পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wशिा ४४४९ উপাসক-দল তদগত প্রাণে তাঁহারই মহিমা চিস্তনে নিযুক্ত হরেন ; নাবিক পরিব্রাজক সকল নিঃশঙ্ক চিত্তে নদ নদী সমুদ্র, দেশ দেশান্তর পর্য্যটন করিয়া দেশভেদে কালভেদে তাঁহারই নবতর কল্যাণতর স্বষ্টিকোশল সন্দর্শন করত উচ্চৈঃস্বরে সেই মহেশের মহদুযশ ঘোষণা করেন । এই পবিত্র সময়ে এই সকল জাগ্রত জীবন্ত ঘটনার মধ্যে থাকিয়াও যদি ঈশ্বরকে স্মরণ না হয়, এমন আনন্দ উৎসবের অভ্যন্তরেও যদি তাঁহাতে হৃদয় মন আত্মা সমাধান করিতে পারা না নায়, তবে আর কোন সময়ে তাহার উজ্জ্বলতর প্রকাশ সন্দর্শন করিতে সমর্থ হইবে ? ক্ষুধার অন্ন, তৃষ্ণার জল সম্মুখে প্রস্তুত দেখিয়া ও যদি কৃতজ্ঞতা-ভারে ঈশ্বর-সন্নিধানে শরীর মন তাত্ম অবনত না হয়, তবে আর কোন সময়ে তাহাকে সকৃতজ্ঞ হৃদয়ে প্রণিপাত করিবে ? জ্ঞান বিজ্ঞান লাভ করত মনের ক্ষুৎপিপাস। শান্তি করিয়া যদি বিদ্যাসম্পদ-বুদ্ধি-বিধাতাকে শ্রদ্ধ। ভক্তি প্রীতি অপণ করিতে সমর্থ ন হইবে, তবে কিসের দ্বারা অার মনের সদ্ভাব, প্রীতি-ভাব, ধৰ্ম্মভ}ব উত্তেজিত হইবে ? সংসার-সঙ্কটে পাপ ভাপ মোহ হইতে স্থরক্ষিত হইয়াও যদি সেই মুক্তিদাতা অখিলবিধাতা পরমেশ্বরের শরণাগত না হও, তবে আর কোন কালে তাহাতে আত্ম-সমৰ্পণ করিয়া নির্ভয় ও নিশ্চিন্তু হইবে । চতুর্দিকে আনন্দধারাবর্ধিত হইতেছে দেখিয়া—নগর গ্রামে, উদ্যান কাননে, চেতন অচেতন সমুদায় পদার্থকে তাহার আনন্দ-গীত গান করিতে শুনিয়াও যদি তুমি তোমার রসনাকে তাহার স্তুতিগানে নিয়োগ না কর, তবে আর কোথায় এমন আনন্দ উৎসব প্রাপ্ত হইবে ? ७हे भषाक्ष्किोल ८यभन त्रेश्वरङ्ग अंश ভক্তি প্রীতি অপর্ণ করিবার একটী প্রশস্ত মধ্যাকু-কাল | מל8 সময়,তেমনি তাহার প্রিয়-কাৰ্য্য-সাধন-পক্ষেও ইহা একটা অনুকূল কাল। এই সময়ে দীন দরিদ্র, অনাথ অন্ধ প্রভৃতিকে অন্ন-বস্ত্র, শ্রাস্তকে আসন, রোগীকে ঔষধ পথ্য, শোকাৰ্ত্তকে সাত্ত্বনা, নিরাশ্রয়কে আশ্রয়, বিদ্যাথাকে জ্ঞানশিক্ষা, ধৰ্ম্মজিজ্ঞাস্থকে ধৰ্ম্মেপিদেশ দিবার একটী স্থপ্রশস্ত অবসর । অতএব ধৰ্ম্মসাধনের এই সুন্দর অবসরকে কখনও অবহেলা করি ও না । ঈশ্বরকে অস্তরে বাচিরে জাগ্ৰত জীবন্তরূপে বর্তমান জানিয়া—তাহার স্নেহ প্রেম করুণা ও সতা মঙ্গল ভাবকে তোমার সকল কার্য্যের আদর্শ ও নিয়ামক করিয়া নিষ্কাম এবং নিঃস্বার্থ ভাবে সাধ্যানুসারে তাহার প্রিয় কাৰ্য্য সাধন করিবে। আপনাকে কৰ্ত্ত ভাবিয়া কোনরূপে দস্তু মাৎসর্য্যে স্ফীত হইও না । ঈশ্বরই এই জগতের অদ্বিতীয় হৰ্ত্ত কৰ্ত্ত বিধাত, তুমি আপনাকে তাহার সেবক পরিচারক জানিয়া বিনীত ও বিনম্র ভাবে তাহার প্রদত্ত ধন ধান্য, অন্ন পান, জ্ঞান-ধৰ্ম্ম,তাহার সন্তান সস্থতির মধ্যে র্তাহারই আদেশ অনুসারে পরিবেশন করিবে । কদাচ যেন সেই র্তব্য সাধনে ক্রট না হয়। ঈশ্বরের প্রিয় কাৰ্য্য সাধনের এই সুন্দর অবসর যেন বিফলে চলিয়া না যায়। প্রতিদিন আগ্রহের সহিত ঈশ্বরকে প্রীতি এবং তাহার প্রিয়কার্য্য সাধনের এই প্রশস্ত কালকে প্রতীক্ষা করিয়া রছিবে । যখনই এই সময় উপস্থিত হইবে, তখনই সকল বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করিয়া, তন্মন— একাগ্রমনা হইয়া ঈশ্বরে আত্ম-সযtধান করত, তাঁহাতে প্রীতি এবং তাছার প্রিয় কার্য্য সাধন করিবে ।