পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অগ্রহায়ণ ه-اذ «

ജ്ജ ജ=ങ്ങ==ങ്ങ്

অন্তরিন্দ্রর সংযম S8NO অন্ধকার তিরোহিত হয়, তখন যেমন সকল | লোকের প্রতি উrহার দৃষ্টিপাত ক বস্তুই আপনাপন স্বভাব প্রকৃতিতেই প্রকাশ পায়, তেমনই যখন ঈশ্বরের সর্বজ্ঞত্ব বিষয়-স্বখের অসারত্ব এবং আত্মার মরত্ব একবার স্পষ্ট হৃদয়ঙ্গম হয়, তখন সংসারের ঐন্দ্রজালিক ব্যাপার আর আত্মাকে মুগ্ধ করিতে পারে না । তখন আত্মা মোহঅন্ধকার-মুক্ত হইয়া, সকল বস্তুর প্রকৃত তত্ত্ব বুঝিতে পারে। তখন তাহার সৎপদার্থে অনুরাগ, অসতেতে বিরাগ, অন্ধকারে বিতৃষ্ণ, জ্যোতিতে সমাদর ; মৃতপদার্থে অনভিরুচি, অমৃতেই তাহার রুচি প্রবৃত্তি, রতি-মতি উপস্থিত হয় । আত্মা পৃথিবীর চিরনিবাসী নহে, ইহা যদি সাধকের একবার দৃঢ়তর রূপে হৃদয়ে বদ্ধমূল হয়, তাহা হইলে সহজেই অবৈধ বিষয়-সেবাতে তাহার অনিচ্ছা হইয়া থাকে। অসঙ্গত ইন্দ্রিয়-সুখ-ভোগে তাহার আর প্রবৃত্তি হয় না। যাহা আত্মার চির-সম্বল, আত্মার চিরমঙ্গী, আত্মার অনন্ত-কালউপভোগ্য, সেই চিরন্তন ধৰ্ম্ম, সেই নিত্যসেব্য ঈশ্বরের প্রতিই তখন তাহার দৃষ্টি নিপতিত হয় । সেই অমৃত ধন উপার্জন করিবার জন্যই তখন সে লালায়িত হইয়। উঠে । তখন সেই সাধক কায়মনোবাক্যে অনন্তু কালের সম্বল আহরণেই প্রবৃত্ত হইয়া থাকে । অতএব ধৰ্ম্মজিজ্ঞাস্থ, ঈশ্বরপিপাসু ব্যক্তি সৰ্ব্বদা আত্ম-প্রকৃতি-চিন্তায় এবং আত্মার অধিকার আলোচনায় নিযুক্ত থাকিবে । অনেকে অন্তরিক্রিয় সংযমকেই জীবনের লার কার্য মনে করিয়া থাকেন, চরিত্রকে বিশুদ্ধ করাই পুরুষত্বসম্পাদনের পয়াকাষ্ঠা বিবেচনা করেন । ব্রহ্মসাধনের ॐक्रउद्र चटक्रव्र थङि, यांज़ाद्र डेब्रउिশীল প্রকৃতির প্রতি, পরলোক ব্ৰহ্ম রেন না বলিয়াই চরিত্রশোধন পর্য্যন্ত সমাপন করিয়াই নিরস্ত হন । কিন্তু র্যাহারদের ধৰ্ম্মের প্রতি—ঈশ্বরের প্রতি দৃষ্টি নিপতিত হয় এবং যাহারা তাহার সহিত জ্ঞান-ধৰ্ম্ম-সমন্বিত উন্নতিশীল অমর আত্মার অকাট্য নৈকট্য সম্বন্ধ বিশেষ রূপে উপলব্ধি করিতে পারেন, তাহারদের চক্ষে ব্ৰহ্ম-দর্শনের আরো উচ্চতর অঙ্গ সকল সুস্পষ্টরূপে প্রতিভাত হইয়া থাকে। তাচার ব্রহ্ম-নিকেতনের দ্বার-দেশে দণ্ডায়মান হষ্টয়া যৎকিঞ্চিৎ সুখ-শান্তি উপভোগ করত পরিতৃপ্ত হইতে পারেন না । তাহারা এই অবস্থাতেই ব্রহ্মদৰ্শন-লাভের জন্য যার পর নাই ব্যাকুল হইয়। আরো উচ্চতর সোপানে আরোহণ করিবার নিমিত্ত যত্ব চেষ্টায় প্রবৃত্ত হয়েন । পবিত্র হৃদয়াসন বিস্তার করিয়া হৃদয়নাথকে তাহাতে আসীন করাইবার জন্য প্রার্থনা করেন । যাহারা প্রকৃতির দৃষ্টান্তেই চালিত হন, যাহারা আত্মার উচ্চ প্রকৃতিকে, উদ্ভিদ পশুপ্রকৃতির তুল্য বিবেচনা করেন, সংসারেই তাহারদের আশা-ভরস, সুখ উন্নতি সকলই বদ্ধ হইয়া পড়ে। তাহারা সাংসারিক ও সামাজিক সুখ-সচ্ছন্দতার জন্যই চরিত্রকে বিশুদ্ধ করিতে যত্নশীল হইয়া থাকেন । লোকে অসচ্চরিত্র হইলে পাছে মনুষ্য-সমাজের সম্পদ সৌভাগ্যের ব্যাঘাত হয়, পাছে পরস্পরের স্বার্থবিলোপ-জনিত দ্বন্দ্ব-কলহ উপস্থিত হইয়া লোক-যাত্রার বিশৃঙ্খলা ংঘটিত হয়, ব্যষ্টি বা সমষ্টিগত ইন্দ্রিয়ব্যভিচার দ্বারা পাছে জনসমাজ উৎসন্ন হয়, এই আশঙ্কাতেই তাহারা অসৎ প্রবৃত্তিদমনে এবং সৎপ্রবৃত্তির উৎকর্ষ-সাধনে প্রবৃত্ত হইয়া থাকেন। সম্পদ লাভই তাহারদের লক্ষ্য, স্থখ-ভোগই র্তাহারদের উদ্দেশ্য