उॉन মোহনিদ্রা হইতে জাগ্রত হও-প্রকৃতরূপে কি উদাসীনের নায় ব্রহ্ম-মন্দিরে উপস্থিত উপাসনা করিয়া আপনাকে কৃতাৰ্থ কর। হইব ? অনুরাগ ও উৎসাহ কি আমাদের মস্তককে তাহার পবিত্র চরণে অবনত ও আত্মাকে তাহার প্রতি উন্নত করিতে পারিবে না ? হায় । তিনি আমাদিগকে দর্শন দিবার জন্য ব্যাকুল রহিয়াছেন, আমরা কেন তাহাকে দেখিবার জন্য ব্যাকুল না হই । প্রেমই প্রেমকে আকর্ষণ করে । যদি অামর যথার্থই তার প্রেমে নিমগ্ন হই, যদি আত্ম। তাহাকে পাইবার জন্য অধাতকম্পিত দীপ-শিখার ন্যায় স্থির ভাব ধারণ করে —তবে নিশ্চয়ই দেখিতে পাইব—শরীর রোমাঞ্চিত হইয়াছে-ভক্তিমিশ্রিত অশ্রুবারি বিভূপদে কি এক অনিৰ্ব্বচনীয় রূপ ধারণ করিয়া পতিত হইতেছে । এ অবস্থায় তিনি দর্শন দেন কি না দেন তাহা আর বলিবার বিষয় নহে । সজনে কি নির্জনে যখনি উপাসনা করিতে বসিব—আমরা কি সেই দর্শনের প্রার্থী হইব না। উপাসনা কি লৌকিক রক্ষণ ন অনুরোধ রক্ষা । উপাসনা কি পরের চন্দ্র সস্তুষ্টির জন্য—আত্মার তৃপ্তিসাধনের জন্য নহে ? আমরা কি কতক গুলিন শূন্যগর্ভ হৃদয়-বিহীন স্তবস্তৃতি র্তাহাকে উপহার দিয়া গৃহে ফিরিয়া যাইব ? তিনি কি হৃদয়বিহীন স্তবস্তুতি গ্রহণ করেন ? না আমরাই র্তাহাকে এ প্রকারে উপাসনা করিয়া আত্মপ্রসাদ ও ঠাহীর প্রসাদ লাভ করিতে পারি। তিনিই ধন্য যিনি তৃষ্ণাকুল হইয়। তাহার উপাসনায় প্রবৃত্ত হয়েন এবং পরম শাস্তিবারি পান করিয়া উপাসন সমাপ্ত করেন । তিনিই ধন্য উপাসনান্তে র্যাঙ্কার হৃদয়-তন্ত্রীতে বাজিতে থাকে "রসনা কেমনে রবে নীরবে ছাড়ি তোমার প্রেম-গান আবার কেমনে যাইব ফিরে ছাড়ি তোমারে ॥” ব্রাহ্মগণ ; আমরা কি কাষ্ঠ পাষাণ ও নিজীব জড়, যে নিজীব ভাবে তাহার উপাসনা করিব ? এস আমরা প্রেমের সহিত প্রাণের সহিত ভক্তির সহিত র্তাহার উপাসনা করি। এস আমরা সকলে মিলিয়া তার দ্বারে উপনীত হই । এস প্রাণের সহিত বলি, “দরশন দেও ছে কাতরে, দীন হীন আমি। রোগে আকুল শোকে কাতর, মলিন বিষাদে ।” নাথ ! তোমার দর্শন ভিন্ন আমরা বাচি না । চারিদিকে অন্ধকার—পাপ-তাপের অন্ধকার – বিষাদের অন্ধকার । তুমি যে নাথ আমাদের অন্ধকারের আলো ! তুমি একবার আমাদের হৃদয়-কুটীরকে আলোকিত কর । তোমার স্নিগ্ধ জ্যোতিতে আমাদের আত্মা শীতল হউক। চারি দিকে মৃত্যু-চারি দিকে হাহাকায়—হে অমৃতস্বরূপ, কৃপা করিয়া তোমার অভয় ক্রোড়ে, তোমার অমৃতময় ক্রোড়ে স্থান দাও । আমরা যে নাথ, তোমারি –তুমি যে নাথ, আমাদেরই। আমরা যে তোমা ভিন্ন জানি না । সুখ দুঃখের কথ। যদি তোমাকে বলিতে না পারি -- झनएल्लद्र चांद्र मनि ८ठागात्र निकल्ले उबाऊ করিতে ন পারি, তবে এ ভারভূত জীবনে কি প্রয়োজন ? অথিলমাতঃ । জ্ঞানহীন ভজন-পূজন-বিহীন আমি কি প্রকারে তৈামার উপাসনা করিতে ছয় জানি না । কেমন করিয়া তোমার পবিত্র সন্নিধানে উপস্থিত হইব ভাবিয়া আকুল, আমি তোমার আকৃতি সন্তান । স্নেহময়ী জননি! শুনিয়াছি দুৰ্ব্বল সম্ভানের প্রতি তোমার স্নেহ অধিক । কেবল সেই সাহসে করযোড়ে বিনীত ভাবে তোমার সন্নিধানে অীসিয়াছি । করুণাময়ি মাতঃ একবার তোমার অধম সস্তানকে গ্রহণ কর – সকল জ্বালা--