পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬ সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে যাহা ভূলোকে ও ছালোকে ঈশ্বর-হস্ত দ্বারা অবিনশ্বর অক্ষরে লিখিত রহিয়াছে, মনুষ্যের সহজ জ্ঞান যাহার একমাত্র অভ্রান্ত ধৰ্ম্মগ্রন্থ যাহা দেশকালের অতীত, সকল দেশের সকল কালের জ্ঞানী মনুষ্যের স্বীয় স্বীয় দেশ প্রচলিত কল্পিত ধৰ্ম্ম অতিক্রম করিয়া যাহা অবলম্বন করেন সেই বিশ্বজনীন অসাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্ম রামমোছন রায়ের ধৰ্ম্ম ছিল । কিন্তু তাহা প্রচার করিবার সময় যে জাতির মধ্যে তিনি তাহা প্রচার করিতে সচেষ্ট হইতেন সেই জাতির ধৰ্ম্মগ্রন্থ অবলম্বন করিয়া তিনি তাহা প্রচার করিতেন। তিনি এই বিশ্বজনীন ধৰ্ম্ম বেদ বেদাস্ত অবলম্বন করিয়া হিন্দুদিগের মধ্যে প্রচার করিতেন, কোরান অবলম্বন করিয়া মুসলমানদিগের মধ্যে প্রচার করিতেন ও বাইবল অবলম্বন করিয়া খ্ৰীষ্টানদিগের মধ্যে প্রচার করিতেন । তিনি এই সকল শাস্ত্র চইতে এক ঈশ্বরের মত উদ্ধার করিয়ু তাহার উপদেশ দিতেন । তিনি ভিন্ন ভিন্ন শাস্ত্র অবলম্বন করিয়া একেশ্বরের মত প্রতিপাদন করিতেন বলিয়৷ মধ্যে মধ্যে তাহার বাক্যে অসঙ্গতি-দোষ ঘটিত । তাহার একটি সামান্য দৃষ্টান্ত দিতেছি তাহার বাঙ্গালা গ্রন্থে তিনি তন্ত্র শাস্ত্রের প্রতি বিলক্ষণ শ্রদ্ধ। প্রকাশ করিয়াছেন । ব্রাহ্মসমাজের প্রধান আচাৰ্য্য ত্রযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় হিমালয় প্রদেশে ভ্রমণ সময়ে যখন ভজি প্রদেশের রাণীর দ্বার। নিমন্ত্রিত হয়েন তখন রাণার গুরু সুখানন্দ ব্রহ্মচারী যিনি একজন তান্ত্রিক ছিলেন ও রামমোহন রায়ের একজন শিষ্য ছিলেন তিনি প্রধান আচাৰ্য্য মহাশয়কে রলিয়াছিলেন যে "রামমোহন রায় অবধূত था” हेशद्र अर्थ उल्ल भाद्रञ्ज cश अबधूएउन्न কথা উল্লেখ আছে সেই অবধূতই তিনি তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • ० कब्र, ६ सैन

ছিলেন । ইহাতে প্রকাশিত হইতেছে যে তন্ত্রশাস্ত্রের প্রতি রামমোহন রায়ের শ্রদ্ধা ছিল কিন্তু আবার এদিকে স্থবিরশ্রেষ্ঠ আনন্দ বাবু আমাকে যে সকল গল্প দিয়াছেন তাহাতে লিখিত আছে “এক দিবস অনেকে একত্রে বসিয়া কথোপকথন হইতেছিল এমত সময়ে এক ভট্টাচাৰ্য্য আসিলেন। উহার নিবাস পূর্বাঞ্চলে । তাহার হস্তে একখানি পুস্তক দেওয়ানজী ব্রাহ্মণকে দেবতা বলিয়া সম্বোধন করিতেন । ব্রাহ্মণ নমস্কার করিয়া বসিলেন । দেওয়ানজী জিজ্ঞাসা করিলেন দেবতা, আপনার হস্তে কি পুস্তক ? ব্রাহ্মণ কছিলেন এক খানি তন্ত্র যাহা এদেশে প্রচলিত নাই। পরে ব্রাহ্মণ ঐ পুস্তক হইতে এক অধ্যায় পাঠ করিলেন । ক্ষণ কাল পরে, তিনি প্রস্থান করিলে দেওয়ানজী তৎক্ষণাৎ দ্বারবানকে ডাকিয়া কহিলেন যে এই ব্যক্তিকে আমার বাগানে অসিতে দিও না । আর কহিলেন যে মফস্বলের জমিদার লোকের মধ্যে অনেকে শাক্ত, মদ্য মাংসের বিধি যে সকল তন্ত্রে থাকে তাহ উtহাদিগের নিকট অতি আদরণীয়।” একস্থানে দেখিতেছি তন্ত্রের প্রতি রামমোহন রায়ের অত্যন্ত শ্রদ্ধ ছিল, আবার এই গল্পের দ্বারা প্রকাশিত হইতেছে যে তাহার অশ্রদ্ধা ছিল । ইহার মীমাংস কি? বোধ হয় ইহা এইরূপে মীমাংসিত হইতে পারে যে তন্ত্রশাস্ত্রে বিশেষতঃ মহনিৰ্ব্বাণ তন্ত্রে ব্রহ্মজ্ঞান বিষয়ে যে সকল উপদেশ আছে তাহার প্রতি রামমোহন রায়ের অতিশয় শ্রদ্ধা ছিল এবং স্বদেশীয়দিগের মধ্যে ব্রাহ্মধৰ্ম্মপ্রচারের সময় তাহা অাদরের সহিত ব্যাখা করিতেন আর উক্ত শাস্ত্রে যদা মাংসের বিধি যেস্থলে আছে সেই সকল স্থানের প্রতি অংশ্রদ্ধা ছিল , I রামমোহন রায়ের মনঃকল্পিত জাৰ্ণ