পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Վ) Տ দিগের শক্তির সহিত বাহ্য-শক্তি-সমুৎপন্ন অনুভূতির কোন সাদৃশ্য হইতে পারে না । সাদৃশ্য শুধু শক্তিতে শক্তিতে । আমরা জানি আমাদিগের শক্তি শুধু আমাদিগের ইচ্ছার প্রকাশ ; অপর পক্ষে জানি বাহ্য শক্তি ও আমাদিগের শক্তি একজাতীয় ; সুতরাং বুঝিতে পারি বাহ্য শক্তিও ইচ্ছার প্রকাশ । ইচ্ছা থাকিলে ইচ্ছাবিশিষ্ট জীবও আছে ; সুতরাং বাহা শক্তির মূলে তামরা ইচ্ছাবিশিষ্ট জীব দেখিতে পাই । অশিক্ষিত মজুমা বাহা প্রকৃতিতে যাচ। কিছু গতিবিশিষ্ট দেখে, তাহ সজীব ও ইচ্ছাবিশিষ্ট মনে করে । শিক্ষিত মনুষ্য সমস্তই অলঙ্ঘ্য বিধির শাসনাধীন দেখিতে পায় । তুমি কি তাই বলিতে পার, “মে প্রকৃতিকে এতকাল জীবন্ত মনে করিয়াছ, দেখ, বিজ্ঞান-বলে এইক্ষণে তাহাকে আমরা তা প্রাণী সিদ্ধান্ত করিয়াfছ ? " না । তামের বলিব, “যে প্রকৃতি শৈশবে আমাদিগের নিকট সহস্র আত্মার রঙ্গভূমি বলিয়। প্রতীয় তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা হইবে । মান ইত, এইক্ষণে আমরা তাহাতে শুধু ! এক অন্ত্রিার কার্য্য দেখিতেছি । P প্রাকঙ্গিক ঘটনার সালে পুলের মেরূপ অত্ব ছিল, এখনও সেই রূপ আত্মা রহিল, পূৰ্ব্বেও যে রূপ ইচ্ছা ছিল, এখনও সেরূপ ইচ্ছ। রছিল ; শুধু পূৰ্ব্বে যেখানে আমরা সহস্ৰ আত্ম মনে করিষ্কাম, এখন সেখানে এক আত্ম। দেখিতেছি । ইহ; কি ধৰ্ম্মের পক্ষে অগৌরবের কারণ হইল । এইক্ষণে আমরা র্যাহাকে পূজা র্তাহাকে সমস্ত বিশ্ব ব্ৰহ্মাণ্ডের 4कबाल्न অধীশ্বর বলিয়া জানি । ইহা কি পূজকের – মনুষ্যের, কারণ মনুষ্য মাত্রই স্বভাবতঃ পৃজনশীল-গৌরবের বিষয় হইল না ? সুতরাং দেখা যাইতেছে যে এই স্বষ্টির কারণের ইচ্ছাবিশিষ্টত্বে মনুষ্যের করি و قة ا i ३०"दब्र, २ छांश উন্নতি তাহার কণিকা মাত্রেরও ক্ষয় করিতে পারে না । ক্ষয় করিবে ! যে বিজ্ঞান চক্ষুর সহিত আলোকের,কর্ণের সহিত পবন-তরঙ্গের সম্বন্ধ নির্ণয় করিতেছে, নির্ণয় করিয়া অক্ষরে অক্ষরে চক্ষু ও ক্ষণের রচনা-প্রণালীতে ইচ্ছা ও কৌশলের পরিচয় প্রদান করিতেছে, সে বিজ্ঞান স্থাষ্ট্রকারণের ইচ্ছাবিশিষ্টত্ব তাপ্রসাণিত করিবে ? যে বিজ্ঞান পড়িয়াছে, সেই স্বীকার করিয়াছে, বিশ্বরচনার ছত্রেছত্রে কত ইচ্ছ, কত কৌশল প্রকাশিত হইতেছে। তার বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য প্রকৃতিতে বিধির অন্বেষণ । বিধির অন্বেষণে কি কখনও বিধ তার সিংহাসন টলিতে পারে ? তই তাহার বিধি বুঝিবে, ততই তাহার মহিমা বাড়িবে। বিধির পর বিধি, বিধির পর বিধি, অন্বেষণ করিতে থাকি – তাহীতে বিধাতা সম্বন্ধে আমাদের মনে অবিশ্বাস আসিতে পারে কি ? না, যতই তাছার বিধি বুঝিব, ততই তাহাতে আমাদিগের বিশ্বাস গাঢ়তর তবে এতক্ষণ আমরা যাহা প্রমণ করিতে চাহিয়াছিলাম, তাহ প্রমাণিত হইল । আমরা দেখাইয়াছি যে স্পেনসর স্বষ্টির পশ্চাতে যে অদ্বিতীয় অনন্ত শক্তি স্বীকার করিয়াছেন তাহ অন্ধ হইতে পারে না, তাহা ইচ্ছাবিশিষ্ট, এবং সেই অনন্ত, অদ্বিতীয়, ইচ্ছাবিশিষ্ট শক্তি ও ঈশ্বর অভিন্ন । ঈশ্বরের অজ্ঞেয়ত্ব প্রতিপাদন করিতে যাইয় স্পেনসর অন্যত্র বলিয়াছেন যে ঈশ্বরের অনাদিত্ব অথবা স্বতঃস্থায়িত্ব সম্পূর্ণ অচিন্তা ; কেন না অনন্ত ভূত সময়ে তাহার সৰ্ব্বদা স্থিতির ভাব পাইতে হইলে, অনন্তভূত সময়ের ভাব হৃদয়ঙ্গম করিতে হয় ; কিন্তু অনস্তের ভাব মনুষ্য-মনের পক্ষে অসম্ভব । আমরা এমন বলি না যে অন” ন্তের সম্পূর্ণ মূৰ্ত্তি আমরা হৃদয়ে ধারণ ষে জন্মসিদ্ধ বিশ্বাস রহিয়াছে, বিজ্ঞানের | করিতে পারি ; কিন্তু আমরা ইহা স্পষ্টতঃ