পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মপুর ব্রাহ্মসমাজ সপ্তম সন্ধিৎসরিক छे ২ সব ډه vډ ه}*tچ}ي} ゞ(tー。 wo শাখা প্রশাখ। এই সমস্ত বিষয় পৰ্য্যালোচনা করিয়া মনুষ্য আর পরিমিত পদার্থের উপাসনা করিতে পারেন না। জ্ঞানানুসারেই বিশ্বাসের উৎপত্তি হয়, জ্ঞান বিশ্বাসের নেতা । যে বিশ্বাস ন হইলে মনুষ্য ও পশুতে বিভিমত থাকে না সেই বিশ্বাসের মূল জ্ঞান । জ্ঞান বিশুদ্ধ হইলে বিশ্বাস ও বিশুদ্ধ হইবে, জ্ঞান অমার্জিত থাকিলে বিশ্বাস ০ কুসংস্কারাপন্ন হইবে । যে বিশ্বসকে আমরা ধৰ্ম্মেল জীবন বলিতেছি সেক্ট বিশ্বাসের বশবর্তী হইয়৷ পূৰ্ব্বকালে কতশত লোক জীবিত পুত্রকে সমৃদ্রে দিয়াছে, মাতকে জ্বলন্ত চিন্তায় দগ্ধ কfর邓忆豆 নরবলি দিয়া তাচার শোণিত পান কলি যাচে । নাম লইয়া লিমাৰ্জ্জন এবং বর্তমান কালে বিশ্বাসের । কত লোক কাল্পনিক দেবদেবীর । পূজা করিতেছে; যুক্তিক প্রস্তর, নদী,পৰ্ব্বত, . অগ্নি বায়ু চন্দ্র সূর্য প্রভৃতির পূজা করিতেছে । কত ব্যক্তি মৃত মনুষ্যকে, কেহ কেহল| জীবিত মনুষ্যকে পূজা করিতেছে আবার কতকগুলি লোক বিশ্বাসের বশীভূত হইয়। ব্যভিচার ও হুরাপানকে ও ধৰ্ম্মের সাধন বলিয়া প্রচার করিতেছে। বিশ্বাস এমনি পদার্থ, এ যে বেশে আস্থক না কেন, তাহাতেই মন্তয্যের মন হরণ করিতে পারে। মনুষ্য ধৰ্ম্মপথের যাত্রী, বিশ্বাস সেই পথের নায়ক, যদি বিশ্বাস বিশুদ্ধ না হয়, তবে অধোগতি প্রাপ্ত হইতে হইবে, জ্ঞানালোচনা ಥ್ರ ভিন্ন বিশ্বাস বিশুদ্ধ হয় না, আধুনিক । যুবক-বৃন্দের বিশ্বাস জ্ঞানালোচনা দ্বার বিশুদ্ধ হইতেছে এ সময়ে আর উপধৰ্ম্মে তাহাদের প্রবৃত্তি জন্মিবে কেন ? এখন তাছাদের বিশ্বাসানুরূপ সত্য ধৰ্ম্মের আশ্রয়ই শ্রেয়স্কর হইতেছে। যদি কেহ সত্যধৰ্ম্ম | অবলম্বনের ব্যাঘাত করেন তাছাহইলে শিক্ষিত যুবকবৃন্দ শূন্যহৃদয় হইয়া পড়িবে। ধৰ্ম্মভাবশূন্য মনুষ্য আপনার ও সমাজের অত্যন্ত অনিষ্টকারী । জ্ঞানী হইয়। যদি বিশুদ্ধবিশ্বাসী না হয়, তাহা হইলে তাকাদের অপেক্ষ নিরক্ষর কৃষকগণ ও অনেক গুণে শ্রেষ্ঠ । কেননা ঐ মূখ কৃষকদের বিশ্বাসানুরূপ একটা ধৰ্ম্মের ভাব আছে, এ জন্য তা ছারা অনেক গৰ্হিত কৰ্ম্ম হইতে বিরত থাকে । কিন্তু অধৰ্ম্মক জ্ঞানীর প্রমে জন ষ্টলে কোন প্রকার গস্থিত কাৰ্য্য করতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত হয় ন। । ধৰ্ম্মভাবশূন্য জ্ঞ' নাতে আর ব্যাঘ্ৰ ভল্লুক প্রভূত হিংস জন্তুতে আকারগত । ব্যত প্র ভেদ }}ত সার্মাগত কোন প্রভেদ নাই। প্রয়ে জন উপস্থিত হইলে তষ্ঠার না করিতে পারে এমন লন্ম ই ম ষ্ট । তাহীর জনসমাজে স্ত্রসভ্য মত্স্য বলিয়া পরি ব্রাহ্ম ধৰ্ম্ম জ্ঞানী চিন, কিন্তু চান্তরে পিশাচ সদৃশ । এরূপ জ্ঞানকে অত্যন্ত সৃণ করেন । যদি ঈশ্বর পরায়ণ i রণ করেন, তবেই ; জ্ঞানী হইয়া অনন্ত স্বরূপ মঙ্গলময় মুক্তি দা তা ঈশ্বরে বিশ্বাস করুন ও তা হাঁকে ভক্তি করুণ পরমানন্দ লাভ কfরবেন । ভক্তিবিহীন জ্ঞান অত্যন্ত কঠোর ও নীরস । ভক্ত দিগের মন, ঈশ্বরকে কেবল স্বষ্টিকর্তা বলিয়া স্থির থাকে না । ভক্তেরা যখন তাহাকে আপনার সহায় আশ্রয় ও মুক্তিদাত বলিয়া জানিতে পারেন, তখন তাহাদের আনন্দের আর পরিসীমা থাকে না । ভক্তি যে পরিমাণে বৃদ্ধি হইবে, মনুষ্য সেই পরিমাণে ঈশ্বরের নিকটস্থ হইতে থাকিবে, পূৰ্ব্বে যাহ। কল্পনা বলিয়া বোধ হুইত অত্যন্ত সুপণ্ডিত ব্যক্তি ও যাহা চিত্ত৷ করিতে সমর্থ হইতেন না ভক্তি বলে, তাহা প্রত্যক্ষবৎ হইবে। ভক্তিশূন্য ধৰ্ম্ম, ধৰ্ম্মই নহে । জ্ঞানসহকৃত ভক্তি দ্বারা ঈশ্বর