পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४श*ांशं sv०२ উন্নত ভাব ধারণ করে । কুসুম-কাননে ব্রহ্মসাধনে প্রবৃত্ত হইলে সুরভি-কুসুমগন্ধে, সুচিত্র পুষ্পদলে ঈশ্বরের জ্ঞান প্রেম চছটা বিকীরিত দেখিয়া মানব-অক্সা র্তাহার প্রেমে বিগলিত হইয়া যায়। বিজন, গহনে প্রবেশ করিলে ষ্টীহার শান্ত মঙ্গলভাব সহজে উপলব্ধি হইয়া থাকে স্বচ্ছায় বিরল স্থানে সমাসীন হইলে অল্পায়াসেই সেই সত্য সুন্দর পবিত্র স্বরূপ পরমেশ্বরে অতু সমপর্ণ বিসয়ে সিদ্ধি লাভ করিতে পারা যায় “একাস্তে নির্জনে দেশে সিদ্ধেভরতি নিশ্চিতং । ” এই জন্যই সাধন-সমধান-পক্ষে প্রাগুক্ত স্থান সকল অতীব প্রার্থনীয় । কক্ক র-পূর্ণ তপ্তবমুকাময় অসমান অশুচি দেশে, উত্তম জল ও উত্তম-শব্দfবহীন নিরাশ্রয স্থানে, বিপক্ষ-অভিমুখে, নিৰ্ব্বত প্রদেশে উপাসনা জন্য তাসীন হইলে শরীর মন উত্তপ্ত উদ্বিগ্ন এবং উৎ- | কষ্ঠিত হইয় উঠে ; সেই জন্য তাদৃশ স্থানসকল পরিত্যাগ করিয়। যে স্থানে অবস্থিতি করিলে শারীরিক নিয়ম প্রতিপালন নিমিস্ত শরীর সচ্ছন্দ এবং অন্তঃকরণ প্রশান্ত ভাব ধারণ করে ; ঈশ্বরের শাস্ত মঙ্গল পবিত্র ভাব হৃদয়ে অতি সহজেই প্রতিভাত হইয়া থাকে এবং পরব্রহ্মে অনায়াসেই আত্মার অভিনিবেশ হয় ; সেই সকল স্থানেই উপবিষ্ট হইয় তাহার উপাসনা করিবে । বাহ্য বস্তুর সঙ্গে, বাহ্য পবিত্রতার সঙ্গে আমারদের শরীর-মন-আত্মার এমমই নিকটতর সম্বন্ধ যে স্থানের গুণে আমারদের শরীর হস্থ ও স্ফক্তিযুক্ত হয় cलभ्थं कांटलद्र मांशं८ङ्का; जांभांद्रालद्र झणग्नমন-আত্মাতে সাত্ত্বিক ভাবের অভু্যদয় হইয় থাকে । বিদ্যালয়ের গুণে যেমন অশিষ্ট অনাবিষ্ট ছাত্রেরও শিক্ষা অধ্যয়নে প্রবৃত্তি সাধন-স্থান o N○ জন্মে, তেমনই প্রাকৃতিক পবিত্র পরিশুদ্ধ স্থানের গুণে এবং প্রতিমধ্যম সয়ংকালের স্বাভাবিক চিন্ত প্রফুল্লকর সৌন্দর্ঘ্য-প্রভাবে অনুরাগশূন্য প্রেম শূন্য নরস ঈদয়ে ও ঈশ্বর-লাভ"হা উদ্দীপ্ত ইয়। উঠে ৷ মিতান্ত চঞ্চল ও একান্ত বিক্ষিপ্ত-চিত্ত ও দেশ কালের গুণে অপেন হইতেই শান্ত-সং যন্ত-ভাব ধীরণ করে। এই জন্য লর্ম্য ঋষিগণ উপাসনার নিমিত্ত নিম্নলিখিত মনোহর স্থান-সকল নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন : “সমে শুচী শর্করব? বসুর বিপজ্ঞাত শব্দ জলt শ্রধ দিতিঃ । মনে হলুকলে নতু চক্ষু পীড়নে "হানিবতশ্রেণে প্র:ে{{জ য়ে ৎ " কক্ক র-শূন্য, ত ও শুচি দেশে, উত্তম-জল আশ্রয়দি দ্বারা মনোরম-স্থানে, প্রতিবাদীর করিবেক ।” _ পাৰ্বত্য প্রদেশে নদ-নদী-সমুদ্র-সন্নিহিত স্থানে, অরণ নিকটবৰ্ত্তী গ্রাম নগরে, ঈদৃশ স্বাভাবিক পবিত্র পরিশুদ্ধ সাধন-স্থান সকল অনায়াসেই প্রাপ্ত হওয়া যাইতে পারে। কিন্তু যত্ন চেষ্টা করিলে আমরা লোকালয় মধ্যেও তাদৃশ সাধন ভূমি উপাসন-ক্ষেত্র-সকল নিৰ্ম্মাণ করিয়া লইতে পারি । ধনশালী জনগণ, নগর-গ্রাম ও রাজধানীর স্থানে স্থানে বহু অর্থ ব্যয় করিয়া এমন কত শত মঠ মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন, যে তথায় যাইবা মাত্র ধ্যান-ধারণ জন্য হৃদয় মন আত্মা স্বতই সমুৎস্থক হইয়। উঠে। পল্লীগ্রামের কোন কোন পর্ণকুটারনিবাসী ক্ষুদ্রপ্রাণ গৃহস্থের ভবনে উপনীত হইয়া নিভৃত স্থান-বিশেষে গোময়-প্রলেপিত কঙ্কর-শূন্য বালুক-বর্জিত সমান ও শুচিদেশ সন্দর্শন করিলে তথায় সমাসীন হইয়।