পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

איא: צאו , छड़ ८ठायाञ्च नखछनौग्न बांक ८उांबांद्र উপাস্য নহে । জড়ের স্রষ্টা, বাক্যের প্রতিপাদ্য পুরুষই তোমার আত্মার অনন্ত জীবনের উপজীবিকা ৷ লক্ষ্য ভেদ করিবার জন্য যেমন ধনুর্বাণের প্রয়োজন, তেমনি পরব্রহ্ম রূপ পরম লক্ষ্যে আত্মাকে উপনীত করিবার নিমিত্ত ব্ৰহ্মপ্রতিপাদক ওঁকারপ্রভৃতি শব্দ সকল ধনু স্বরূপ, জীবাত্মাই শর-স্বরূপ পরমাত্মাই পরম লক্ষ্য । "প্রণবোধমু: শরোহাত্মা ব্রহ্ম তলক্ষ্যমুচ্যতে। 炒 তুমি যদি কেবল ধনুধারণ করিয়াই দণ্ডায়মান থাক, তাহা হইলে, কেমন করিয়া আর লক্ষ্য ভেদ করিতে পারিবে, কি রূপেই বা ব্ৰহ্মলাভে সমর্থ হইবে ? অগ্রে লক্ষ্য স্থির কর, পরে ব্রহ্মপতিপাদক শব্দাদি অবলম্বন করিয়া জীবাত্মারূপ শর দ্বারা সেই পরব্রহ্ম রূপ লক্ষ্য ভেদ করিতে শিক্ষা কর cম “শরবৎ তন্ময়োভবেণ্ড” শরের ন্যায় লক্ষ্য ভেদ করিয়া থাকিতে পারবে । তাছারই দ্বারা সম্পূর্ণরূপে আবৃত হইয়া—তাহঃই উজ্জ্বলতর প্রকাশের মধ্যে পরমানন্দে অনন্ত জীবন সঞ্চরণ করিতে সমর্থ হইবে । তাহা হইতে কদাচ আর বিচূতি বা অধোগতি হইলে না । যদি সেই লক্ষ্যভেদে বিহিত যত্ন চেষ্টা, শক্তি সমর্থ্য না থাকে, তাহ। হুইলে কদাচ এই দুরারোহ পথে পদ বিক্ষেপ করিও না । বরং অধস্তন সোপানে অবস্থান করা ভাল, তথাচ শিথিল-ইন্দ্রিয় হইয়া উচ্চতর শ্রেণীতে উত্থিত হইতে গিয়া অধঃপতিত হওত আপনার সর্বনাশ, জগতের অনিষ্ট-সাধন করা কর্তব্য নহে । এই জন্যই আত্ম-প্রভাবে, আত্ম-যত্নে ব্রহ্মবিদ্যা শিক্ষা করাই ভারতের স্বপ্রতিষ্ঠিত আচাৰ্য্যদিগের উদ্দেশ্য ছিল। সেই কারণে এখনও এই পুণ্যভূমি হইতে ব্ৰহ্মনাম বিলুপ্ত হয় নাই। ৰোপার্জিত সম্প ভবানীপুর অষ্টাবিংশ সান্ধৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ by 'సె ত্তির ন্যায় ব্ৰহ্মজ্ঞানকে শিষ্যের অধিকতর আদরের ধন করিয়া দেওয়াই তাহারদের লক্ষ্য ছিল এবং তাহারা তদনুসারে শিক্ষাদান করিতেন বলিয়াই উপাসকগণ সহজে ধৰ্ম্মপথ হইতে পরিভ্রষ্ট হইত না । এখন আমারদের দুর্ভাগ্যক্রমে পরা অপর উভয় বিদ্যা শিক্ষারই একবিধ প্রণালী অবলম্বিত হইয়াছে। এখন বিদ্যালয়ে ছাত্রগণ যেমন পাঠ্য বিষয় কণ্ঠস্থ করিবারই চেষ্টা করেন, তেমনি ধৰ্ম্মমন্দিরে উপাসকবৃন্দ ধৰ্ম্মতত্ত্ব বিষয়ক শবদ সকল অভ্যাস করিয়াই তাপনারদিগকে কৃতাৰ্থ-জ্ঞান করিয়া থাকেন । বিদ্যার প্রকৃত স্বাদ প্রাপ্ত না হইলে যেমন বিদ্যালয় পরিত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই অধ্যয়ন তানুরাগ মন্দীভূত হইয়া পড়ে, তেমনি ব্ৰহ্মামৃতের স্বাদগ্রহণে স্থপটু না হইলে ধৰ্ম্মমন্দিরে উপস্থিত থাকিতে থাকিতেই সাধন ও সমাধান-স্প হাও নিৰ্ব্বাণ হইয়া যায়। কতকগুলি শব্দ কণ্ঠস্থ করিয়া অনেকেই মনে করেন, অtযার আর মূতন"শিক্ষার বিষয় কিছুই নাই ; সকলই হস্তগত হই 習|び没 পৃথ্বতন ধৰ্ম্মাচাৰ্য্যগণ যে কি প্রণালীতে শিষ্যগণকে ধৰ্ম্ম-শিক্ষা প্রদান করিতেন তৈত্তিীয় উপনিষদের ভৃগুবল্লীর দুই একটা বাক্য উদ্ধত করিলেই তাহা সকলেরই হৃদয়ঙ্গম হইবে । ধৰ্ম্ম-তৃষ্ণায় আকুল হুইয়। ভূগু স্বীয় ব্রহ্মনিষ্ঠ পিতা বরুণের সন্নিধানে উপস্থিত হইয়া বলিলেন যে“অধীহি ভগবে। ব্রহ্মেতি” আমাকে ব্ৰহ্ম উপদেশ কর । বরুণ ব্রহ্মজিজ্ঞtহু পুত্রকে ব্রহ্ম-স্বরূপ স্থিরতর রূপে নির্দেশ না করিয়া বলিলেন যে, যাহা হইতে এই ভূত-সকল উৎপন্ন হয়, উৎপন্ন হইয় জীৰিক্ত থাকে এক প্রলয়কালে র্যাহাকে প্রাপ্ত হয় ও র্যান্থাতে প্রবেশ করিয়া স্থিতি করে, উীহাকে জানিতে ইচ্ছ।