পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&込 আছে ; এবং ইহার টিক্‌টিক্‌ শব্দই ইহার জীবনের চিহ্ল । এমন অবস্থায় যদি ঐ সপ্রাণ ঘটিকা যন্ত্র বলে যে তাহার নিৰ্ম্মাতার কাৰ্য্যকলাপও তাহার নিজের মত প্রিঙ্গাদি (Spirngs and escalements) ątā frāfērā, stą তাহার বাক্য ধৰ্ম্মগুরুদিগের উপদেশের অনুরূপ হইবে।” স্পেনসর, এখানে একটা লজ্জাকর ভ্রমে পতিত হইয়াড়েন । র্তাহার তুলনায় সামঞ্জস্য অথবা সাদৃশ্য নাই। কোন সভ্য দেশেই ঈশ্বরকে কেচু শরীর জীব বলিয়া বিশ্বাস করে না । তবে ধৰ্ম্মেপিদেষ্টারা কিরূপে বলিবেন'তামাদিগের নিৰ্ম্মীতার কার্যকলাপ আমাদিগের মত হৃদয়যন্ত্র মস্তিষ্ক প্রভৃতি দ্বার নিয়মিত ? ঘটিকাযন্ত্র যদি প্রাণ পাইত,এবং প্রাণের সহিত চিন্তাশক্তি লাভ করিত, আর তৎপরে যদি বলিত তাহার নিৰ্ম্মাতা তাহার মত ( তাহার মত শক্তির সাদৃশ্যে অথবা সমজাতীয়ত্বে, পরিমাণে নহে ) চিন্তা ও ইচ্ছাবিশিষ্ট, তবে কি ঘটিকার বাক্য সত্য হইত না ? অবশ্য হইত। যদি ঘটিকার তদ্রুপ বাক্য সত্য হইতে পারিত, তবে মনুষ্য যখন বলে, "অসুর নিৰ্ম্মাতা, স্রষ্টা, আমার মত ইচ্ছ ও গুণ বিশিষ্ট” (এখানে ও “মত” সাদৃশ্বে, পরিমাণে নহে, ) ভঁtহার কথা কেন অসত্য হইবে ? ঈশ্বরের গুণ আমাদিগের গুণের জাতীয় বলিলে ঈশ্বরের মহিমার হানি হয় ন! ; বরং সে মহিমার জোতি অারও স্ফ • রিত হয় । যদি ঈশ্বর প্রদত্ত গুণগুলি ક્રો স্থার গুণ হইতে বিজাতীয় হুইত, তবে তাহারা গুণ-নামের অযোগ্য হুইত, কারণ যাহাতে দেবত্ব নাই, ঈশ্বরত্ব নাই, তাই যদি গুণ নাম পাইবে,তবে দোষ বলিব কাহাকে ? আর তাহ হইলে ঈশ্বরের ঈশ্বরত্ব থাকিত না । যে ঈশ্বর আপনার সন্তানগণকে স্বীয় গুণে ভূষিত করিতে কুষ্ঠিত, তিনি ঈশ্বর তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা }\ ১৮কল্প, ২ ভাগ নহেন, তিনি সয়তানশ্রেণীয়। আর দীপালোক ও সূৰ্য্যালোক একজাতীয় বলিয়৷ কি সূর্য্যের মহিমার হ্রাস হইয়াছে ? --অথবা, ক্ষুদ্র সরসী এবং অনন্ত সমুদ্র এক জাতীয় বলিয়া কি সমুদ্রের গৌরবের ক্ষতি হইয়াছে? না। তদ্রুপ মনুষ্যের গুণ ঈশ্বরের গুণের সহিত এক জাতীয় বলিয়া ব্রহ্মাণ্ডপতির মহিমা হ্রাস প্রাপ্ত হয় নাই । সুতরাং এখন আমরা দেখিতেছি যে ধৰ্ম্মোপদেষ্টাগণ ঈশ্বর সম্বন্ধে যে উপদেশ দিয়া থাকেন, তাহা স্পেন্সর যত অসঙ্গত মনে করিয়াছেন, তত অসঙ্গত নহে ! ঈশ্বরকে মনুষ্য যে তাহার প্রকৃতিবিশিষ্ট মনে করে, তাহা ভ্রান্তি নহে ৷ গুণ যাহা, সত্য যাহা, তাহা সৰ্ব্ব সম্বন্ধেই সমান । ঈশ্বরেতে যাহ। গুণ, মনুষ্যেতেও তাঁহা গুণ - তবে মনুষ্যের গুণ একটা বায়ুম্ফীত বারি-শীকর, আর ঈশ্বরের গুণ সেই অনন্ত জলধি হইতেও অনন্ত। অীর একটী কথা বলিয়া আমরা অদ্য বিদায় লইব । ইহার পর অজ্ঞতাবাদী বলিতে পারেন, “ঈশ্বরকে ইচ্ছাবিশিষ্ট বলিতে হয় বল, দয়াশীল বলিতে হয় বল ; কিন্তু তিনি অনন্ত, র্তাহার অনন্ত মূৰ্ত্তি তোমার সঙ্কীর্ণ মানস-পটে কিরূপে প্রতিফলিত হইবে ? ” তামরা বলি না, তাহার অনন্ত দয়া, অনন্ত ন্যায়, অনন্ত প্রেম, অনস্ত জ্ঞান আমরা সম্যকৃরূপে মনে ধারণা করিতে পারি। না পারিলাম, ক্ষতি কি ? আমরা স্থান ও সময়ের অনস্তত্ব সম্যক ধারণা করিতে পারি না ; কিন্তু তথাপি আমরা তাহাতে বিশ্বাস করি, এবং তৎসম্বন্ধে আমাদিগের জ্ঞানও অতি পরিস্কার । শিশু তাছার মাত৷ পিতার হৃদয়ের ভাবরাশির সীমা করিতে পারে না ; অপরিমিত আহার করিলে, অথবা অন্য কোন শিশুর প্রতি अनाया आझ् ब्र१ कfद्रद्दल, टैंiश्ॉब्रां ¢कन ऊांहद्वक धझाँग्न.