পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 2 অtভাস অামীদিগের নিরূপিত সময়ের কোন রূপেই প্রতিকূল হইতেছে না। আমরা রামচন্দ্রের রাজত্বকাল খ্ৰীষ্টাব্দের ৪৩০০ বৎসর পূর্বে স্থির করিয়াছি এবং অন্য বলবত্তর প্রমাণাভাবে উহা ত্যাগ করিতে প্র স্তুত নহি । পরকাল । ( ৪৩৮ সংখ্যক পত্রিকার ১৯২ পৃষ্ঠার পর। ১ জড় পদার্থ চৈতন্য-সন্নিকর্যেই প্রকাশ পায়, জড়ের এই ভাবটী মিলের ব্যাখ্যার অন্তভুক্ত না হউক, এইটাই কিন্তু আমাদের পক্ষে জড় সম্বন্ধীয় মুখ্যভাব। তিনি এই ভাবের প্রতি দৃষ্টি রাখেন নাই, এই জন্য সম্বন্ধশ্বন্য ঘটনা, ভাবশূন্য সাস্তব্য র্তাহার গবেষণার শেষ পুরস্কার হইয়াছে। মিল বলেন, মনে কর কোন কুটীরস্থ টেবিলের । উপর “এক খণ্ড সাদা কাগঞ্জ আমি দর্শন করিলাম। অন্য কুটীরে গেলে যদিও আমি তার তাহা দেখিতে না পাই, আমি কিন্তু মনে করি যে তখনও সে কাগজ তথায় আছে । কাগজটা আমার মনে যে সমস্ত অনুভূতি সমুদ্ধত করিয়াছিল তাহা অার কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে আমি যখন আমার সেই পূর্ববং অবস্থাধীনে অtসিব, অর্থাৎ আমি যখন আবার সেই কুটীরে উপনীত হইব, আমার সেই সেই অনুভূতির পুনরুদয় হইবে । ”তন্তবং অনুভূতির উদয়সান্তব্য পূর্বের সেই কুটীরে রহিয়াছে, অতএব আমি আবার সেই স্থানে সেই কাগজটা দর্শন করিব । "কাগজট দর্শন করিব” ইহার তাৎপর্য্য এই যে, আমার মনে বিশেষ কোন অনুভূতি-সঙ্ঘ (Group of sensations) আবিভূত হইবে, যাহাকে আমি অাসুেতর ভাব পদার্থ বলিয়া জ্ঞান করি, শাদা কাগজ বলিয়। অভিহিত করি। প্রকৃতার্থে তত্ত্ববোধিনী পত্রিক। २० रुझ, २ छ*ी এই সমস্ত অনুভূতির প্রেরয়িত কোন সৎপদার্থের স্বরূপ, আমি কিছুই জানি নু, চিন্তা করিতে পারি না, এবং তাহার স্বতন্ত্র অস্তিত্বে বিশ্বাস করিবার কোন কারণও নাই। আমি এই মাত্র জানি যে, বিশেষ অবস্থাধীনে আমার মনে কতকগুলি অনুভূতি ংশ্লিষ্ট ভাবে উদয় হয়। অতএব অনুভূতি ও অনুভূতির উদয়-সম্ভাবনা মাত্রই আমার জ্ঞানের সর্বস্ব | মিল আরো বলেন যে, আমাদের বর্তমান অনুভূতি নিতান্ত কিঞ্চিৎকর বিষয় ; তাহা এখন আছে পরে থাকিবে না ; এবং আমাদের মনে যত প্রকার অনুভূতি সম্ভব হইতে পারে, বর্তমান অনুভূতি তাহীর অতি সামান্য অংশ । অতএব অনুভূতি-সাম্ভব্যই সার ও স্থায়ী বিষয় । অনুভূতির এই স্থায়ী সাম্ভব্য কোথায় ? অনুভূতি সকলের নায় ইহারাও কি অন্তরের বিষয় ? মিল কিন্তু তাহ বলেন না । তিনি বলেন “আমরা যেখানে যাই, আমাদের 1 অনুভূতি সকলকে আমরা সঙ্গে লইয়। যাই, আমরা যেখানে অবস্থিতি না করি, অামাদের অনুভূতি সকলও তথায় থাকে না । কিন্তু আমরা স্থানান্তরে গমন কালে, আলু ভূতির স্থায়ী সাম্ভব্য সকলকে সঙ্গে লইয় যাই না । আমাদের প্রত্যাবর্তন পর্যান্ত তাহারা তথায় থাকে। অর্থাৎ তাহাদের উৎপত্তি ও নিবৃত্তি যে অবস্থার অধীন, সাধারণ্যে তাহার সহিত আমাদের বিদ্যমানতার কিছুমাত্র সংশ্ৰব নাই। অধিকন্তু তাহারা এখন যেমন, আমাদের বোধ-নিরত্তির পরেও তেমনি, অন্য প্রাণী সম্বন্ধে অনুভূতির স্থায়ী সাম্ভবা।” “Our sensations we carry with us wherever we go and they never exist where we are not; but when we change our place we do not carry with us the Permanent Possibility