পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

אישג bזertsי পূর্ণ মহান পুরুষ অামারদিগকে কুশলে কুশলে রক্ষা করেন, যিনি নিঃশব্দে শ্রান্তিহর নিদ্রাকে প্রেরণ করিয়া কৰ্ম্মশ্রম-জনিত অামারদের শরীর মনের সমুদায় ক্লান্তি বিচিত্র কৌশলে বিদূরিত করিয়া দেন ; বিনি মৃতপ্রায় শরীরে, চিন্তাশূন্য মনে নূতন বল-বীৰ্য্য প্রেরণ করিয়া রজনীর নিশ্চেষ্ট অবস্থা হইতে আমারদিগকে জাগ্ৰত করিয়া, নব লোক-প্রদর্শনের ন্যায় আমারদিগকে শোভ সৌন্দৰ্ঘ্য-পূর্ণ পবিত্র প্রাতঃকালে মৃতন স্বাক্টর মধ্যে আনয়ন করেন, আমর গুপ্তোধিত হইয়া প্রাতঃকালে যাহ! সম্ভোগ করব, সমুদায় ঞ্জাব নিদ্রিত ও সমৃগু হইলে মিনি ও ত থাকিয়া সকলের প্রয়োজনীয় ন}ল; তীর্থ নিৰ্ম্মাণ করিতে থাকেন ৭ এম স্থ1ে; #{গষ্টি কমিং কামং পুরুষোনিৰ্ম্মি 1 : : এবং প্রাতঃকালে ধন-ধান্য সুখ-রত্নসর পূর্ণ অধারিত সদাব্রত-দ্বার তামারদের উদঘাটিত করিয়া দেন, এই পবিত্র সময়ে সহজেই তাহার স্নেহ : প্রম আমারদের হৃদয়কে তাকর্ষণ করে । ভূরে প্রতিকৃতি নিদ্র হইতে উত্থিত হুইয়া পুৰ্ব্বালস্থ; আলোচনা করিলে তাপন৷ হইতেই হৃদয়-মন-আত্ম। র্তাহার সন্নিধানে রু তজ্ঞতা-ভরে অবনত হইয় পড়ে এই জন্যই পবিত্র প্রাতঃকাল ব্রহ্মোপাসনার পক্ষে বিশেষ উপযোগী । উপদেশ ও দৃষ্টান্ত দ্বারা মানব-আত্ম৷ সহজেই শিক্ষিত ও উত্তেজিত হয় । অতএব পবিত্র প্রাতঃকালে সমুদায় প্রকৃতি যেন উন্নতমনা আচার্য্যের ন্যায় আমারদিগকে ত্রহ্মোপাসনার উপদেশ ও দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিতে থাকে। প্রাতঃকালে সুগন্ধি, কুস্থমদল উৰ্দ্ধ-মুখ হইয়া যেন ঈশ্বর" উদ্দেশে গন্ধ দান করে, প্রাতঃসমীরণ মন্দ সম্মুখে সমে ষ্টে প্রাতঃকাল 'মধুর স্বরে মানব-কুলকে বাহ্য 84 মন্দ প্রবাহিত হইয়া যেন স্বীয় স্রষ্টাকে চামর বীজন করিতে আরম্ভ করে, সমুদায় ভূমণ্ডল হৃদয়-থালোপরি বিবিধ ফল শস্য .ধারণ করিয়া যেন ঈশ্বরকেই উৎসর্গ ক রিতে থাকে ; প্রাতঃসূর্য সমুদিত হইয়া যেন র্তাহার পূজায় দীপ দান করে ; গায়ক বিহঙ্গদল যেন তাহারই মঙ্গলগীত গানে প্রবৃত্ত হয় ; ওষধি বনস্পতি-সকল যেন তাহার স্তুতি-গীত-শ্রবণে স্তব্ধ হইয় শিশির নিপতিচ্ছলে প্রেমাশ বিসর্জন করিতে থাকে ; পবন-অন্দোলিত তরু-রাজি যেন অবনতমস্তকে তাঙ্কাকে বার বার প্রণিপাত করিতে থাকে। সমুদায় প্রকৃতি যেন অব্যক্ত মৃত্যু জগতে ঈশ্বরের পূজাৰ্চনার অনুষ্ঠান দেখাইয়া সমু দায় হৃদয়-মন-আত্মীর সচিত পবিত্র ব্রহ্ম মুহুৰ্ত্তে—মুমিন্ধ প্রাতঃকালে বিশ্ব জন-সন্তজনীয় পরমেশ্বরের পূজাস্টিনায় প্রবৃত্ত চন্তে উপদেশ দিতে থাকে। যে সময়ে সমুদায় প্রকৃতি জাগ্রত হয়, চেতন-অচেতন সকলে মিলিয়া ঈশ্বরের মাহাত্ম্য-ঘোষণায় প্রবৃত্ত হইয় থাকে, এই পবিত্র প্রাতঃকালে যিনি আলস্য-পরতন্ত্র হইয়া বিশ্রাম-শয্যায় শয়ান থাকিয় প্রাকৃতিক মঙ্গল-মহোৎসবে উপনীত হইতে না পারেন, তিনি ব্রহ্মসাধনের একটী অপূৰ্ব্ব অবসর পরিত্যাগ করিয়া বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হন । অতএব এই সময় যেন কোন রূপেই বিফলে অতিবাহিত না হয়। যখন সমুদায় জীব-জন্তু জাগ্রত হইয়া একতানে ঈশ্বরের মহিমা মহীয়ান করিতে প্রবৃত্ত হয়, তখন স্বষ্টির পরম ভূষণ-স্বরূপ জ্ঞান-ধৰ্ম্ম সমন্বিত মানব-আত্মার নিশ্চেষ্ট ভাবে অব স্থান করা.কোন রূপেই কর্তব্য নহে । রজনীর অসহায় অবস্থাতে আমারদের উপরে জগদীশ্বরের যে অকৃত্রিম স্নেহ করুণ