পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& c. রামচন্দ্রের সংক্ষিপ্ত জীবনী ৪৯২ সংখ্যক করি ৪০ পৃষ্ঠার পর । রামচন্দ্রের সাংক্ষিপ্ত জীবনী এতক্ষণে শেম হইল । ইহ সংকলন করিতে আমরা পণ্ডিত বর শ্ৰীযুক্ত হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্যের প্রচারিত রামায়ণ হইতে বিশেষ স{হায্য প্রাপ্ত হইলাম । এক্ষণে রামচন্দ্রের সময় নির্ণয় করিতে চেস্টা করা যাইতেছে । রামায়ণের প্রথমে লিখিত অাছে যে রামচন্দ্র একাদশ সহস্ৰ বৎসর জীবিত ছিলেন । পুরাণে দৃষ্ট হয় যে রামচন্দ্র অযোধাতে দশ সহস্র এবং দশশত বর্ষ রাজ্য করিয়াছিলেন । লিঙ্গপুরাণ ও বায়ুপুরাণে দশসহস্ৰ বৎসর রামচন্দ্রের রাজ্যকাল নির্দিষ্ট হইয়াছে। জীবনীতে আমরা দেখিয়াছি যে রামচন্দ্রের পঞ্চদশ বর্ষ শেষে বিবাহ হয় । তং পরে দ্বাদশ বর্ষ আয়েtধ্যায় বাস করিলে তিনি বনবাসে গমন করেন, এবং চতুর্দশ বৎসৰু অতীত হইলে পুনর্বার অনোধ্যায় আগমন করেন | রামায়ণে ও সুতরাং র" মচন্তদ মথন রাজ্য গ্রহণ করেন তখন র্ত হ র বয়ঃক্রম একচল্লিশ বং র । একাদশ সহস্ৰ বৎসর হইতে পারে ন} । তামর; দেখিব যে যুধিষ্ঠির ১২৬ বৎসর রামচন্দের ও তদনুরূপ ততি:পর যে যে প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় তাহার সমালোচনা করিতে প্রবৃত্ত হইলাম । হিন্দুশাস্ত্র সমূহ একবাক্যে জাপি ত ছিলেন । হইবে । রামচন্দ্রকে ত্রেতাযুগের রাজা বলিয়া স্বীকার করে । ত্রেতাযুগের পর দ্বাপরযুগ ও দ্বাপরযুগের পর কলিযুগ । কলিযুগের অষ্টম শতাব্দীতে মহাভারত রচিত হয় । রামায়ণ মহাভারতের অনেক পূর্বে লিখিত কুয এবিষয় পর-প্রস্তাবের শেষে প্রমাণিত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা তৎপশ্চাৎ তিনি বহুদিন রাজ্যশাসন । করিয়া দেহ ত্যাগ করেন । ইহাতে কিছু ! ১• কল্প; খ ভাগ হইবে । বাল্মীকি রামচন্দ্রের সমকালীন এবং তৎপ্রণীত রামায়ণ রামচন্দ্রের সভাতে গীত হইয়াছিল । রামচন্দ্রের চরিত্র পবিত্র ও নিৰ্ম্মল । বাল্মীকি ইহা অতি সুন্দর রূপে চিত্রিত করিয়াছেন। রামচন্দ্র এতদূর সমভাবে নিঃস্বার্থ ও পরহিতব্ৰত যে তাহার দৃষ্টান্ত অতি বিরল। তাহার বীরত্ব, ঔদার্য্য, কর্তব্যানুরাগ এবং ধৰ্ম্মপ্রবণতা সৰ্ব্বজনের আদরণীয় এবং অনুকরণীয়। র্তাহার সৎ সাহস, পিতৃমাতৃভক্তি, পবিত্র প্রণয়, প্র গাঢ় ভ্রাতৃস্নেহ এবং সমদৰ্শিতা অতিশয় প্রশংসার বিময় । যখন তিনি তারণ্যে নিৰ্ব্বাসিত হইলেন তখন র্তাহার মনে অসন্তোষ বা ক্রোধের লেশমাত্র উদিত হয় নাই । তাছার অলৌকিক চরিত্র পর্মীলোচনা করিলে বিস্ময়াপন্ন হইতে চয় । জীবনীর মধ্যে তাহার চরিত্র বিশেষ রূপে প্রদর্শিত হইয়াছে । সীতার চরিত্র অতি মনোহর । তিনি গার্হস্থ্য ধৰ্ম্মের মূৰ্ত্তিমতী প্রতিকৃতি । তাছার বিশুদ্ধ প্রণয়, তাচল পতিভক্তি, অটল ধৈর্য্য এবং সহিষ্ণুত কাহার না চিন্ত আকর্ষণ করে । ভরত ও লক্ষণ ভ্রাতৃস্নেহের এবং দশরথ ও কৌশল্যা পুত্র বৎসল্যের উজ্জ্বল আদর্শ। রামায়ণের নীতি অতি উন্নত ও পরিশুদ্ধ । ইহা নিঃ সন্দেহরূপে বলিতে পারা যায় যে,যে পর্য্যন্ত পৃথিবীতে পৰ্ব্বত এবং নদী সকল বিদ্যমান রহিবে, সে পৰ্য্যন্ত রামচরিত লোকে প্রচলিত ও আদৃত থাকিবে। অধুনা জৰ্ম্মন প্রদেশে নরনারীগণ প্রাতঃকালে গাত্নোথান করিয়া রাম ও সীতার নাম উচ্চারণ করিয়া আপনাদিগকে চরিতার্থ মনে করেন। হিন্দুগণ রামচরিতের প্রতি শ্রদ্ধাপ্রদর্শন করিতে কখনই বিরত থাকিতে পরিবেন না। রামচন্দ্রের প্রতি হিন্দু সমাজের শ্রদ্ধা ও