পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ ১৮৯২ না করিয়া চলিলে সুশৃঙ্খলে গৃহবাস অসম্ভব হইয়া উঠে, সেই রূপ এক দেশের বিভিন্ন জাতি পরম্পরের সামান্য দোষ অগ্রাহ্য করিয়া না চলিলে উন্নতির পথ পরিষ্কত ও প্রতিবন্ধকশ্বন্য হয় না। এই ! ভারতবর্ষের প্রত্যেক জাতির দোম ও গুণও আছে । এক্ষণে যদি সকলে পরস্পরের দোষে ক্ষমা করেন এবং গুণের জন্য পরম্পরকে শ্রদ্ধ করেন তাহা হইলে সমস্ত হিন্দুজাতির মধ্যে প্রগাঢ় অনুরাগ সঞ্চারিত হইতে পারে । চতুৰ্থ, পরস্পরের সাহায্যে পরস্পরের সাম জিক অথবা চরিত্রগত অভাব মোচন । হিন্দুদিগের মধ্যে এক জাতির স্থরীতি ও স্ল'নয়ম যদি অন্য জাতি অনুকরণ করেন তাহা হইলে উভয়ের মধ্যে প্রীতি ও একত। বদ্ধমূল হয়। এস্থলে দৃষ্টান্ত-চলে একটা কথ। বলি । বৈধ স্ত্রীস্বাধীনতা আমাদিগের প্রাচীন রীতি। বর্তমানে বঙ্গদেশীয় স্ত্রীলোকদিগের অসুর্যাম্পশ্যভাব ঐ প্রাচীন রীতির বিপোপী । যদি বাঙ্গালীর। এই বিষয়ে দাক্ষিণাত্যের ব্যবহার গ্রহণ করেন, তাহ হইলে দাক্ষিণাত্যবাসীদিগের সহিত বাঙ্গালীর সদ্ভাব আরো বৃদ্ধি হইবার সম্ভাবনা। ইংরাজদিগের অতুrগ্র প্রখর স্ত্রীস্বাধীনতার অনুকরণ করা অপেক্ষা দাক্ষিণাত্যের আদর্শে লুপ্তপ্রায় প্রাচীন হিন্দু-রীতির পুনরুদ্ধার-চেষ্টা সৰ্ব্বতোভাবে শ্রেয়স্কর। এইরূপ ভারতবর্ষীয় সকল জাতি পরস্পর পরস্পরের অনুকরণে সামাজিক ও চরিত্রগত অভাব বিমোচনার্থ তৎপর হইলে সহজেই একটী একতা আসিয়া উপস্থিত হইবে । । পঞ্চম যৌন সম্বন্ধে পরস্পর আদান প্রদান । এক্ষণে বঙ্গদেশবাসীর সহিত *ांच्चांदौव्र अथव। ०iछांशैब्र जहिङ बांक्राज्ञैौद्र বিৰাহ-রীতি প্রচলিত নাই। বিবাহ স্বজা রামচন্দ্রের সংক্ষিপ্ত জীবনী ○(。 তির মধ্যেই বদ্ধ। এই বদ্ধভাব দূর করিয়া ভারতবর্ষের সকল জাতি পরম্পরের মধ্যে বিবাহ-রীতি প্রচলিত করেন ইহা নিতান্ত বাঞ্ছনীয় । এই রূপ বিবাহ-রীতি প্রচলিত করিতে হইলে উহাতে সম্পূর্ণরূপে অসবর্ণতা-দোষ পরিহার করিতে চইবে,অর্থাৎ পঞ্জাবী ব্রাহ্মণ-কন্যার সহিত বঙ্গীয় ব্রাহ্মণপুত্রের কিম্ব পঞ্জাবী কায়স্থ-কন্যার সহিত বঙ্গীয় কায়স্থপুত্রের বিবাহ হইবে । এই প্রকার বিবাহের অার একটি ফল এই হইবে যে, শারীরিক বল প্রভূতি পঞ্জাবী-গুণ মাহ। বঙ্গবাসীদিগের নাই তাহা বঙ্গ সন্তানগণ প্রাপ্ত হইবেন এবং বুদ্ধি-প্রাথর্য্য প্রভূতি বঙ্গীয় গুণ মাহ৷ পঞ্জাবীদিগের নাই, তাহ। তাহার প্রাপ্ত হইবে । এই প্রকার বিবাহরীতি প্রচলিত হইলে সমস্ত হিন্দু জাতি অকাট্য সখ্য-সূত্রে ও নিকট সম্বন্ধে নিশ্চয়ই আবদ্ধ হইবে এবং ক্রমে ক্রমে তাহাদিগের মধ্যে সম্পূর্ণ ঐক্য সংস্থাপিত হইবে । সমস্ত হিন্দু জাতির মধ্যে প্রীতি-ভাব গাঢ়রূপে বদ্ধ হইলে তদ্বারা ভারতের অশেষ কল্যাণ সাধন হইবে । ভারতবর্ষের হিন্দুজাতিগণ একমন এক প্রাণ হইলে তাহাদিগের আর প্রতিম্পদ্বী কে হইতে পারে ? ঈশ্বর করুন সমস্ত হিন্দুজাতি যেন একতা-শৃঙ্খলে বদ্ধ হইয় তাহাদিগের বর্তমান দুরবস্থা মোচনে তৎপর হয় এবং উন্নতির পথে অগ্রসর হইয়া পৃথিবীস্থ প্রধান প্রধান জাতির মধ্যে উচ্চ আসন লাভ করে । রামচন্দ্রের সংক্ষিপ্ত জীবনী । ৪৪১ সংখ্যক পত্রিকার ১৯ পৃষ্ঠার পর। এদিকে ভরত পৌর জানপদগণের সহিত চিত্ৰকূটে উপস্থিত হইলেন এবং রামচন্দ্রের পদতলে নিপতিত হইয়া পিত। দশরথের