পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\)8 পরোবরয়োহাস্য ভবতি পরোবরীয়সোহ লোকাঞ্জয়তি যএতদেবং বিদ্বান প্রাণেষু পঞ্চবিধং পরোবরীয়ঃ সামোপাস্তে। ইতি তু পঞ্চবিধস ॥ ২ পরোবরীযঃ হ অসী জীবনং ভবতি: স: পরেীবধীযসঃস্থ লোকা জয়তি যঃ এতৎ এবং বিদ্বন প্ৰাণেষু পঞ্চবিধং পরোধীয় সাম উপাস্তে। ইতি তু পঞ্চবিধস্য সামঃ উপাসনমুক্তং । ২ মিনি এইরূপ জানিয়া ছন্দ্রিয় সকলে পঞ্চ প্রকারে শ্রেষ্ঠ হইতেও শ্রেষ্ঠ সামের উপাসনা করেন, র্তাহার জীবন শ্রেষ্ঠ হয় এবং তিনি শ্রেষ্ঠ হইতে ও শ্রেষ্ঠ লোক সকল জয় করেন। ইছাই পঞ্চবিধ সামের কথা । ২ স{য়ং-কাল । চিন্থয়েং পরমাত্মানং চরাচরপতিং বিভূৰ্ম্ম । ভক্তিমান প্রয়তে নিত্যং ধ্যানযোগপর্যয়ণ: | সংসার-চক্ৰ ঘূর্ণিত হইয়া প্রতিক্ষণেই সমারদের সম্মুখে ঈশ্বরের নবতর কলtiণতর মহিমা প্রকাশ করে । তাহার স্নেহ করুণার জ্ঞান প্রেমের নৃতন নূতন নিদর্শন আমারদের অন্তশ্চক্ষুর সমক্ষে ধারণ করে । বিচিত্র কৌশলে আমারদের আত্মার শ্রদ্ধা ভক্তি প্রভৃতি র্তীস্থার প্রতি উদ্দীপ্ত করিয়া দেয়। সেই জন্যই সায়ং কীল সাধন-সমাধানের একটি প্রশস্ত সময় । আত্মা নিতান্ত বিকৃত ন হইলে তার এ সময়ে ঈশ্বরকে কেহই লিম্মত হইয়! থাকিতে পারে না । স্বয়ংক’লে বিময়-কেলাহল নিৰ্ব্বাণ হয়, কৰ্ম্মশ্রমের পরিস হয়, জনসমাজ শান্তি অরামে পূর্ণ হইয়া থাকে। বাহ্য জগৎ নব সাজে সজ্জিত হইয়। ঈশ্বরের মহিমা ঘোষ৭ায় প্ররন্ত হয় । সূর্ঘ্য এখানকার কার্য্য সমাপন করিয়া আবার নতম দিক্দেশে অালোক বিতরণ করতে উদিত হয়, চন্দ্র-তার। {fદ્ધ झे তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । সকল আমারদিগকে স্নিগ্ধ জ্যোতিতে সিক্ত করিবার জন্য গগন-চন্দ্রাস্তপে প্রকাশিত হইয়া ভূমণ্ডলের অপূৰ্ব্ব ঐসৌন্দর্য্য সম্পাদন করে, বায়ুপ্রবাহ শীতল হইয়া মন্দমন্দ বেগে প্রবাহিত হওত আমারদের শরীরের সন্তাপ হরণ করিতে থাকে। বিবিধ সুরভি কুহুম প্রস্ফটিত হইয় উদ্যান কানন, অমৃত সৌরভে আমোদিত করিতে প্রবৃত্ত হয় । গায়ক বিহঙ্গ-দল তরু-শাখা পল্লবে উপবেশন করত মধুর মঙ্গল গীতে দিগ্‌বিতান পূর্ণ করিতে আরম্ভ করে । চতুর্দিক হইতে এই সকল অযাচিত সুখ অজস্ররূপে সম্ভোগ করিয়া সৰ্ব্ব-সুখ-দাতাকে বিস্মৃত হইয়া থাকা সামান্য বিড়ম্বনার কার্য নহে। পৃথিবীতে প্রায় এমন মনুষাই নাই যে সন্ধ্যার শোভা সৌন্দর্য্য সন্দর্শন করিয়া একবার সেই শোভার আকরকে স্মরণ না করে । আত্মাকে আয়ুৰ্ব্বেদ-বিজ্ঞান । রাত্রিচর্য । , একটু প্রকৃতিস্থ করিলেই—তাহার বিষয়বন্ধন সকল একটু শিথিল করিয়া দিলেই সে আপনি ধৰ্ম্মের দিকে—ঈশ্বরের অভিমুখে ধাবিত হয়। ঈশ্বরের প্রতি গমন করাই আত্মার স্বাভাবিক ভাব ; তাহার নিকটে কৃতজ্ঞ থাকাই তাহার অমোঘ প্রকৃতি । সমস্ত দিন যার নিত্য উদার সদাব্রতে, অন্নপান, জ্ঞান-ধৰ্ম্ম লাভ করিয়া মনুষ্য-স্বীয় শরীর-মন-আত্মাকে পোষণ করে; যাহার প্রদত্ত ঔষধ-পথ্য সেবন করিয়া সে স্বাস্থ্য সম্পদ প্রাপ্ত হয়, যাহার বলে বলীয়ান হইয় সে পাপ তাপ মোহ-রাশি অতিক্রম করিতে সমর্থ হয়, তাছাকে সে কদাচই বিস্তৃত হইয়া থাকিতে পারে না। বিষয়-ব্যাপারে ব্যাপৃত থাকিয় অবকাশ বিরহে যদিও তাঁহাকে সমস্ত দিন সচ্ছন্দ মনে পূজাৰ্চনা করিতে না পারে, সায়ংকাল উপস্থিত হইবা মাত্রই অমনি তাহার আত্মা শশব্যস্ত হইয়া সেই অষ্টা, পাতা ও মুক্তিদাতা পরমেশ্বরের , | s