পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६झाई १४०२ সকল যন্ত্রণ দূরে যাউক । এ হৃদয়কে চির দিনের জন্য তোমার চরণের সুশীতল ছায়ায় এমন করিয়া রক্ষা কর যেন ইহা অার ংসার-মোহে ও পাপ-তাপে তাপিত না হয় । ইহাই তোমার নিকটে আমার কামনা । তুমি কৃপা করিয়া আমার এই নিৰ্ম্মল কামনা পূর্ণ কর । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । অজ্ঞতাবাদ সমালোচন ৪৪১ সংখ্যক পত্রিকার ৮ পৃষ্ঠার পব। স্পেন্সর বলেন, আমরা বাহা জগতের । শক্তি ও অামাদিগের শক্তি এক জাতীয় মনে করিতে বাধা ; এবং সেই কারণেই আমর বাহ্য শক্তিকে মন (Mind) ভাবিয়া থাকি ! এই ধৰ্ম্ম আমাদিগের প্রকৃতির পক্ষে অবিযোজ্য হইলেও, ইহা ভ্রান্তি ভিন্ন আর কিছুই মহে । এ কথ। তিনি নিম্ন-লিখিত রূপে সমর্থন করিয়াছেন—“মনে কর, তুমি এক খানি চেয়ায় উঠাইলে, যে শক্তি পরাজিত অজ্ঞতাবাদ সমালোচন করিয়া চেয়ার উঠাইলে তাহার নাম উক্ত । চেয়ারের ভার। এই ভার আর তোমার ! শক্তি তুমি সমজাতীয় মনে করিতে বাধ্য। কিন্তু এবার তুমি সমগ্র হস্ত দ্বারা চেয়ার না উঠাইয়া একটা মাত্র অঙ্গুলি দিয়া উঠাও । তোমার মনে কি অন্য প্রকার অনুভূতি হইল না ? আবার তুমি পদ দ্বারা চেয়ার উত্তোলন কর । কি হইল ? অবশ্যই তোমার মনে পূৰ্ব্বগত দুই বারের অনুভূতি হইতে অন্য রূপ অনুভূতি জম্মিয়াছে। ইহার অর্থ কি ? একই চেয়ারের ভার তিনবার তিন প্রকার অনুভূতি উৎপন্ন করিল। এক বস্তু ত্ৰিজাতীয় হইতে পারে না, সুতরাং চেয়ারের ভার উক্ত অনুভূতিত্ৰয়ের কোনটীর জাতীয়ই হইতে পারে না। অতএব כל כ বাহ্য শক্তিকে যে আমরা স্বকীয় শক্তি সম্বন্ধীয় অনুভূতির জাতীয় মনে করি, তাহ। ভ্রান্তি মাত্র। কিন্তু ভ্রান্তি হইলেও আমরা তদ্রুপ চিন্তনে বাধ্য কেন না তদ্ব্যতীত শক্তিজ্ঞান অসম্ভব । * বলিতে কি, আমরা একথার অর্থ বুঝি নাই। যাহা বুঝিয়াছি, তাহা এত অযৌক্তিক যে স্পেন্সরের ন্যায় গভীর পণ্ডিতের কোন বাক্যের এমত অর্থ হইতে পারে, এরূপ বলিতে সাহস হয় না । তথাপি যাহা বুঝিয়াঢ়ি, বলিতে হইবে । তিনি বলেন বাহ্য শক্তিকে আমরা অামাদিগের তদুৎপন্ন অনুভূতির জাতীয় (সদৃশ) মনে করিয়া থাকি । ইহা অামাদিগের নিকট সম্পূর্ণ নূতন সংবাদ । একখানি প্রকাণ্ড প্রস্তর পড়িয়া রহিয়াছে, সহসা তামি আমার সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করিয়া উহ। টানিলাম—আমার স্বন্ধে বেদনা লাগিল ; অর্থাৎ যে বাহ্য শক্তির প্রভাবে পাষাণখণ্ড ভুলগ্ন রহিয়াছে সেই শক্তি আমার স্কন্ধে বেদনারূপিণী অনুভূতি উৎপাদন করিল। আমি কি এখন এই পাষাণের ভারকে অtমার স্বন্ধের বেদনার সদৃশ মনে করিব ? না । শরীরের বেদনার সহিত আভ্যন্তরিক অথবা বাহ্য কোন শক্তিরই জাতীয় সম্বন্ধ নাই । যে সম্বন্ধ আছে, তাহা স্বামীদিগের বিচাৰ্য্য নহে । ধমনী, মজ্জ। প্রভৃতি ইচ্ছা অথবা শক্তি নহে । উহার। ইচ্ছার দাস—আজ্ঞা-পালনে নিয়োজিত । সুতরাং বাহ্য শক্তির সহিত তাহাদিগের অথবা তৎসম্বন্ধীয় বেদনাদির কোন সাদৃশ্য হইতে পারে না, কোন সমজাতিত্ব হইতে পারে না । বৃক্ষে বৃক্ষে সাদৃশ্য হয়, লতায় লতায়, ফলে ফলে, মৎস্যে মৎস্যে সাদৃশ্য হয়। বৃক্ষে আর লতায়, লতায় আর ফলে, ফলে অভ্যার মৎস্যে কোন সাদৃশ্য হইতে পারে না । তদ্রুপ আমা