পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 3 8 নন্দই বিস্তার করিতেছে। মর্ত্য-ভূষণ তত্ত্বদশী মানববৃন্দ প্রকৃতির সেই চির-সজ্জিত আনন্দ-উৎসব-ক্ষেত্রে ঈশ্বরের মহত্তর নিগুঢ়তর আনন্দ-খনি প্রাপ্ত হইয়া আজ এই মঙ্গল মহোৎসবে প্রবৃত্ত হওত আনন্দ রবে দিগ বিতান প্রতিধ্বনিত করিতেছে । মনুষ্য আনন্দ-রাজ্যের প্রজা, আনন্দ-ধামের যাত্রী না হইলে, সেই আনন্দের অশেষ উৎসের প্রতি কেন তাহার দৃষ্টি নিপতিত হইবে ? শীত গ্রীষ্ম, বর্ষা-বসন্ত প্রভৃতি ছয় ঋতু, পৰ্য্যায়ক্রমে প্রকৃতির অঙ্গে কেবল নবতর আনন্দ-পরিচ্ছদ প্রদান করিতেছে, তরু লতা সকলকে নবীন পত্রে, নূতন ফুল-ফলে সজ্জিত করিয়া জীব-জগতে কেবল আনন্দপ্রবাহ বিস্তার করিতেছে। আনন্দই স্বষ্টিকৌশলের প্রাণ না হইলে, কেন ইহার চতুদিক হইতে কেবল আনন্দ-প্রভা বিনিগত হইতেছে ? জড় উদ্ভিদ রাজ্য, প্রাকৃতিক নিয়মের একান্ত দাস; সেই মঙ্গলময় আনন্দ-বিধাতার নিতান্ত অনুগত । স্বষ্টির ভূষণ স্বধীন-আত্মা মানবজাতির প্রকৃতি-পদ্ধতি আলোচনা করিয়া দেখ, আনন্দ তাহারদের জড় শরীরের আপাদ মস্তক পর্য্যন্ত অলঙ্ক ত করিয়া রাখিয়াছে। তাহারদের প্রাণন মননক্রিয়াতে কেবল অহৰ্নিশি আনন্দলহরী উথিত হইতেছে । তাহারদের অর্জিত। জ্ঞান-বিজ্ঞান-সিদ্ধান্তে কেবল অদৃষ্টপূর্ব নিগুঢ় আনন্দ-খনি সকল আবিষ্কৃত হইয়া সংসারের আনন্দমাত্রা বৃদ্ধি করিতেছে । সদ্য-ভূমিষ্ঠ শিশু-শরীর অবলোকন কর, তাহার সেই নবীন কমল কলিক-সদৃশ মুখমণ্ডলে হৃদয়ের অব্যক্ত আনন্দব্যঞ্জক হাস্য দেখিতে পাইবে। তাহার ক্রীড়া কৌতুকে এত অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দ বিকীরিত হয়, যে পিতামাতা, ভ্রাতা ভগিনী, আত্মীয় স্বজন— তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ১. কল্প, ১ ভাগ এমন কি দর্শক মাত্রেই তদর্শনে আনন্দ প্রকাশ না করিয়া স্থির থাকিতে পারেন না । জনক-জননী সেই স্নেহের পুত্তলিকা আনন্দের ছবি শিশু-সন্তানকে ক্রোড়ে ধারণ করিয়া গৃহকে উৎসব-ভূমি আনন্দ-ক্ষেত্র করিয়া তোলেন । সাধু সজ্জন-সকল সেই আনন্দ-স্বরূপ পরমেশ্বরকে হৃদয়-আসনে প্রতিষ্ঠিত দেখিয় “এস ব্রহ্মলোকঃ” ইহাকেই ব্রহ্মলোক বলিয়া উপলব্ধি করেন । মনুষ্যের আত্মা তো আনন্দময় অখিলবিধাতারই প্রতিবিম্ব । আনন্দ-স্বরূপই তাহার জনক-জননী, আনন্দই তাহার অন্নপান, শুদ্ধ আনন্দই তাহার অনন্ত জীবনের উপজীবিকা । মনুষ্য, বিপুল বিষয়-বিভব, ধন-সম্পদের মধ্যে অবস্থান করুক, সে শত সহস্ৰ লোকের দ্বারা সম্মানিত ও প্রপূজিত হউক কিন্তু সে আনন্দেরই ভিখারী । কেন না তাহার প্রকৃতি নিরবচ্ছিন্ন আনন্দ-মুলক, তাহার আত্মা অনিন্দের উপাদানেই বিনির্মিত। জড় যেমন স্বজাতীয় পরমাণুর সহিত মিলিতে চায়, পশু পক্ষী যেমন স্বজাতির সঙ্গ-লাভের জন্য ধাবিত হয়, আত্মা তেমনি চির-আনন্দ-স্বরূপ ঈশ্বরের সহবাস-লাভের জন্য উৎসুক হইয় থাকে। সেই আনন্দস্বরূপের গুণব্যাখ্যানেই তাহার আনন্দ, তাহার ধ্যান-ধারণাতেই তাহার বল-বুদ্ধি স্ফৰ্ত্তি পায়, তাহার সহবাস-লাভেই সে দেবত্ব অমরত্ব লাভ করিয়া কৃতাৰ্থ হয় । শিশুর অন্তরে সেই অপরিস্ফুট আনন্দের আদর্শ রহিয়াছে বলিয়াই সে চন্দ্ৰ-সূৰ্য্য, গ্রহ তারা দেখিয়া আনন্দে নৃত্য করে, সে স্বরঞ্জিত হুগন্ধি কুঙ্কম-গুচ্ছ দেখিলে সহাস্য बगान अश अश्शु कबिाच्ने घना श्छ বিস্তার করিয়া থাকে। মনুষ্য আনন্দের डिभाद्रौ दलिग्नाई cन ८कोशांब्र-cयौरान भऊ সর্বত্র বাধা বিস্ত্র অতিক্রম করিয়া আগ্রহের