পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, , , , 's . . . " . . . " gtt;skپ রামমোহন রায়ের স্মরণার্থ সভা ףכל শিষ্যকে পাড়ার একটি স্বন্দরী কন্যা দেখা- নীলমণি ঘোষ । ইনি এক জন প্রসিদ্ধ ইয়া নিজের কুরূপ। কন্যার সহিত র্তাহার } গীতরচয়িত ছিলেন । ইনি দপনারায়ণ বিবাহ দেন । এই রূপ প্রতারণায় ঐ শিষ্য দ্বিতীয়বার বিবাহ করিতে ইচ্ছুক হইলে রামমোহন রায় তাহাকে বলিলেন যে, দেখ, বৃক্ষের বাহ আকৃতি দ্বারা তাহার সৌন্দর্য্য ও অসৌন্দর্য্যের বিষয় স্থির করা উচিত । হয় না, যে বৃক্ষ উত্তম ফল প্রসব করে সেইই সুন্দর বৃক্ষ। যদি এই স্ত্রীর গর্ভে । তোমার উত্তম সন্তান জন্মে তাহা হইলে জানিবে যে এই কন্যা সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরী । ঘটনাক্রমে দাড়াইয়াছে যে, সেই শিষ্যের পুত্রেরা বিধবাবিবাহ প্রবর্তন ও তন্মধ্যে সৰ্ব্ব । জ্যেষ্ঠ ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার রূপ রামমোহন রায়ের । প্রিয় কার্য্যে বিশেষ সহায়তা করিয়াছেন । শিষ্যগণের প্রতি রামমোহন রায় অত্যন্ত । বেরাদর একটী । সমেহ ব্যবহার করিতেন । পারসী শব্দ । ইহা ভ্রাতৃসম্বন্ধ-বোধক । তিনি সকল শিষ্যকে বেরাদর বলিয়া সম্বোধন করিতেন । কেবল শিষ্য দিগকে কেন লোকমাত্রকেই তিনি ঐ বাক্যে সম্বোধন করিতেন। ফলত ঈশ্বরের পিতৃত্ব ও মনুষ্যের ভ্রাতৃত্ব তাহার হৃদয়ে সততই জাগরক ছিল । কোন সন্তোষের বিষয় উপস্থিত হইলে তিনি শিষ্যগণকে তৎক্ষণাৎ প্রেমালিঙ্গনক রিতেন। অনেকেই"রামমোহন রায়ের গীত” নামক পুস্তক দেখিয়া থাকিবেন । ঐ পুস্তকের সমস্ত গীত র্তাহার নিজের ও তাছার বন্ধুদিগের রচিত । র্তাহার রচিত গীতের পরে তাছার নামের আদ্যক্ষর নাই, র্তাহার বন্ধুদিগের রচিত গীতের পরে তঁহাদিগের নামের আদ্যক্ষর আছে, যথা কা, রা, কালীনাথ রায়, নিমি,—নিমাই চরণ মিত্রझ, भ, झष्वभ्यश्मि चञ्चूषणानि ।। ७्र गङ्ल সাঙ্কেতিক নামের মধ্যে সকলে নি, ঘো, নামটা দেখিতে পাইবেন । এই নী, ঘো, ঠাকুরের সদরমেট জগন্নাথ ঘোষের পুত্র । ইহাদিগের বাটী প্রথমে কাশারি পাড়ায় ছিল । এক্ষণে গড়পার । আনন্দ বাবুর প্রদত্ত গল্প গুলির মধ্যে আছে নীলমণি ঘোষ এক দিবস একটি গীত প্রস্তুত করিয়া দেওয়ানজীকে শুনাইলেন । গীতটি এই— কে জানে তোমায় তারা তুমি সাকার কি নিরাকার ? বাক্যেতে কহিতে নারি, বর্ণেতে বণিতে হারি, ন ষণ্ড ন পুমান নারী, ব্যোম আদি ধর । হিতার্থে উপাধি দিয়ে, কোন মতে নাম লয়ে. হই যেন সারা ॥ এই গীতটি শুনিয় দেওয়ানজী ঘোষজর অনেক প্রশংসা করিলেন এবং উঠিয়া উtহার সহিত কোলাকুলি করিলেন । এই গীতটি তারাদেবীকে লক্ষ্য করিয়া রচিত হইয়াছে, কিন্তু পরব্রহ্মের প্রতি সম্পূর্ণরূপে ংলগ্ন হইতে পারে । "রামমোহন রায় এমনি অমায়িক ছিলেন যে সামান্য দোষের জন্য তিনি শিষাদিগকে ভৎসনা করিতে পারিতেন না। আমি পুৰ্ব্বে বলিয়াছি যে তিনি চাপকান বাদপাগড়ি ধারণ করিয়া সমাজে আসিবার নিয়ম প্রবর্তিত করিয়া ছিলেন । একদা দ্বারকানাথ ঠাকুর মহাশয় কুঠির পোষাক ভ্যাগ করিয়া পুনৰ্ব্বার পোষক না পরিয়া ধুতি চাদরে সমাজে আসিয়া ছিলেন । রামমোহন রায় সমাজভঙ্গের পরে দ্বারকানাথ বাবুকে ঐ নিয়মভঙ্গের জন্য নিজে दिष्ट्र मा दलिग्न चबनteनान दामाश्राধ্যায়কে বলিতে অনুৰোধ করেন। অন্নদা