পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अवन γνε" ধ্যান ধারণায় প্রবৃত্ত হয়। শারীরিক মানসিক এবং আধ "ন্ত্রক সুখশান্তি উপভোগের জন্য তাহাঁকে কৃতজ্ঞ হৃদয়ে বারবার প্রণিপাত না করিয়া আর সুস্থির হইতে পারে ন । দৈনিক কাৰ্য্য সমাপনস্তে পবিত্র সায়ংকালে আত্ম-জিজ্ঞাসায় প্রবৃত্ত হইলেই কর্তব্য কার্য্যের ক্রট নিবন্ধন প্রত্যবয়ে আত্মা স্বতঃ সঙ্কুচিত ও ক্ষুব্ধ হইয়া থাকে । সংসার যে প্রকার স্থান, এখানে চতুর্দিকে যেরূপ রাশি রাশি অসৎ দৃষ্টান্ত, যে প্রকার অনতিক্রমণীয় অবৈধ প্রলোভন ও আকর্যণ সকল বর্তমান রহিয়াছে, তাহাতে আত্মা শুদ্ধ সত্ত্ব পবিত্র ভাবে উন্নতি-পথে উত্থিত হইতে পারে না । জ্ঞাত-সারে না হয়, আত্মার সেই সঙ্কোচ-ভাব বিদূরিত করি বার জন্য — সেই পাপ-কলঙ্ক অপনয়নের নিমিত্ত শুদ্ধ-বুদ্ধ-মুক্ত-স্বরূপ পাপ-ত্ৰাত৷ মুক্তি-দাতা পরমেশ্বরের শরণাপন্ন হইতেই হয় । তাহার করুণাই আত্ম-বিকারের একমাত্ৰ মহৌষধ। সুতরাং সায়ংকালই তাহার সন্নিধানে হৃদয়-দ্বার উন্মুক্ত করিয়া দিবার একমাত্র প্রশস্ত সময় । এই প্রশস্ত সময়ই তাহার নিকটে মনোবেদন ব্যক্ত করিবার উপযুক্ত অবসর । এই সুন্দর অবসরকে অবহেলা করিলে পরক্ষণেই আলস্য জড়তা আসিয়া শরীর-মনকে অভিভূত করিয়া ফেলে। নিদ্রার আবেশে এককালে নিশ্চেষ্ট মুত-প্রায় ও হত-চেতন হইয় পড়িতে হয় । অতএব আমরা যেন এই উপাসনার উপযোগী প্রশস্ত কালকে প্রতীক্ষা করিয়৷ थांकि । g পৃথিবীতে এমন দেশই নাই, এমন ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়ই নাই যে দেশে যে ধৰ্ম্মাক্রান্ত সায়ং কলি fte ᏬᏛr T TM MSMSAAAA SAS S S AAAAAMG ATALLL TTT TAAAS AAASASASS মনুষ্য-সকল এই পবিত্র সময়ে ঈশ্বর-চিন্তায় প্রবৃত্ত না হয় । দিবসের কৃত পাপ হইতে মুক্ত হইবার জন্য, মানব-আত্মা-মাত্রেরই অনুতপ্ত হইয়৷ ঈশ্বরের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত, অথবা সমস্ত দিনের উপভোগ্য সুখ-সচ্ছন্দতার নিমিত্ত কৃতজ্ঞ-হৃদয়ে র্তাহার স্তব-স্তুতি করা একান্ত কৰ্ত্তব্য । রজনীর অসহায় অবস্থাতে স্বরক্ষিত হইবার জন্য র্তাহাতে আত্ম-সমৰ্পণ করা বিধেয় । শান্ত-সমহিত-চিত্তে সায়ং কালিক পবিত্র উপাসনা-কাৰ্য সমাপন করত দেব-প্রসাদ লাভ করতে পারলে হৃদয়-ভার লঘু হয়, আত্মা প্রসন্ন ও প্রশস্ত ভাব ধারণ করে, ভয়-তাপ তিরোহিত হইয়া যায় । নূতনবল, নবতর শান্তি আবিভূত হইয়। আত্মাকে অজ্ঞাত-সারে ও কোন না কোন রূপ পাপ | অনুপম নির্ভয় ও নিঃশঙ্ক করিয়া তোলে । কলঙ্ক তাহাতে সংস্পৃষ্ট হইয়াই থাকে অতএব সর্ববপ্রযত্নে সায়ংকালিক উপাস নায় প্রবৃত্ত হইবে । অভ্যাস না থাকিলে এই পবিত্র সময়েও অনেকেরই হৃদয়-মন-আত্মাতে ঈশ্বরের ভাব স্ফৰ্ত্তি পায় না। সুতরাং অনেকেই জীবনের সারতম কাৰ্য্য সাধনে পরামুখ হইয়া থাকেন । যে সায়ংকালের নৈসর্গিক-সোঁন্দৰ্য্য দুগ্ধ-পোষ্য শিশুর চিত্তকেও বিস্ময় ও আনন্দে উৎফুল্ল করিয়া তোলে, সেই চন্দ্রের মনোহর-কান্তি, সেই প্রদোষের চিত্ত-চমৎকারিণী শোভা, বিষয়-বিমুগ্ধ আসাঢ়-হৃদয় ব্যক্তির পক্ষে অরণ্যের সুগন্ধি পুষ্পের ন্যায় কোন কার্য্যেই আইসে না । সেই মোহান্ধ ব্যক্তি সায়ংকালের অনুপম প্রাকৃতিক শোভার মধ্যে শোভার অাকর পরমেশ্বরকে সন্দর্শন করিতে না পারিয়া জঘন্য বিষয়ামোদেই মত্ত থাকে, আসার বাক্যtলাপেই এই মধুময় কাল অতিবাহিত করিয়া ঈশ্বরের করুণা-বিতরিত সুন্দর অবসরের প্রতি উপেক্ষা করত অধোগতিই প্রাপ্ত হয় ।