পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

るゲ8 সাত্ত্বিক আহার দ্বারা শরীরের বলাধান হয়, সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পায়, চিত্ত প্রসন্ন থাকে, মস্তিষ্কের স্থৈর্যা সম্পাদন হয়, ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তি প্রবল হয়, সংক্রামক পীড়ায় সহসা শরীর আক্রান্ত হয় না । অতএব সৰ্ব্বপ্রযত্নে শুদ্ধান্ন ভোজন করিবে । কদাচ অশ্রদ্ধা বা তানভিরুচির সহিত পান ভোজন করিবে না; তদ্ধর রোগ উৎপন্ন হয়, ভোজনে তৃপ্তি লাভ হয় না । সেই জনাই স্বাস্থ্য-বিধানfবং তার্ষ্য ঋষিগণ মাতা, ভূচিতা, মাতৃম্বস, মাতুলানী, ভগিনী, বনিত প্রভৃতি র্যাহার। ভোক্তার রুচি ও প্রবৃত্তি অনুসারে তাহার খাদ্যাখাদ্য বিশেষ অবগত হইয়া কল্যাণ-কামনায় স্নেহ প্রীতি সহকারে যাদৃশ অমাদি পাক কল্পত প্রদান করেন, তাদুশ পান-ভোজনেরই প্রশস্ততা ও উপকারিতা এবং পরান্নভোজমের দোষ ব্যাখ্যা করিয়া গিয়াছেন । যাহার দের ভোক্তার প্রতি স্নেহ প্রেমের সম্পর্ক ! নাই, র্যাহারা কেবল লোভ-ভয়েই চালিত চইয় থাকেন, তদৃশ স্থলে অন্ন পাম গ্রহণ করা এটু জনাই ধৰ্ম্মশাস্ত্রে নিষিদ্ধ বলির কীৰ্ত্তিত হইয়াছে । পাচক পাচিক প্রভৃতি নিঃসম্পৰ্কীয় লোকদিগের রন্ধন-কার্য্যে প্রভুর তুষ্টি সাধনেরই প্রতি একমাত্র লক্ষ্য থাকে। রন্ধন-পাত্রের উৎকর্ষ অপকর্ষত, রন্ধন-উপাদানের তারতম্য নিবন্ধন যে, ভোক্তার কি মনিট অপকার হইবে, তৎপ্রতি তাহার তত দৃষ্টি থাকে না । পক দ্রব্য সুদৃশ্য ও স্বাদু হইলেই, তিনি আপনাকে কৃতকাৰ্য্য মনে করিয়! থাকেন । কিন্তু তদ্বারা যে ভোক্তার অজ্ঞাতসারে কি ভয়ানক অনিষ্ট সংঘটিত হয়, তাহ সহসা উপলব্ধি হয় না । “অক্স কটু ভিক্ত কষায়দি রস-যুক্ত তীব্র অথবা সৰ্ব্বদ গুরুপাক দ্রব্য সেবন করিলে বীর্য্যইনি হয়, তপত্যোৎপাদন শক্তি হ্রাস হয়, অর্ণ প্রভৃতি উৎকুট রোগ জন্মে ; এই কা & তত্ত্বৰোধিনী পত্রিকা ויש ל הוא "ג রণেই ধৰ্ম্মশাস্ত্রবিৎ পণ্ডিতেরা “কারুকান্নং প্রজাং হন্তি” “পাচকদিগের অন্ন ভোজন করিলে সন্তান নষ্ট হয়’ বলিয়া তৎসেবন নিষিদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। ভোজনবিলাসী ঐশ্বর্য্যশালী ধনাঢ্য লোকদিগের সন্তান সন্ততি না হইবার অপরাপর কারণ স্বত্তেও, প্রাগুক্ত অন্ন পান ভোজনকেও একটী বলবৎ কারণ বলা যাইতে পারে। স্বাস্থ্যনাশ ধৰ্ম্মস্থানি এবং প্রজাক্ষয় প্রভূতি নানা কারণেই ধৰ্ম্মপ্রিয়, আর্য্যজাতির মধো ভোজন পান বিষয়ে এত সাবধানতা ও সতর্কত; দৃষ্ট হইয় থাকে। কদািচ উচ্ছিষ্ট অন্ন ভোজন করিবে ন}, অন্যকেও ভোজন-পানীবশিষ্ট দ্রব্য প্রদান করিবে না । উচিতুষ্ট অন্ন ভোজন করিতে প্রথমেই ঘৃণা ও অতৃপ্তি উপস্থিত হইয় থাকে। ভোজনে তাতৃপ্তি হইলে রোগোৎপত্তি হয়। দ্বিতীয়তঃ তানের ভোজনপানবশিষ্ট দ্রব্য সেবন করিলে সংক্রমিক পীড়াদি উপস্থিত হইবার সম্পূৰ্ণ সম্ভাবনা । এজন্য সর্বব: প্রঘত্বে তাই পরিত্যাগ করিবে । পুনঃ পুনঃ ভোজন করবে না, তাহাতে আহার-ইচ্ছাই প্রবল হইয়া, ক্রমে ঔদরিক হইয়া পড়িতে হয়। উচ্ছিষ্ট মুখে ভ্রমণাদি অশিষ্ট ব্যবহার পরিত্যাগ করিয়! সৰ্ব্ব-বিষয়ে সংযত হইবে। “cनांकिकृझे३ रुभाष्ठिभालाग्निानTाँटेक्रव ठथांरुद्र ! নচৈবাতাশনং কুৰ্য্যায়চোচ্ছিষ্ট কচিদ্বজেৎ " উচ্ছিষ্ট ভোজন দ্বারা স্বাস্থ্যনাশ, রোগ বিস্তার প্রভূতি, নানা অপকার অনিষ্ট হয় বলিয়াই পূৰ্ব্বতন আর্য্য-ঋষিগণ ‘তাঁহাকে একটি দৈহিক পাপ মধ্যে গণনা করিয়া, সাম ও যজুৰ্ব্বেদীয় সন্ধা-বন্দনাদি নিত্য কৰ্ম্মে, সেই পাপমোচনের জন্য “যদুচ্ছিষ্টমভোজ্যঞ্চ” ইত্যাদি প্রার্থনা-মন্ত্র সন্নিবেশিত্ত করিয়া দিয়াছেন যে, সাধকগণ উচ্ছিষ্ট ভোজন হইতে বিরত হইবে ।