পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भाषा :४०२ of sensations : they remain untill we return or arise and cease under conditions with which our presence has in general ņothing to do. And more than all—they are and will be after me have ceased to feel, Permanent Possibililies of sensations to other beings than ourselves.” Examination of H.'s Philosophy, p. 208. অনন্তর মিল বলেন, এই সমস্ত তত্ত্ব আলোচনা করিয়াই মানব মনে অনুভূতির স্থায়ী সাম্ভবোর স্বতন্ত্রতার ভাব উপলভ্য ভয় । এবং তাহারা এই সাম্ভব্য মাত্রকে আত্মেতর ভৌতিক বিষয় বলিয়া বিশ্বাস করে মিল সাহেবের গভীর গবেষণার ফল, তাহার এই স্থায়ী সাম্ভব্যবাদের নিষ্কৃষ্টার্থ চলিত ভাষায় ব্যক্ত করিতে হইলে, এই রূপে বলা যায় ;—মনুষ্য এই মাত্র জানে সে তাঁহাদের মনে কতক গুলি অনুভূতি উদয় হয়, ও হইতে পারে। “এই যে হইতে প{সা” ব! উপযোগিতা, ইহাতে আমরা প্রপঞ্চতৃ আরোপ করিয়া, ইহাকে স্বতন্ত্র সদ্ভাবিশিষ্ট ভৌতিক বিষয় বলিয়া বিশ্বাস করি । কতক গুলি মানসিক নিয়ম পরতন্ত্র হইয়া আমরা এরূপ করি বটে, কিন্তু ইহা ভ্রম, ইহা স্বাভাবিক কুসংস্কারের কার্য্য। মানব যন অভিব্যক্তিক জগৎ ভেদ করিয়া তাহার পশ্চাৎ দেশে বাস্তব জগতের তত্ত্ব ংগ্ৰহ করিতে পারে, তাহার এই যে এক অতিগ শক্তি আছে, মিল ইহা স্বীকার করেন না; তাহার মতে অনুভূতি পৰ্য্যন্তই মনের চরম প্রসার। মিলের এই মত যদি সত্য হয়, এবং যদি আমরা অনুভূতিকে মূল অবলম্বন করিয়া আমাদের জ্ঞানের অবধি নির্ণয় করিতে প্রবৃত্ত হই, তাহা হইলে জ্ঞানের किबूगाँख दिखांद्र धङTां★ों कब्रां यांच्च नl, পরকাল (rペ) মানব জ্ঞানের জন্য সেই অনুভূতিও তৎসাস্তব্য মাত্রই অবশিষ্ট থাকিয়া যার; এবং তদতিরিক্ত ভাব জগতের জ্ঞানকে কাজেই কুসংস্কার বলিয়া পরিত্যাগ করিতে হয়। কিন্তু এই মত, সাধু মত নহে । আমরা প্রতিবোধ মধ্যে যেমন অনুভূতির উদয় প্রত্যক্ষ করি, তেমনি অনুভূতি-প্রেরয়িত সত্তাতেও বিশ্বাস করিয়া থাকি । এ বিশ্বাস সাধারণ বিশ্বাসের ন্যায় অনুমান মূলক নহে। ইহা ও আমাদের সাক্ষাৎ জ্ঞান, স্বতঃসিদ্ধ বিশ্বাস । এ বিশ্বাসের সত্যতা প্রতিপন্ন জন্য যে রূপ প্রমাণ ক্রমে অবলম্বন করা আবশ্যক, তাহ না করিয়া,মিল তাহার বিপরীত প্রণালী অনুসরণ করিয়াছেন, এই জন্য র্তাহার সিদ্ধান্ত স্থসিদ্ধান্ত হয় নাই । সম্মুখে একটা শাদা কাগজ দেখিয়া ভাছার মনে যুগপৎ কতকগুলি অনুভূতি উদয় হইল। কাগজটকে তিনি সেই সমস্ত অনুভূতির কারণ বলিয়। বোধ করিলেন,অথচ শাদ কাগজটা নিজে কি, ইহা তাহার মনশ্চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয় তাহাকে জানাইতে পারিল না। অনেক ভাবিয়া দেখিলেন কাগজের স্বরূপ র্তাহীর মনের আয়ত্ত হইল না । তখন উtহার অনুসন্ধিৎস্থ মনে তর্ক উপস্থিত হইল, উক্ত কাগজের কারণত্ব বা স্বতন্ত্র অস্তিত্বের প্রমাণ কি। বিশুদ্ধ প্রমাণ খুজিয়া তিনি কিছুই পাইলেন না, যেহেতু ইন্দ্রিয় বোধ কার্য্যে ইহার কিছুমাত্র নিদর্শন পাওয়া যায় না ; কিন্তু তাহার মতে ইন্দ্রিয় বোধই প্রমা ণের পরাকাষ্ঠী । ঘোর নৈয়ায়িক । তিনি প্রমাণ না পাইলে কোন বিষয় বিশ্বাস করিবেন না। এদিকে তাছার মন কিন্তু স্বভাবতঃ কাগজের স্বতন্ত্র অস্তিত্বে বিশ্বাস না করিয়া থাকিতে পারে না। এমন কেন হয় ? তিনি এক্ষণে বিশিষ্ট মনে ইহারই মীমাংসায় প্রবৃত্ত হই