পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tछार्छ x४०२ ও তিরস্কার করেন, বুঝিতে পারে না । তাই বলিয়া কি সে শিশু পিতা মাতার উপর নির্ভর করে না ? বিশ্বাস করে না ? ঈশ্বর ও মনুষ্য সম্বন্ধেও তদ্রুপ । তাহার অনন্তত্ব আমরা সম্যক্ ধারণা করিতে পারি না, তিনি কেন আমাদিগকে সম্পদের রত্নসিংহাসনে উত্তোলন করেন, তিনি কেন আবার আমাদিগকে বিপদের কণ্টকিত শয্যায় নিক্ষেপ করেন ; তাহা আমরা সম্যক বুঝিতে পারি না। না পারিলাম, তথাপি শিশুর যেরূপ তাহার জনক জননীতে তাস্থার মঙ্গলসাধনপক্ষে যথেষ্ট জ্ঞান ও শক্তি আছে একথায় বিশ্বাস রহিয়াছে, আমাদিগেরও ঈশ্বরেতে আমাদিগের মঙ্গলসাধনপক্ষে যথেষ্ট জ্ঞান ও শক্তি আছে, এ কথায় বিশ্বাস আছে । আর ঈশ্বর যদি সম্যক জ্ঞেয় হইতেন, তবে কি হইত ? তবে সংসারে ঈশ্বরে কেহ ভক্তি করিত না । আমরা যাহার দয়া, ন্যায় ও জ্ঞান-সাগরের পরিমাণ করিতে পারি, আমাদিগের ক্ষুদ্র বুদ্ধির সেতু র্যাহার অস্তিত্বসাগরের বিস্তার পরিমাণ করিতে পারে, তিনি কি আমাদিগের ঈশ্বর হইতে পারেন ? তাহার নিকট কি আমরা বিস্ময়-প্রেম-ভরে ডুবিয়া যাইতে পারি ? তাহার পূজার জন্য কি আমরা ধন, মান, প্রাণ, বিসর্জন করিতে প্রস্তুত হইতে পারি ? আমরা তাহার ন্যায়, জ্ঞান, প্রেম প্রভৃতি যেমনি বুঝিয়াছি, তেমনি বুঝিয়াছি যে সে সমস্ত আমাদিগের জ্ঞানের অপরিমেয়। আর ইহা বুঝিয়াছি বলিয়াই তাহার নামে আমাদিগের गखुद फादबड झझ । হিন্দ জাতির ঐক্যসাধন | | N○○ হিন্দুজাতির ঐক্যসাধন এখন হিন্দুদিগের মধ্যে অনৈক্যের ভাবই প্রধান। বাঙ্গালী, উৎকলী, পঞ্জাবী, মহারাষ্ট্ৰী সকলেই হিন্দু কিন্তু ইহাদিগের মধ্যে কিছুমাত্র একতা নাই। একতাত দূরের কথা, বরং পরম্পরের মনে অনেকানেক বিষয়ে একট বিদ্বেষের ভাব জাগরূক আছে। এক জাতি অন্য জাতির ভাষা কিম্বা আচার ব্যবহারে ক্রর কটাক্ষপাত করেন। এক জাতি অন্য জাতির কোন বিশেষ উন্নতি দেখিলে ঈর্ষান্বিত হন। বাঙ্গালী উৎকলীকে উৎক্ষলী বাঙ্গালীকে, পঞ্জাবী মহারাষ্ট্রীকে মহারাষ্ট্ৰীপঞ্জাবীকে ঘৃণা করেন ও তাছার প্রতি নানা প্রকারে বিদ্বেষ ভাবের পরিচয় দেন। ইহা একটা শোচনীয় ব্যাপার । এক জাতীয় ব্যক্তিগণের মধ্যে ঐক্য না থাকিলে সে জাতির উন্নতির আশ। সুদূরপরাহত। ভারতবর্ষস্থ সকল জ' তির বর্তমান অবস্থা সকল বিষয়ে প্রায় একই রূপ, তথাপি তাহদের মধ্যে ঐকা নাই ইচ। জাতি-গত মঙ্গলের পক্ষে একটী মহান অন্তরায়। হিন্দুজাতি এখন অবনত, উন্নতি ও সভ্যতার উচ্চ মঞ্চে আরোহণ করিবার জন্য ইহার বল আবশ্যক, কিন্তু বলের প্রধান কারণ একতা, যদি পরস্পরের মধ্যে সেই ঐক্যই না. রছিল তাছা হইলে ইহার উন্নত হইবার আর আশা কোথায় । এক্ষণে যে সকল উপায় অবলম্বন করিলে একটা জাতীয় ঐক্য সাধিত হইতে পারে আমরা সংক্ষেপে তাহারই উল্লেখ করিতেছি । প্রথম ধৰ্ম্মের একতা । ইহাই অন্যান্য সকল ঐক্যের মুল । সাধৰ্ম্ম্য ব্যতীত বৈধৰ্ম্ম্যে কখন মিল হয় না। যদ্যপি আচার ব্যবহার, ভাষা ও অন্যান্য সকল বিষয়ে এক জাতির সহিত অন্য জাতির ঐক্য না থাকে