পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V)სz রাজ্যস্থিত বৌদ্ধকুল নিমূল হইল । কেহ কেহ পলায়ন দ্বারা প্রাণরক্ষা করিল । এই রূপে সুধম্বা নৃপতি বৌদ্ধধৰ্ম্ম পরিহার পুবর্বক বেদবোধিত ধৰ্ম্মের সংস্থাপন ও সংরক্ষণ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । ভারতে বৌদ্ধনাম প্রায় বিলুপ্ত হইল। তথাপি ইদানীন্তন অনেক পণ্ডিত বলেন যে শঙ্করাচার্য্য বৌদ্ধদিগকে ভারতবর্ষ হইতে বিদ্যু রিত ও বিতাড়িত করিয়াছিলেন । আচাৰ্য্য যে এক জন বেীদ্ধের সহিত বিচার করিয়াছিলেন এবং তাহার ধৰ্ম্ম শাক্যসিংহ-প্রচtরিত বৌদ্ধধৰ্ম্ম হইতে যে অত্যন্ত বিভিন্ন তাহা আমরা পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছি । এক্ষণে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । १० कछ, ९ छtत्र অধ্যয়ন কালে তিনি এক অন্তত কাৰ্য্য করেন। उिनि ७कन डिक्रां कत्रिशांद्र छमा ८कांम দরিদ্র বিপ্রের ভবনে উপস্থিত হইলে, বিপ্ৰश्रङ्गी कश्प्लिन “आँधब्रा शैन ७ ७शाशैन, আমাদের কিছুই নাই যে আপনাকে ভিক্ষা দেই। অতএব আপনি এই আমলকী ফলটি গ্রহণ করুন । ” শঙ্কর ইহা শ্রবণ করিয়া দয়ার্ডচিত্ত হইলেন এবং তদণ্ডেই কমলাকে স্তুতি দ্বারা সন্তুষ্ট করিয়া সেই বিপ্ৰপত্নীর গৃহ সুবর্ণে পরিপূরিত করিয়া দিলেন । দ্বিজদম্পতী সুখে স্বচ্ছন্দে কাল যাপন করিতে লাগিলেন । ইহা শঙ্করের পঞ্চম বর্ষ বয়সের কার্য । কিয়দিন পরে বোধ হয় আর কোন বিজ্ঞ ব্যক্তির সন্দেহ গুরুর অনুমতি লইয়া শঙ্কর স্বগৃহে আগমন থাকিবে না যে শঙ্করাচাৰ্য্য বৌদ্ধদিগকে করিলেন । এই সময়ে একদা গৌতম দি ঋ ভারতবর্ষ হইতে তাড়াইয়। দিয়াছিলেন । ষিগণ তাহাকে দর্শন করিবার নিমিত্ত তাহার দিগ্বিজয়ের মতে শঙ্করাচার্য্যের জন্মস্থান । ভবনে উপস্থিত হইলেন এবং তিনি তাছা কেরল প্রদেশে পূর্ণানদীর তীরস্থিত কোন স্থান । তাহার পিতার নাম শিব্লগুরু এবং মাতার নাম স্থভদ্র ৷ ইহঁদের গ্রামে স্বয়স্তুfলঙ্গ নামে এক শিবের মন্দির ছিল । শিবগুরু পত্নীর সহিত সেই শিবের বহুকাল আরাধনা করিলে, মহাদেব তাহাকে বর দিলেন যে তিনি শিবগুরুর সস্তান রূপে জন্মগ্রহণ করিবেন । যথাকালে স্বভাদ্রার গর্ভ হইতে শঙ্করাচাৰ্য্য ভূমিষ্ঠ হইলেন। র্তাহার জন্মকালে পঞ্চগ্রহ উচ্চসংশ্রয়স্থ এবং অনস্তমিত ছিল । দিব্য পুরুষের জন্মলগ্নেই অনস্তমিত পঞ্চ গ্রহের উচ্চ সংশ্রয় দৃষ্ট হয় । জ্যোতিবিদগণ গণনা করিয়া বলিলেন যে এই বালক অসাধারণ-শক্তিসম্পন্ন, সৰ্ব্বজ্ঞ, অসংখ্য গুণশালী এবং পবিত্রকীর্তি হইবেক । তৃতীয় বর্ষে শঙ্করাচার্য্যের পিতৃবিয়োগ হইল। পঞ্চম বর্ষে উপনীত হইয়া তিনি সাঙ্গোপাঙ্গ বেদ অধ্যয়ন করিয়া সৰ্ব্বশাস্ত্র শিক্ষা করিলেন । গুরুগৃহে দিগকে যথোচিত অর্চনা করিলেন । র্তাহার মাতা ঋষিগণকে তাহার আয়ুর কথা জিজ্ঞাসা করিলে, অগস্ত্য মুনি বলিলেন “তোমার পুত্রের আয়ু ষোড়শ বর্ষ” । ইহা শুনিয়া তাহার জননী ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন কিন্তু শঙ্কর র্তাহাকে বহু প্রকারে সাস্তুনা করিলেন । তদনন্তর অষ্টম বর্ষে শঙ্কর সন্ন্যাস গ্রহণের উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন এবং মায়া প্রদর্শন পূর্বক মাতার অনুমতি প্রাপ্ত হইলেন । তিনি একদিন অবগাহন-চ্ছলে নদীতে নামিয়া কুম্ভীরে র্তাহাকে ধরিয়াছে বলিয়া কঁাদিতে লাগিলেন এবং জননীকে উদ্দেশ করিয়া বলিলেন, “মাতঃ ! যদি আমার প্রাণরক্ষা আপনার অভিপ্রেত হয়, তবে অবিলম্বে সন্ন্যাসগ্রহণে আজ্ঞা করুন।” জননী উপায়ান্তর না দেখিয়া বলিলেন “বৎস। তুমি সত্বর সন্ন্যাস গ্রহণ কর।” তখন তিনি জল হইতে উখান করিয়া মাতাকে কছিলেন যে সম্যাগ