পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a.s.a দেবতাকে তারাধনা করিতেছি, এই আধোলোকে থাকিয়া তামির ব্রহ্মলোকে গমন করিতেছি, ব্রহ্মকে হৃদয়ে ধারণ করিয়া পূজা করিতেছি।--দেবতাদেরও এ মনোহর দৃশ্ব । ঘিনি এই সম্মুখস্থ উচ্চতুষার-মণ্ডিত ধবল গিরিকে বিদ্যৎ বজ্রঝঞ্জা হইতে রক্ষা করি তেছেন, তিনিই আমারদিগকে সংসার-সমুদ্রের তরঙ্গের মধ্যে তার পথে রক্ষা করিতেছেন। যদিও চতুর্দিকে বিপদ ক্ৰন্দন শোক কলহ তথাপি শোক তাপের মধ্যে তিনি অামারদিগকে রক্ষা করেন । সেই ঈশ্বর সৰ্ব্বদা অামারদের হৃদয়ে রছিয়াছেন, তামরা সেই অন্তর্যামী পুরুষকে হৃদয়ে ধারণ করিয়া পূজা করিতেছি । জ্ঞানের সহিত প্রেমের সহিত ধৰ্ম্মের সঠিত যোগ করিয়া তাচার পূজা করিতেছি । জ্ঞান যখন প্রেমের সহিত যুক্ত হয়, তখনি ধৰ্ম্ম-ফল প্রসূত হুইয় পরস্পরের ভাব বন্ধন আরো দৃঢ় করে । জ্ঞান যখন হৃদয়ের রসে রসাদ্র হয়, তখনি তামর নম্র হৃদয়ে পরমাত্মার প্রতি গমন করি । জ্ঞানে প্রেমে যুক্ত হইয়া শুভকৰ্ম্মকে অবলস্বন করিয়া নম্রভাবে পরমহ্রাস প্রতি গমন করি এবং তহিকে তাপমার পিতামাতা সখীরুপে দেখিতে পাই । এখন তামির এই আত্মাতে আমারদের প্রাণসখাকে দর্শন পাইয়াছি, বসন্ত কালের ন্যায় এ সকলি মধুর বেশ ধারণ করিয়াছে । এই হিমালয় পৰ্ব্বতের উপত্যক হইতে অধিত্যক পর্যান্ত সৰ্ব্বত্র সেই প্রেমরূপের আবির্ভাব দেখিতেছি । এখানে এই ব্রহ্মপরায়ণ সাধুভক্তদিগের প্রেমরঞ্জিত আনন্দ-মূৰ্ত্তি । ইহার চতুর্দিকে শ্বেত-কুটীর-মণ্ডিত জন-কোলাহল-পূর্ণ শ্যামায়মান চা-ক্ষেত্র, তদুপরি পর্বতের স্তরে স্তরে বনস্পতি ও নিবারের শোভা, সকলের উদ্ধে শুভ্রফেন-সদৃশ সূর্ণ কিরণ-রঞ্জিত হাস্যময় রজত-শৃঙ্গ—মকলি সেই আনন্দময়ের তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা २० कछ, * छर्भ আনন্দময় আবির্ভাব । আমরাও বাহিরে সেই আনন্দময়ের আবির্ভাব দেখিয়া, আবার অন্তরে সেই আনন্দময়কে প্রত্যক্ষ দেখিয়া, তার প্রেমানন্দে মগ্ন হইতেছি । তিনি অামারদের যেমন সখা সুহৃদ, তেমনি পিতামাতা । তিনি পিতামাতার ন্যায় প্রতিদিন আমাদের অন্নপান প্রয়োজন সকল বিধান করিতেছেন, এবং তিনি গুরুর ন্যtয় জ্ঞানধৰ্ম্ম প্রেরণ করিয়া তার প্রতি শ্রদ্ধ। ভক্তি আকর্ষণ করিতেছেন । তিনি আমারদিগকে আদেশ করিতেছেন – শরীর মন আত্মাকে পবিত্র করিয়া আমার নিকটে এস, আমি তোমারদের পূজা গ্রহণ করিয়া কৃতার্থ করিব । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং তাজ্ঞতাবাদ সমালোচন । দর্শন অতি প্রাচীন শাস্ত্র । মনুষ্য যখন यांठूलो डूभिर्छ श्झेल, ७व५ छूशिष्ठं कुङ्गेशाझे যখন চক্ষু উন্মীলন করিল, তখনই সে দর্শনশাস্ত্রের প্রথম সূত্র শিখিতে আরম্ভ করিল—শিখিতে আরম্ভ করিল, আমি এক, আর এই যে কি (পৃথ্বী) আমার শরীরে প্রতিহত হইতেছে, ইহা অার এক ; এবং ঐ যে কি (আলোক) আমার চক্ষু ঝলসিতেছে, উহা আর এক (উভয়ত্র আমি ভিন্ন অন্য বুঝিতে হইবে) । এই সত্য লাভে সে যে কোন দার্শনিক জ্ঞান লাভ করিল, ইহা সে জানিল না বটে ; কিন্তু তথাপি তাহার জ্ঞানের শনিকত্ব বিষয়ে কোন সংশয় হইতে পারে না; কারণ, দর্শন মানব মনের প্রকৃতি-বিষয়ি छामनगठेि बाउँौउ षांद्र किछूहे महरु । কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে দর্শন ও মানবের জন্ম সমসাময়িক হইলেও আজি পর্যন্ত মনুষ্যের দর্শন অর্থাৎ জ্ঞানসীমা অবি