পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పెy তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ।

  • • 'काशः १. लीन

| 战蒂 * * $y * প্রসাদ বললেন, মহাশয় কেন বলুন না “পাষণ্ড” “নগরান্তবাসী" বলিয়৷ ডাকা হই য়াহে । এস্থলে নগরাস্তবাসী শব্দে দুইটি রামমোহন রায় সামান্য দোষের জন্য শিষ্যদিগকে ভৎসনা করিতে পারিতেন না বটে; কিন্তু নিজে কোন দোষ করিলে এবং তজ্জন্য কোন শিষ্য তাঁহাকে ভৎসনা করিলে তিনি তাহা বিনীত ভাবে গ্রহণ করিতেন । সে কালের প্রথা অনুসারে রামমোহন রায়ের বাবরি করা চুল ছিল । স্নানের পর তিনি কেশ বিন্যাসে কিছু অধিক কাল ক্ষেপণ করিতেন । তাহা দেখিয়া স্পষ্টবক্তা শিয্য তার চাদ চক্রবর্তী তাহীকে বলিয়৷ ছিলেন, মহাশয় । “কত আর সুখে মুখ দেখিবে দপণে” এই গীতটি কি কেবল পরের জন্যই রামমোহন রায় অ প্রতিভ হইয়া বলিলেন “চা বেরাদর ঠিক বলিয়াছ । তুমি ঠিক পলিয়াছ । রাম "মাহন রায় সীমান্য দোমে ক্ষমা করিতেন বটে কিন্তু কোন গুরুতর দোষ দেখিলে ক্ষমা করিতেন ন! ! এক সময়ে তিনি নেন শিষ্যের পরিমিত যদুপানের জন্য ছয় মাস কাল তাহার মুখদর্শন করেন নাই ! এই কঠোর শাসনে ঐ শিষ্য সংশোধিত ইয়াছিলেন । সকলেই আত্মীয়ের প্রতি সদয় ব্যবহার করিয়ী থাকে, কিন্তু বিপক্ষের প্রতি কোমল ব্যবহার করাই পরম ধৰ্ম্ম । রামমোহন রায় তাহষ্ট করিতেন । নন্দলাল ঠাকুর রামমোহন রায়ের এক জন প্রধান বিপক্ষ ছিলেন । তাহর অভিপ্রায়ক্রমে কাশীনাথ তর্কপঞ্চানন, ঘিনি পরে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক হইয় ছিলেন. তিনি পৌত্তলিক ধৰ্ম্ম সমর্থন পূর্বক রামমোহন রায়ের বিপক্ষে পাষণ্ডপীড়ন নামক একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন । তাঁহাতে রামমোহন রায়ের প্রতি ঘংপরোনাস্তি কটুকটব্য গুয়োগ করা হই য়াছিল । এই গ্রন্থে রামমোহন রায়কে হইয়াছে ? s অর্থ। নগরের অন্তে যিনি বাস করেন এইটি বাচার্থ, ইহার ব্যঙ্গার্থ চাণ্ডাল। পূৰ্ব্বতন রীতি অনুসারে নগর অথব গ্রামের অন্তে চাণ্ডালের বাস করি ত । রামমোহন রায় নগরের অন্তে অর্থাৎ মাণিকতলায় বাস করিতেন এইটি বাচার্থ, আর তিনি হিন্দু সমাজ-বহিস্কৃত চাণ্ডাল এইটি ব্যঙ্গার্থ। রামমোহন রায় ঐ গ্রন্থের প্রতিপক্ষে পথাপ্রদান এই কোমল আখ্যা দিয়া একটি থগুন-গ্ৰন্থ প্রকাশ করিয়া ছিলেন । পথাপ্রদান এই অাখ্য' দি বার তাৎপর্যা এষ্ট তুমি পীড়িত হইয়াছ তোমাকে কিছু সুপথ্য দিতেছি । এই রূপ কোমল বাক্যে তিনি কটুকটল্যের প্রতুত্তের দিতেন । তিনি লিস্তর তর্ক-গ্রন্থ প্রচার করিয়াছিলেন কিন্তু কোন খানিতে ক্রোধের 2 করেন নাই; স্বপক্ষ সমর্থনের জন্য যতটুকু বলা আপশাক তাহাই বলিতেন, অধিক কিছু বলিতেন না । এই সকল গল্প শুনিলে রামমোহন রায়কে কি মনে হয় ? তাহাকে এক আসাপারণ ব্যক্তি মনে হয় । তাহার বিদ্য৷ যেমন বিস্তীর্ণ ও গভীর ছিল, তেমনি র্তাহার বুদ্ধি প্রখর ও প্রগাঢ় এবং হৃদয় কোমল ছিল । তিনি যেমন নানা বিদায় বিদ্বান ছিলেন তেমনি ধৰ্ম্মপরায়ণ ছিলেন এবং যেমন তাহার ধৰ্ম্মপরায়ণতা ছিল তেমনি মনুষ্যের উপকার সাধনে তিনি তৎপর ছিলেন । কোন কোন ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তির প্রকৃতি এই রূপ যে তিনি ধৰ্ম্মপরায়ণ হইয়। সাংসারিক কার্য্যে উদাসীন এবং মনুষ্যের উপকার সাধনে তৎপর নহেন, কিন্তু রামমোহন রায় সেরূপ ছিলেন না। তিনি যেমন ধৰ্ম্মপরায়ণ তেমনি সাংসারিক কার্য্যে মুদক্ষ উগ্ৰ ভাব