পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$88 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা থরক্ষাই তাহারদের শিক্ষা গুরু, বৈষয়িক | সচ্ছন্দতা-লাভের ইচ্ছাই তাহারদের ইন্দ্রিয়সংযমের একমাত্র প্রবর্তক। কাম ক্রোধ, লোভ-ঈর্ষা প্রভৃতি নীচ-প্রবৃত্তি সকল সংযত না করিলে যদি তাহারদের সাংসারিক সুখের ব্যাঘাত না হুইত, তাহা হইলে হয় তো তাহারা তাহাদিগকে বশীভূত করিতে যত্নবান হইতেন না । যে অবস্থায় কোন নীচপ্রবৃত্তি শিথিল হইলে আপনার বা অনোর কোনরূপ বিশেষ সুখহানি হয় না, সে অবস্থায় হয় তো তাহার। তৎসংযমে দৃঢ়ব্ৰত হয়েন না। কিন্তু ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাস্থ ঈশ্বরপিপাসু সাধকের লক্ষ্য অন্য প্রকার । ব্রহ্মলাভই তাহার উদ্দেশ্য, সেই উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই ইন্দ্রিয়সংযমে, চরিত্ৰশোধনে তিনি প্রবৃত্ত হইয় থাকেন। তদ্বারা তাহার সহস্ৰবিধ বিষয়-সুখ ও ইন্দ্রিয়-সুখ-ভোগের ব্যাঘাত ঘটিলেও তৎপ্রতি তিনি ভ্ৰক্ষেপ করেন না । বিবিধরপে তাহার স্বার্থহানি হইলেও তাহাতে তিনি কাতর-বা কুষ্ঠিত হয়েন না। তিনি ধৰ্ম্মের আদেশে ঈশ্বরের আদেশেই পরিচালিত হইয়া থাকেন । ঈশ্বরই তাহার জ্ঞান-প্রেম, সত্য-মঙ্গল, শান্ত ও পবিত্র ভাবের অভ্রান্ত অাদর্শ। আপনাকে সেই অনুপম আদর্শের সন্নিহিত করাই, তাহার সকল সাধন সংযমের একমাত্র তাৎপৰ্য্য । তাহার আশা, ভরসা ; সকলই সেই পরব্রহ্মে সংস্থিত রহিয়াছে। তাহার যাহা কিছু ব্রত-কৰ্ম্ম, জ্ঞান-ধৰ্ম্ম, সকলই সেই ঈশ্বরের জন্য। স্বার্থের জন্য র্তাহার কিছুই নহে। তিনি আত্মাকে ঈশ্বরের প্রিয় সিংহাসন করিয়া তুলিবার নিমিত্ত সাধনতপস্য-বলে তাহার অপকর্ষ-ভাব বিদূরিত করত উৎকর্য সাধনেই যত্নশীল হয়েন। তিনি সংসারের নীচ লক্ষ্য ক্ষুদ্র দৃষ্টি পরি ত্যাগ করিয়া পরলোক ব্ৰহ্মলোকের জন্যই বশীভূত করেন। 尊 o অমৃত-বীজকে

० रूछ, * ठाँग

আপনাকে প্রস্তুত করিতে থাকেন। তিনি এককালে ইন্দ্ৰিয়-নিরোধ না করিয়া ঈশ্বরের আদেশে বৈধ ব্যবহার দ্বারা তাহাদিগকে কোনরূপে রিপুকুল কুহকে, সংসার-প্রলোভনে কদাচ আসক্ত বা অভিভূত হয়েন না। তাহার লক্ষ্য উচ্চতর, তাহার আশা উন্নততম । ধৰ্ম্মই র্তাহার নেতা, ঈশ্বরই তাহার উপদেষ্ট । তিনি চরিত্রসংশোধন দ্বারা কেবল ভূমি-কর্ষণ করিয়াই নিশ্চিন্ত হয়েন না, ইন্দ্রিয়-সংযম-জনিত আত্মাকে নিৰ্ম্মল ও নিষ্পাপ করাকেই পবম-পুরুষাৰ্থ জ্ঞান করেন না । তিনি সুদক্ষ কৃষকের ন্যায় সেই কণ্টকশূন্য কর্মিত চিত্ত-ক্ষেত্রে ব্রহ্মজ্ঞান-রূপ পুষ্প-ফলে সুশোভিত করিবার জন্য ই অহৰ্নিশি প্রাণপণে চেষ্টা করিতে থাকেন। তিনি সেই পবিত্র আত্ম-নিকেতনে আত্মার অধিপতিকে প্রতিষ্ঠিত করিবার নিমিত্তই যত্নশীল হয়েন । নিৰ্ম্মল の“ অল্পারত এবং অীষ্ম-দৰ্পণে সেই সত্য-সুন্দর মঙ্গলস্বরূপের প্রতিবিম্ব সনদর্শন করিবার জন্যই। সম্পহ জ্ঞান-নেত্রে দৃষ্টি করিতে থাকেন । তিনি শান্ত-দাস্থ, উপরত তিতিক্ষু সমাপ্তি হইয়া সেই আত্ম রূপ উজ্জ্বল শ্রেষ্ঠ কোষ মধ্যে বিশ্ব-ভুবন-পরিপালক পরমেশ্বরকে বিরাঞ্জিত দেখিতেই সমুৎস্থক হয়েন লক্ষ্য-শূন্য হইয় অন্যের দর্শন-সুখের জন্য কেবল ভূমি-কর্ষণ করিলে যেমন ফল-শস্য প্রাপ্ত হওয়া যায় না, তেমনি উচ্চতর মহত্তর উদ্দেশ্য পরিত্যাগ করিয়া কেবল আত্মসুখের জন্য অথবা সামাজিক সুখ সচ্ছন্দতা বৰ্দ্ধনের নিমিত্ত ইন্দ্রিয়সংযমে প্রবৃত্ত হইলে ধৰ্ম্ম লাভ ঈশ্বর লাভ –এবং অমৃত লাভেরও সম্ভাবনা থাকে না । যদি চরিত্রকে কেবল নিৰ্ম্মল ও নিষ্পাপ করাই মনুষ্যघोवएनन्न गान्न कार्य श्ञ, उाछ्। श्दैन