পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*) N) তত্ত্ববোধিনী পত্রিক 3,黨 *曹幣 ইবার ব্যাঘাত হইতেছে। অতএব ভূমি | রের মুখে শুনিয়াছি রামমোহন রায় এক একটু সরিয়া দাড়াও। যাক, রামমোহন রায় এডিকংকে যাহা বলিলেন, এডিকং তাহ লাট সাহেবকে গিয়া জানাইল। বেণ্টিক এডিiংকে জিজ্ঞাস করিলেন, তুমি রামমোছন রায়কে কি বলিয়াছিলে এডিকং উত্তর করিল, আমি বলিয়াছিলাম যে গবর্ণর জেনেরল লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিকের সহিত আপনি একবার সাক্ষাৎ করিলে তিনি বিশেষ বাধিত হন। শুনিয়া বেণ্টিক বলিলেন তুমি পুনরায় যাও। গিয়া বল, যে, মিষ্টর উইলিয়ম বেণ্টিকের সহিত আপনি অনুগ্রহ পূর্বক একবার সাক্ষাৎ করিলে তিনি বিশেষ বাধিত হন । এডিকং পুনৰ্ব্বার রামমোহন রায়ের নিকট গিয়া ঐরূপ বলিল । তখন রামমোহন রায় বেণ্টিকের এরূপ শিষ্টাচারে অ’র উপেক্ষ করিতে পারিলেন ন। তিনি তৎক্ষণাৎ তাহার নিকট আসিয়া সাক্ষাং করিলেন । অনেকে শ্রেয়স্কর কোন বৃহৎ একটি কার্য্য করব মনে করিয়া লোকের সীমান্য উপকার করিতে অবহেলা করেন । প্রিয় ব্যক্তিকে কোন ফল বা ফুল আনিয়া দেওয়া কিম্বা রোগের সময় গায়ে হাত বুলাইয়া দেওয়া, এরূপ সামান্য সামান্য কাজগুলি জীবনকে যে কত সুখময় করে তাহার। তাহা বিবেচনা করেন না । ফলত এইরূপ সমস্ত কার্য্য জীবনের পুষ্প-স্বরূপ ; আমরা জীবন-পথে এই সকল পুষ্প যত ছড়াইতে ছড়াইতে যাইব ততই সুখলাভ করব। রামমোহন রায় শ্রেয়স্কর কোন বৃহং কার্য্য করিতে যেমন সচেষ্ট ছিলেন, তেমনি শ্রেয়স্কর সামান্য কাৰ্য্য করিতেও সচেষ্ট হইতেন । কি ভদ্র কি ইতর সকল প্রকার লোকের যৎসামান্য উপকারে ও উiহার ठेताना श्लि मा । आभाद्र निष्ठा झाकू | দিবস প্রত্যুষে বহুবাজারে পাদচারে ভ্রমণ করিতে ছিলেন । এমন সময়ে দেখিলেন এক জন তরকারী ওয়ালা তরকারীর মোট মাথায় তুলিয়া দিতে লোক পাইতেছে না । পরিচ্ছন্ন পরিচ্ছদধারী রামমোহন রায় অনায়াসে তাহার মস্তকোপরি মোট উঠাষ্টয়া দিলেন। কলিকাতার অনেক বাবু অত্যুজ্জ্বল । বেশে প্রতাষে ভ্রমণ করেন কিন্তু তন্মধ্যে কয় জন এই রূপ সামান্য কার্য্যে অমায়িকত প্রকাশ করিতে পারেন ? কেবল মনুষ্য সাধারণের প্রতি যে রামমোহন রায়ের দয়া ছিল এমন নহে, ইতর জন্তুর প্রতিও তাহার বিলক্ষণ দয়। দুষ্ট হই, আনন্দ বাবু যে সকল গল্প সঙ্কলন করিষ। আমাকে দিয়াছেন তন্মধ্যে অাছে যে রামসুন্দর নাম দেওয়ানঞ্জীর এক জন পাচক ব্রাহ্মণ ছিল ; এক দিবস ঐ ব্রাহ্মণ একটি ছাগ বঁঠি দিয়া কাটিতে ছিল। ছাগের যাতনাব্যঞ্জক চীৎকার শুনিয়া ও তাহার কারণ সম্যক অবগত হইয়া রামমোহন রায় সক্রোধে লাটি হস্তে রন্ধনাগারের অভিমুখে চলিলেন । তদন্টে রামসুন্দর অত্যন্ত ভীত হইয়া পলায়ন করিল। তখন দেওয়ানজী : উছার পাঁচ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ করিলেন, এবং কহিলেন যে আমি মাংসভোজন করি বলিয়া এ প্রকারে জীবছিংসা করা অতি মূঢ়ের কৰ্ম্ম । ধাৰ্ম্মিক ও বিজ্ঞ লোকের মধ্যে আবহমান কাল মাংসভোজনের বৈধতা বিষয়ে মতদ্বৈধ দেখা যায়, অতএব তজ্জন্য রামমোহন রায় দোষী হইতে পারেন না। ब्राभ८भांश्न ब्रांञ्च cरूदल निरङ नग्नांनू ছিলেন এযৎ নছে; দয়াবৃত্তির বিরোধী কাৰ্য্য ৰ৷ করিতে শিষ্যদিগকে সৰ্ব্বদা উপদেশ দিতেন । তাহার কোন শির্যের গণ্ডর