পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫১

ष शश्tध्रं भv ७४ সৰ্ব্বত্র সমভাবে বিদ্যমান, তিনি উদ্ধে অধোতে অন্তরে বাহিরে সম্মুখে পশ্চাতে সকল স্থানেই বৰ্ত্তমান, তিনি এই সমাজমন্দিরে ও উপস্থিত থাকিয়া আমাদের হৃদগত ভাব সকল প্রত্যক্ষ করিতেছেন । আমাদিগের পরম সৌভাগ্য যে আমরা এই পরাধীন দুর্বল অজ্ঞান-তিমিরাচ্ছন্ন দেশের অধিবাসী হইয়া ও উদার পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্মের আশ্রয় গ্রহণ করিতে সমর্থ হইয়াছি। এই পবিত্র ধৰ্ম্মের উপদেশীমুসারে কার্য্য করা এবং ইহার বহুল প্রচার সম্বন্ধে আমাদের প্রাণগত চেষ্টা কর। সৰ্ব্বতো ভাবে কৰ্ত্তব্য । আমরা এমন্ত উচ্চতয় অধিকার প্রাপ্ত হইয়াও যদি ইহার ধৰ্ম্মপুর ব্রাহ্মসমাজ সপ্তম সাম্বৎসরিক উৎসব ゞ(tゞ শরীর, মন ও আত্মা পবিত্র হয়, জনসমাজের কল্যাণ সাধিত হয় এবং পৃথিবী স্বর্গতুল্য স্থখধাম হয়, ইঙ্গা প্রণালীবদ্ধ ধৰ্ম্মে কখনই সস্তুবে না। শরীর, মন ও আত্ম। পাপে পরিপূর্ণ হউক, পরিবার মধ্যে পাপের স্রোত প্রবাহিত হউক তাহাতে কিছুমাত্র হানি নাই, প্রণালী রক্ষা করিতে পারিলেই ধৰ্ম্ম রক্ষ হইল, এই বিশ্বাস গুরুতর অনিষ্টকর । মিথ্যা, প্রবঞ্চনা, ব্যভিচার, পরপীভূন, পরস্বীপহরণ প্রভূতি মহাপাপে জন সমাজ অধোগতি প্রাপ্ত হইতেছে ; তথাপি o: প্রকৃত ব্যবহার না করি, তাহা হইলে । আমাদিগের তুল্য হতভাগ্য আর নাই l বলিতে হইবে । পৃথিবীতে যে সকল । এ সময়ে আর কোন সুশিক্ষিত ব্যক্তিকে দেশ জ্ঞান ও সভ্যতায় শ্রেষ্ঠ বলিয়া পরিগণিত সে সকল দেশেও এমত উচ্চতম ধৰ্ম্ম দুর্লভ রহিয়াছে। দয়াময় পরম পিতা এই দুর্বল সন্তানগণের প্রতি কৃপা করিয়াই এই শ্রেষ্ঠতম অধিকার প্রদান করিয়াছেন। এ সময়ে এই পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্ম এ দেশে প্রয়োজন বলিয়াই সৰ্ব্বজ্ঞ পরম কারুণিক পরমেশ্বর সেই অভাব দূর করিয়াছেন । যত দিন এদেশে বিজ্ঞান, পদার্থতত্ত্ব প্রভূতির আলোচনা ছিল না তত দিন উপধৰ্ম্মে সকলেরই আন্তরিক শ্রদ্ধা ছিল । অধুনা যে পরিমাণে জ্ঞানালোচনা হইতেছে, সেই পরিমাণে উপধৰ্ম্মের প্রতি লোকের অনাস্থা জন্মিতেছে, কি প্রৌঢ় কি নব্য কোন লোকের মধ্যে উপধৰ্ম্মের প্রতি আর বিশেষ আস্থা দেখিতে পাওয়া যায় না। যে কয়েক জন প্রাচীন ব্যক্তি উপধৰ্ম্মে ৰিশ্বাস করেন, উহাদের অনুষ্ঠানাদি প্রায় el१ीलैौवक हऐब्रा *क्लिग्नांदळु । ५ष्{ बांद्रा প্রণালীবদ্ধ ধৰ্ম্ম তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত করে না ইহা কি অল্প অক্ষেপের বিষয় নহে । এই পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বহুল প্রচারের পূর্বে এতদেশীয় শিক্ষিত যুবকগণ, প্রায় খৃষ্টপূৰ্ম্মেই আস্থাবান হইতেন । অধুনা ব্রাহ্মধৰ্ম্মের যে পরিমাণে উন্নতি হইয়াছে, খৃষ্টধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে প্রায় শুনা যায় না। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অভু্যদয় না হইলে খৃষ্টধৰ্ম্মই এদেশের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের ধৰ্ম্ম হইয়। পড়িত ইহা বিলক্ষণ বোধ হইতেছে । তাহাতে সমাজের অনিষ্ট বৈ ইষ্ট সাধিত হইত না, কারণ এ পর্য্যন্ত এতদেশীয় যতগুলি যুবক খৃষ্টধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়াছেন ইহঁরা সকলেই সমাজ-বহিভূত হইয়া গিয়৷ স্বতন্ত্র একটা সম্প্রদায় হইয় পড়িয়াছেন ; র্তাহীদের সহিত আমাদের একেবারে পার্থক্য ভাব হইয়া গিয়াছে ; পরস্পর সম্ভাষণ ও সহানুভূতি নাই বলিলেই হয় ; সুতরাং তাহাদের দ্বারা সমাজ কি প্রকারে বিশেষ উপকৃত হইবে। অতএব এই সময়ে এদেশে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যে কিরূপ প্রয়োজনীয় বিবেক-শক্তি-সম্পন্ন ব্যক্তি মাত্রই তাহা বিবেচনা করিতে পারেন । যাহারা ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছেন তাহাদিগকে বিশেষ