পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 কোন ঈশ্বর-প্রাণ সাধকের না পূজার্কিন করিতে ইচছা হয় ? সেই জন্য ধৰ্ম্মপরায়ণ আর্যজাতি মধ্যে মান উপায়ে উপাসনার স্থান ম গুপাদ প্রস্তুত করিবার রীতি-পদ্ধতি দৃষ্ট হইয়া থাকে । হিন্দুসমাজ মধ্যে উপাসনা-কালে যে ধূপ ধুন: গুগগুল কপূর প্রভৃতি ব্যবহারের প্রণালী প্রবর্তিত আছে ; তৎসমূহ সাধন-সময়ে শরীর মনের পক্ষে যার পর নাই কল্যাণকর । সুগন্ধ আস্ত্রাণ দ্বার। যেমন চিত্ত-গ্রনিকর হুগন্ধ প্রভৃতি তান্তরিত হয়, তেমনি তদার মন প্রসন্ন ৫ প্রফুল স্থ ইস। উঠে এলং ধূপ ধুন। গুগগুল কপূর ধুমে মশক মক্ষিক প্রভৃতি চিন্ত পিক্ষেপপ রী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কীট পতঙ্গের অত্যচর হইতে নিষ্ক fত পাইয়া অক্ষত শরীরে প্রশ{ স্ত সদ যে পরব্রহ্মের সমাধি সাধন হইয় থকে ! এর আমরা যেমন গৃহ উদ্যানের শোভ-সম্পাদনের মৃত্ন চেষ্টা করিয়া, থাকি

  • ,

يقة তেমনই তাহার সঙ্গে সঙ্গেই মেন উপাসন マラ স্থানের উৎকর্ম সাধনের জন্য মৰ্ব্বাগ্রে মন্ত্রশীল হই । সাধারণ হিন্দুসমাজ মধ্যে কৈছু মণ্ডপ মন্দিরের "অপ্রতুল নাই, কিন্তু অধুনাতন কৃতবিঃ ধনশালী হায্য-সন্তানগণ যে সকল সুরম্য হ খুঁ্য নিৰ্ম্মী করিতেছেন, তন্মধ্যে অনেক স্থলেই সাম্রম-আলস্কাপ-স্বরূপ উপাসন-মণিব প্রভূ ত নিৰ্ম্মিত হইতে দেখা যায় না । এটা অ’।-সন্তানের পক্ষে একটা অপরিহার্য্য এটা fব জাতীয় শিক্ষা অনুকরণের একটী বিস্ময় ফল । সমুদয়ি মনুষ্য-সমাজ মধ্যে যেমন আর্য জাতিই সৰ্ব্বপ্রথমে ঈশ্বপকে আত্মার অস্তুবীয়া রূপে প্রতীতি করিয়াছিলেন তেমনি তাহার সঙ্গে সঙ্গেই আর্য্যসম্ভ নগণই তাহাকে সর্বাগ্রেই গৃহ-দেবত রূপে নিত্য নিয়মে পুজাৰ্চনা করিবার জন্য প্রতি 蜗

ল ": { ի չս

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ১• কল্প, ১ ভাগ গৃহেই মণ্ডপ মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রণালী প্রবৰ্ত্তিত করিয়া গিয়াছেন । এই কল্যাণকর সুনিয়মের অন্যথাচরণ করিয়া গৃহকে শ্মশানসমান করিয়া ফেলিবে না। যে গুছে ঈশ্বরের আরাধনার স্থান নাই, – যে পরিবারে তাহার সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত নাই,যে অtশ্রমে নিত্যনিয়মে তাহার পূজার অনুষ্ঠান নাই, সে গুহ পরিলার নিরানন্দময় । সে আশ্রম সিংহশাৰ্দ্দলপূর্ণ অরণ্য হইতেও অতি ভয়নিক জঘন্য স্থান । অতএব সৰ্ব্বপ্রস ত্বে হত্যুেন্নিতি-সংসাধন, সন্তান-সন্ততির ধৰ্ম্মভাব উদ্দীপন ও লোক-শিক্ষা-স্ট্র সম্পা. দন এবং আর্য্য-কল-মর্য্যাদা-সংরক্ষণ জনা প্রতি গৃহপরিবার মধ্যে সৰ্ব্বাগ্রে ধৰ্ম্ম-মন্দিব ও সাধন-মণ্ডপ সকল প্রতিষ্ঠা করিলে এবং নিত্য নিয়মে ত্রিসন্ধা; সেই দেব দেবের অ}রাধনায় নিযুক্ত থাকিয় আপনার, পরিবরের এবং জগতের কল্যাণ সাধন করিত্বে । \S তাজ্ঞতাবাদ সমালোচন । ৪৪. সংখ্যক পত্রিকার ২২৭ পৃষ্ঠার পর । ইতিপূৰ্ব্বে প্রমাণিত হইয়াছে যে স্বষ্টি করিলে ঈশ্বরের শক্তিগত নিরবলম্বত্ব অর্থাৎ নিঃসম্বন্ধত্বের কোন বিপৰ্য্যয় ঘটে না । তুমি এখন বলিতে পার,“আচচ্ছা,আনিলাম যে সম্বন্ধবিশিষ্ট রূপে ঈশ্বরের চিন্তা করিলে, তাহার শক্তিগত নিঃসম্বন্ধত্বের কোন হানি হয় না বটে, কিন্তু আমিত র্তাহার অনন্ততা বুঝিতে পরিলাম না ; কারণ চিন্তা চিন্তনীয় বিষয়ের সীমা নির্ণয় করে; যদি সম্বন্ধ-বিশিষ্ট রূপে— নিঃসম্বন্ধ ভাবেত চিন্তা হইতেই পারে না-- ঈশ্বরের চিস্ত করিলাম তবেত র্তাহার সীমা নির্ণয় করিলাম – তবেজ তাছার অনস্তুত রহিল না—তবেত তিনি সসীম হইলেন ।” আমরা স্বীকার করি যে চিন্তু নিত্য-সম্বন্ধ