পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woly হইয়া লঙ্কাপুরীতে উপস্থিত হক্টলেন এবং झञ्चिदांहलझे હો পুী অবরোধ করিলেন । তখন রাবণ চিন্তিত হইল । রাবণের কনিষ্ঠ ভ্রাতা ধাৰ্ম্মিক রিচয়ণ রাবণ কর্তৃক অপমানিত ও তাড়িত হুইয়। রামচন্দ্রের নিকটে আসিয়া তাহার সহিত মৈত্রীস্থাপন কৰিলেন । বিভীমণ এই ভীমণ সমরে রামচন্দ্রের বিশেষ স চায়তা করিতে লাগিলেন । সন্ধির সমস্ত চট; বিফল হইল এবং ঘোরতর যুদ্ধ আর স্তু ছইল । দিন দিন বহুসংখ্যক রাক্ষস ও বানর নিহত হইতে লাগিল । উভয় পক্ষে মধ্যে মধ্যে বিষম সঙ্কট উপস্থিত । চতুর্দিকে রাম ও রাবণের জয়ঘোষণা প্রচারিত হইতে লাগিল । র ল দ্বারা লৌহবদ্ধ লগুড় সমূক চূর্ণাঙ্ক ত হইতে লাগিল । বৃহৎ বৃহৎ শিলা দ্বারা মুদগর সকল মিস্পিষ্ট হইতে লাগিল । বানর ও রাক্ষসে এই রূপ তুমুল সংগ্রাম বহুদিন চলিয়াছিল। o 5 தி সমবেত্থিত ধূলিপটল রাক্ষস-শোণিতনদীতে নিপতিত হইস বিলীন হষ্টতে লাগিল ! এক এক করিয়া সমস্ত রাক্ষসপীর সং গ্রামে আগমন করিল এবং রাম ৫ লক্ষণের স্তস্তে কালকবলে পতিত হইল । 3াবণের পুত্র মেঘনাদ নাগপাশে রাম ও লক্ষণকে বন্ধন করিল কিন্তু গরুড়ের আগ মনে উহ। শিথিল হুইয়া গেল । রাবণ শক্তি শেল প্রচারে লক্ষণের বক্ষঃস্থল বিদীর্ণ করিল, | কিন্তু মহেীমধ সেবনে লক্ষণ আরোগা অবশেয়ে রামচন্দ্র রাবণের দুৰ্জ্জয় ভ্রাত কুম্ভকৰ্ণ ও রাবণকে এবং লক্ষণ রাবণপুত্র মেঘনাদকে সম্মুখ-সমরে বিনাশ করিলেন । বহুদিন পরে যুদ্ধের অবসা হইল । তখন রামচন্দ্র বিভীষণকে লঙ্কার সিংহাসন অপর্ণ করিয়া সীতা সমভিব্যাহারে সগণে ও সসৈন্যে অযোধ্যালিযুখে যাত্র করিলেন । অধে}ধ্যায় আগমন করিবমাত্র লাভ করিলেন । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা s० कब्र; २ छांन ভরত নাসস্বরূপ রাজাভার রামচন্দ্রের হস্তে সমপর্ণ করিয়া বিগতজ্বর হইলেন । রামচন্দ্র বনবাসবেশ পরিহার পূর্বক সকলকে সন্তুষ্ট করিয়া স্বয়োগ্য সিংহাসন অধিকার করিলেন । প্রজাগণ হৃষ্ট ও সন্তুষ্ট হইল । এই সময়ে রামচন্দ্রের বয়ঃক্রম চত্বরিংশ বৎসর এবং সীতার চতুস্ত্রিংশ বৎসর । অযোধ্যাধিপতি রামচন্দ্র সীতার সহিত পরম সুখে কালক্ষেপ করিতে লাগিলেন । তিনি পিতার ন্যায় প্রজাদিগকে স্থতনির্বিশেসে পালন করিতে লাগিলেন । র্তাহার রাজ্যক 'লে প্রজাগণ ভ্ৰষ্ট, পূট ও সন্তুষ্ট ছিল । তাচার রাজ্যে দুর্ভিক্ষের শঙ্ক ছিল না ; অগ্নিভয, বায়ুভয় প্রভৃতি অজ্ঞাত ছিল ; নগর ও রাষ্ট্র সকল ধন ধানাসম্পন্ন ছিল, এবং প্রকৃতিপুঞ্জ নিবন্তর সুখে কলহরণ করিত | এইরূপে জীবলোকের রক্ষক ও স্ব জনপলক রামচন্দ্র প্রজারঞ্জন করিতে লাগিলেন । তিনি ধৰ্ম্মশীল ও সুশীল; রাজনীতি তাহার কণ্ঠস্থ; ধনুৰ্বেদ ঠাহীর অধিকৃত; সাধুগণের উপকার এ সংকার্য্যের প্রচার তাছার অভ্যস্ত ; এবং প্রজীপালন তাহার প্রিয়ত্রত ছিল । তিনি তেজস্বিতায় সূর্যাকে, ক্ষান্তিগুণে সৰ্ব্বংসছ পৃথিবীকে,বুদ্ধিতে দেবগুরু বৃহস্পতিকে এবং কীৰ্ত্তিতে সুরপতিকে অতিক্রম করিয়াছিলেন। তিনি পণ্ডিতগণের পূজিত,প্রজাবৃন্দের অভার্চিত এবং ভ্রাতৃগণের আরাধ্য ছিলেন। তিনি সতাধৰ্ম্মনিরত, দেশকালজ্ঞ এবং প্রিয়বাদী ছিলেন। র্তাহার দেহের বর্ণ শ্যামল ও চিকণ, প্রমাণ চারি হস্ত, এবং সৰ্ব্বাবয়ব স্বরূপ ও সরল । এই রাজ্যকালে সীতাকুশ ও লবনামে দুই পুত্র প্রসব করেন । ইতিমধ্যে যমুনাতীরবাসী ঋষিগণ লবণাস্থর কর্তৃক প্রপীড়িত হইয়। রামচন্দ্রের নিকটে শরণার্থী হইয়। উপস্থিত হইলেন । রামচন্দ্র শক্রয়কে س 5ة يا