পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ কৃপায় সেই অমৃত-সাগরে অবগাহন পূৰ্ব্বক র্তাহার অর্চনা করি। এস আমরা একহৃদয় হইয়া বলি, “র্তার নাম স্মরণে পুলকিত মনে মুখে কেমন যায় জীবন । স্বর্গের সুধারাশি, বহে রাশি রাশি, সে জলেতে ভাগি আনন্দ কেমন ৷ চলে মনের তরি-বিশ্বাসে নির্ভর করি, সংসারেরি পার সেই শান্তিনিকেতন ৷” তিনি যেমন আজ তা!মাদিগকে প্রেমনীরে অভিষিক্ত করিতেছেন, আমরাও কি তেমনি আজ র্তাহাকে প্রেমাশু উপহার দিতে পারিব না ? আমাদের আর কি আছে যে তার পবিত্র চরণে উপহার দিয়া কৃতার্থ হইতে পারি। যদি তার নাম স্মরণে এক বিন্দুও অশ্রু তাহাব পদতলে পতিত হয়, । তাহা হইলেও সকল শোক সকল দুঃখ ও সকল পাপ-তাপ দূরে যায়। নেত্ৰলাভ সফল ও মনুষ্য-জন্ম সার্থক হয় । এই প্রেমেই মনুষ্যের মনুষ্যত্ব ও দেবতার দেণত্ব। যে খানে এই প্রেম বিরাজমান সেটু স্থানই স্বর্গ। আর যে খানে এই প্রেম নাই সেই স্থানই শ্মশান । এই প্রেমই আমাদের প্রকৃত বন্ধু—এই প্রেমই আমাদের গতি মুক্তির কারণ । এই প্রেম যদি পিতা ও পুত্রের গুরু ও শিষ্যের স্বামী ও স্ত্রীর সখা ও সাখার মধ্যবৰ্ত্তী হয়, তাহা হইলে পিতৃভক্তি {1-ভক্তি বাৎসলা দাম্পত্য সৌহৃদ্য }র আশ্চৰ্য্য আকার ধারণ করে ; কি অমৃতই ক্ষরণ করে । এক মধুময় আত্মা যখন অপর মধুময় আত্মার সহিত মিলিত হয়, আর সেই মিলনের মধ্যে যদি ঈশ্বর-প্রেমকে য়াখা যায়--তবে তাহাতে কি অপার অানন্দ ! আবার সেই প্রাণসম বন্ধু যখন জন্মের মত এই পৃথিবী হইতে বিদায় লয়— তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

§ to कब्र, १ ऑन তাহার সস্নেহ দৃষ্টিপাত অবলোকন করিয়া যখন হৃদয় ভগ্ন হয় – তাহার মৃত শরীরো , পরি অশ্র বর্ষণ করিতে করিতে যখন निक् দশ অন্ধকার দেখিতে হয়—তখনও সেই প্রেম অtসিয়া আমাদিগকে অতি পবিত্র বৈরাগ্য শিক্ষা দিয়া সাস্তুন প্রদান করে । শেষের সে ভয়ঙ্কর দিনে, যখন মনুষ্য ইহ লোক হইতে পরলোকে গমন করে – যখন অন্যে কথা কহিতে থাকে আর সে নিবৃত্ত হইয়া থাকে, যখন তাহার কলেবর হিম – দৃষ্টিহীন—ও নাড়ীক্ষীণ হয়— যখন গৃহে হায় হায় শব্দ-যখন সম্ম থে স্বজন স্তব্ধ হইয়া থাকে—তখনও সেই প্রেম তাহার আত্মাকে ভয় ও মৃত্যু-জ্বালা হইতে বিমুক্ত করে । আদ্যকার উৎসবে তাছার প্রেম-স্বরূপ কেমন স্পষ্ট প্রস্ফটিত - তেছে। ব্রাহ্মগণ ! ভক্তি-ভরে তাহ অনুভব কর এবং গাঢ় অনুরাগ সহকারে তাহ। হৃদয়ে স্থান দিয়া পোষণ কর যাহা সম্পদে বিপদে সুখে দুঃখে সজনে নির্জনে জীবনে ও মরণে আমাদের সঙ্গের সঙ্গী হইয়৷ আমাদিগকে জ্যোতিৰ্ম্ময় ব্রহ্মধামে লইয়। যাইবে । হে প্রেম-স্বরূপ ! আজি এই উৎসবের দিনে তোমাকে হৃদয়ে ধারণ করিয়া— তোমার প্রেম গান করিয়া যেমন আনন্দরসে আপ্লাবিত হইতেছি—চির দিন যেন এমনি তোমাকে হৃদয়-সিংহাসনে আসীন দেখিয়া পরমানন্দ লাভ করি । তুমি নাথ আমাদের হৃদয়কে কৃপা করিয়া অধিকার করিয়া থাক তাছা হইলে এ উৎসবের আর বিরাম इश्व ন – এ জীবন উৎসবময় হইয়া যাইবে । নাথ ! তুমি যে আমাদেরিআর আমরা যে নাথ তোমারি; তোমার পদতলের স্বশীভল স্থান ব্যতীত আমাদের জার শান্ডি কোথায় ! তুমি তোমার শান্তি-স্থধ।