পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bP বর্ষিত হইয়াছে, তাহা স্মরণ করিয়া, বৰ্ত্তমানে উtহার প্রেম ও মঙ্গল ভাব প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করিয়া এবং ভবিষ্যতে র্তাহার অtদিষ্ট সংসার-ধৰ্ম্ম প্রতিপালনের শক্তি-সামর্থ্য এবং পাপ তাপ হইতে স্থরক্ষিত হইয়। তীহ কৈ লাভ করিবার জন্য ধৰ্ম্মবল ও শুভ বুদ্ধি-প্রীপ্তির নিমিন্তে নিতা-নিয়মে এষ্ট পরিত্র সময়ে কৃতজ্ঞ হৃদয়ে কায়মনোবাক্যে র্তাহার ধ্যান ধারণা, পূজাৰ্চনা এবং স্তব-স্তুতি প্রার্থনা করা মনুষ্য মাত্রেরই প্রধান ও প্রথম কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম । মধ্যাহ্-কাল । সাধকের পক্ষে মধ্য{হ কাল ঈশ্বরের জ্ঞান-শক্তি, স্নেহ-করুণ প্রত্যক্ষ প্রতীতি করিবার একটি প্রশস্ত সময় সকল কালে সকল সময়ে ঈশ্বরের প্রীতি-প্রবাহ সমান রূপেই সৰ্ব্বত্র প্রবাহিত হইতেছে, কিন্তু মধ্যাহূ কালে এই বিশাল সংসারক্ষেত্রে ভঁtহার স্নেহ-করুণ অতি উজ্জ্বলতর রূপে সকলের চক্ষে প্রতিভাত হয়, সুতরাং তাঁহ উপলব্ধি করিয়া তাহাতে হৃদয় মন আত্মা সমাধান করা সহজ ব্যাপার। প্রকৃতি-পটে এই সময়ে যেন তাহার বিমল মঙ্গলরাপ সুম্পস্টরূপে প্রতিবিম্বিত হয়। জনসমাজের মধ্যে যেন তিনি অতি জাগ্ৰত জীবস্তু ভাবে প্রকাশ পাইতে থাকেন। মধ্যাহূ কালে কোন বস্থই নিরুদ্যম বা নিজীব ভাবে প্রকাশ পায় না । রাজীকে নিকটস্থ দেখিলে যেমন র্তাছার প্রজাদল উৎসাহের সহিত সকল কার্য্য সমাধা করে ; প্রভুকে সন্নিহিত দেখিলে যেমন সেবকগণ তটস্থ হইয় তাহার আদেশ পালন করিতে থাকে ; গুরুকে সম্মুখে দেখিলে যেমন শিষ্যগণ শশব্যস্ত হইয়া শিক্ষা অধ্যয়নে প্রবৃত্ত হয়, মধ্যায়ুকালে তেমনই যেন সেই রাজাধিরাজ, ত্ৰিভূবনপরিপালক জগৎ-গুরু জগদীশ্বর তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। •• कछ, ९ उ' তাহার সংসাররাজ্যের মধ্যে আবিভূত হওয়াতে সমুদায় লোক সমাজ যত্ন উদ্যম সহকারে প্রাণ পণে র্তাহার প্রিয় কাৰ্য্য সাধন করে, ঊাহার আদেশ পরিপালনে প্রবৃত্ত হয়, তাহার আদিষ্ট জ্ঞান-ধৰ্ম্ম শিক্ষায় উংসাহের সহিত প্ররক্ত হইয়া থাকে । মধ্যtহ্ন কালে সেই করুণানিধান পরমেশ্বর সেন তাহার অশেষ ভাণ্ডার-দ্বার উদঘাটন করিয়া অজস্ররূপে তাহার আশ্রিত অযুত অগণ্য জীবজন্তু কীট পতঙ্গ প্রভূতিকে তাম পান বিধান করিতে থাকেন । তাহার অবরিত সদাব্রতে যেন সকলকে সস্নেহে আহবান করেন । এই সময়ে তাহার ভয়ে সূর্ঘ্য প্রখর জ্যোতি বিকীর্ণ করে, তাহা ভয়ে অগ্নি প্রবলরাপে প্রজ্বলিত হয়, মেঘtলা অজস্ররূপে বারি বর্ষণ করে, বায়ু প্রবাহিত হইয় জগতের জীবনরক্ষায় প্রত্নত্ত হয়, বৃক্ষ লতা ফল পুষ্প-ভার মস্তকে ধারণ করিয়া দণ্ডায়মান হয়, মেদিনী স্বীয় বক্ষ বিদীর্ণ করিয়া ধন ধান্য, ফল মূল শস্য প্রদান করিতে থাকে পশুগণ সাধ্যানুসারে দুৰ্ব্বহ ভার বহন করিয়া তাহার সদাব্রতের সাহায্য করিতে থাকে। কৃষী-শিল্পীগণ প্রাণপণ যত্নে নানা দ্রব্য সামগ্ৰী ফল-শস্য নিৰ্ম্মাণ ও আহরণ করিয়া যেন তাহারই সন্নিধানে তাহারই প্রদত্ত বিদ্য বুদ্ধি, জ্ঞান-শক্তির অভিনয়ে প্রবৃত্ত হয় । ነ মধ্যাহ্ন কালে সংসার যেন একটী অনুপম মঙ্গল-মহোৎসবের ভাব ধারণ করে । যোগীগণ শান্ত সংযত চিত্তে তাহার ধ্যান ধারণায় প্রবৃত্ত হয়; বিদ্যার্থী সকল মহা উৎসাহে তাহার জ্ঞান-শক্তি মহুিমার পরিচয় পাইবার জন্য বিদ্যালয়ে ধাবিত হন ; আধ্যাপক সকল হর্ষ উৎফুল্ল হৃদয়ে স্বষ্টি-কৌশলে সেই পূর্ণজ্ঞান পরমেশ্বরের সত্য জ্ঞান মঙ্গল ভাবের ব্যাখ্যা করিতে থাকেন ; ধৰ্ম্ম-মন্দিরে সাধক

  • /