পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫

و همه ۹۹۹ج Сиамаяна বর্তমান প্রস্তাবে তাঁহারই মধ্যে তিনটর সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রকাশিত হইতেছে। সেই গুহাগুলি “যোগীঘেগ” বলিয়াই প্রসিদ্ধ । আসামী ভাষায় “ঘোগ” শব্দের জর্থ গুহ । গুহ গুলি গোয়ালপাড়া হইতে প্রায় পাঁচ মাইল দূরে ব্রহ্মপুত্রের উত্তরতীরস্থ পর্বতগাত্রেই খোদিত । তন্মধ্যে যে ছুইটী সহজে দেখা যায়, তাহ ব্ৰহ্মপুত্রের উপকূল হইতে ৬৭ ফুট উচ্চ। যেটা দুর্গম সেটা প্রায় ৪০৫০ ফুট উপরে, তদ্বভিন্ন আরও কতকগুলি গুহা ইতস্ততঃ বর্তমান আছে। গুহা গুলি কৃত্রিম, মনুষ্যের যত্ন চেষ্টায় ও বহু অর্থ ব্যয়ে পর্বতগাত্রে খোদিত হইয়া নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। যে তিনটি গুহার বিষয় উল্লেখ করা যাইতেছে, সে তিনটাই প্রায় দীর্ঘ প্রস্থে ৫৭ ফুট হইবে উচ্চ ও প্রায় পাচ ফুট । উপরি ভাগ খিলানের আকারে খোদিত । উহার মধ্যে প্রত্যেকটর এক এক পাশ্বে বেদীর মত স্থান আছে এবং গুহার অভ্যন্তরে পর্বত গাত্রে প্রদীপ রাখিবার এক একটা স্থল নির্দিষ্ট রহিয়াছে। অর্থাৎ গুহাগুলি এরূপ আকারে নিৰ্ম্মিত ' যে তন্মধ্যে স্বচ্ছন্দে এক একটী লোক অবস্থান করিতে পারেন । নদী তট হইতে গুহায় উঠিবার জন্য পৰ্ব্বত কাটিয়া ধাপ সকল নিশ্মিত থাকিলেও তাহ নিতান্ত সুগম নহে । তন্মধ্যে তৃতীয়ট নিতান্ত দুর্গম । আমাদের যে বন্ধু, তাহা স্বচক্ষে সন্দর্শন করিয়া আমা- , রদিগকে অবগত করিয়াছেন, তিনি লিখিয়াছেন যে “ এই গুহাটা দেখিবার জন্য বৃক্ষের সাহায্য লইয়া তাহার উপর উঠিয়াছিলাম। উঠিয়া দেখি যে আজও তথায় একটা সন্ন্যাসী অবস্থান করিতেছেন। তাহার সঙ্গে আর কেহ শিষ্য সেবক বা চেলা নাই । अशूनकांन चाब्र। अरुशृउ श्नाग्र ८ष उिनि একজন প্রকৃত যোগী নহেন । যোগীঘোগ $6: পাহাড়ের উপরে এবং গুহার সম্মুখে জগদীশ্বরের প্রাকৃতিক উদ্যানে আম্র পনস প্রভূতি শত শত বৃক্ষ যেন তাহার অনন্যপরীক্ষ্মণ তপঃক্লিষ্ট সাধকদিগের ক্ষুৎপিপাসা নিবারণ জন্য ফল ভার মস্তকে করিয়া দণ্ডায়মণ রহিয়াছে। ব্রহ্মপুত্র আশ্রমদ্বার দিয়৷ কল কল বেগে প্রবাহিত হইয়া যেন তাহারদের স্নান অবগাহনের অনুকুলত সম্পাদন করিতেছে । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যপূর্ণ এই পবিত্র স্থানে উপবেশন করিয়া চারি দিকে বিশ্বস্রষ্ট পরমেশ্বরের জ্ঞান শক্তি মহিমার জাজ্বল্যতর নিদর্শন সান্দর্শন করিলে নিতান্ত কঠোর হৃদয়ও বলবৎ প্রেমে বিচালিত হইয়া যায় ৷ একান্ত বিক্ষিপ্ত চিত্তও শান্ত সংযত হইয়া পড়ে । ইংরাজ অধিকারের পূর্বে এখানে অনেক যোগী ব্রহ্মচারী এবং সন্ন্যাসী প্রভূতি বাস করিয়া সমস্ত সময় কেবল ধ্যান ধারণায় অতিবাহিত করিতেন, বর্তমান রাজপুরুষদিগের আধিপত্য বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গেই র্তাহার প্রস্থান করিয়াছেন । উল্লিখিত গুহা গুলি কোন ধনশালী ধৰ্ম্মনিষ্ঠ মহাপুরুষ দ্বারা কোন সময়ে খোদিত হইয়াছিল, তাহ নিঃশংসয়ে অবধারণ করা দুঃসাধ্য । । উৎকল প্রদেশে অস্তগিরি ও উদয় গিরি নামক পৰ্ব্বত শ্রেণীতেও বহুবিধ আশ্রম গুহা অদ্যাপিও বৰ্ত্তমান রহিয়াছে, তন্মধ্যে রাজপ্রাসাদতুল্য কয়েকটা স্থানও এখনও তথায় দৃশ্বমান রহিয়াছে। সেই সকল গুহা ও আশ্রমাদি প্রথম প্রস্তুত করিবার সময় লক্ষ লক্ষ মুদ্র ব্যয় হইয়াছিল। গুহাগাত্রে, প্রাসাদস্তম্ভে বৌদ্ধমূৰ্ত্তি সকল খোদিত থাকাতে অনেকেই অনুমান করেন, যে এগুলি বৌদ্ধ রাজাদিগের দ্বারাই নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। 4.