পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ ১৮৯২ বলি যে অনন্তের চিন্তা অনন্তের ভাব মনুষ্যের পক্ষে সম্পূর্ণ সম্ভব ; শুধু সম্ভব নহে, মনুষ্য-চিন্তার অপরিহার্য্য ধৰ্ম্ম । একথা এখানে আর বিবৃত করিব না, এ বিষয়ে আমাদিগের যাহা বক্তব্য, তাহা পূর্বেই প্রকাশিত হইয়াছে । স্পেনসর বলেন, “যাহারা অনাদি অথবা স্বতঃস্থায়ী বিশ্ব অচিন্তনীয় বলেন, তাহারা বিশ্বের স্রষ্ট। স্বীকার করেন ; সুতরাং তৎসহ একথাও স্বীকার করেন যে তাহার। সেই স্রষ্টার অনাদিল্প অথবা চিরস্বতঃস্থায়িত্বের চিন্তা করিতে রেন।” ওঁাহার মতে এই দুই মতের একত্র-স্থিতি অযৌক্তিক; তাহার মতে বিশ্বের অকারণ" যে ব্যক্তির পক্ষে অচিন্তনীয়, বিশ্বস্রষ্টীর আকারণত্ব ও সে ব্যক্তির পক্ষে অচিন্তনীয় । তিনি বলেন, “যদি তুমি একের অকারণত্ব স্বীকার কর, তবে তুমি অন্য কোন কিছুরই কারণ চাছিতে পার না।” অজ্ঞতাবাদ সমালোচন আমরা বলি চিন্তার বিধি দ্বারা আমরা শুধু দৃশ্যমানগণের কারণ-বিশিষ্টত্বে বিশ্বাস করিতে বাধ্য হইয়া থাকি ; কিন্তু সে সমস্ত দৃশ্যমানের মৌলিক আধীরগণের অমর। কখন ও কারণ অনুসন্ধান করি না—তদ্রুপ কারণানুসন্ধান মনুষ্য-প্রকৃতি-বিরুদ্ধ । যাহা আছে, রহিয়াছে এবং থাকিবে, মনুষ্য কখনও তাহার কারণ-জিজ্ঞাস্থ হয় না। যাহ। এই হইল, এই চলিল, যাহা দৃশ্যমান মাত্র (Phenomenon) যাহা প্রকৃত অপরিবর্তনশীল অস্তিত্ব (Entity) নহে, মনুষ্য তাহারই কারণ চাহে । কেহ কি কখনও স্থানের (Space) অথব সময়ের কারণ চিন্তু করিতে পারে? অর্থাৎ কেহ কি ভাবে অথবা ভাবিতে পারে এমন সময় ছিল অথবা হইরে যখন সময় ছিল না অর্থব থাকিবে না, অথবা এমন স্থান আছে cषथएन इन बाहे ? मी । ८रून ना ? कांद्र१ মনুষ্য তাহার প্রকৃতি দ্বারা শুধু দৃশ্যমানেরই তাহারা অকারণ, \ర్పి কারণ অনুসন্ধান করিতে বাধ্য, দৃশ্যমানের আধার সম্বন্ধে সে কখনও কারণ-জিজ্ঞাষ্ট্র হয় না, কেন না, তাহাদিগের কারণ নাই - অনাদি, অনন্ত । সময় ও স্থান অকারণ, অনাদি, অনস্ত—দৃশ্যমান গণের আধার ; তাই মনুষ্য তাহাদিগের কারণ-জিজ্ঞাস্থ হয় না । তদ্রুপ বিশ্বস্রষ্টারও আমরা কারণ কল্পনা করিতে পারি না ; কেন না, তিনি দৃশ্যমান নহেন । যেমন স্থানের অনন্ত বিস্ততি না থাকিলে কোন প: দার্থ থাকিতে পারিত না, অনন্ত সময় ন৷ থাকিলে দিন কি মুহুৰ্ত্ত থাকিতে পারিত না, তেমন অনস্ত কারণ क्रैश्चंद्र না থাকিলে কোন দৃশ্যমানই হইতে পারিত না । যেমন স্থা নেব অনন্ত সাগর শুকাইলে, সে সাগরের উৰ্ম্মিরূপী পদার্থ মাত্রেরই অস্তিত্ব থাকিতে পারে না, যেমন সময়ের অনন্ত সাগর শুকাইলে, সেই সাগরের উৰ্ম্মিরূপী দিবা মাস বর্ষাদির অস্তিত্ব থাকিতে পারে না ; তেমন কারণের অনন্ত সাগর--ঈশ্বর—ন থাকিলে, সে সাগরের উৰ্ম্মিরূপী দৃশ্যমান মাত্রেরই অস্তিত্ব থাকিতে পারে না । সুতরাং স্পেন্সরের যুক্তি ভ্রান্ত প্রমাণিত হইল—অর্থাৎ বিশ্বের অকারণত্বে অবিশ্বাস করিয়া বিশ্বকৰ্ত্তার অকারণত্বে বিশ্বাস স্থাপন অদার্শনিক নহে, ইহ প্রদর্শিত হইল । অধুনা অজ্ঞতাবাদিগণ ঈশ্বর সম্বন্ধে কোন কথা উপস্থিত হইলেই বলিয়া থা কেন, “তোমরা ঈশ্বরকে মনুষ্য গড়িয়া লও । মনুষ্য অপেক্ষা স্বষ্টিতে কখনও শ্ৰেষ্ঠতর জীব দেখ নাই; তাই ঈশ্বরের চিন্তা করিতে গেলেই তোমরা উহাকে মমুষ্যের গুণে সজ্জিত করিয়া ফেল ।” এ সম্বন্ধে স্পেন্সর নিম্নলিখিতরূপ বলিয়াছেন—“আমরা মুহুর্তেকের জন্য কল্পনা করিব যে আমার সম্মুখস্থিত ঘটিকাযন্ত্রের জীবন