পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Չ Տ) তেন না । অথবা সৰ্ব্বশক্তিমান হইয়া তিনি পূর্ণ-মঙ্গল হইলেই বা জগতে অমঙ্গল থাকিত কেন ? অতএব ঈশ্বরকে পূর্ণ-মঙ্গল বলিয়। স্বীকার করিলে, র্তাহাকে সৰ্ব্বশক্তিমান বলা যাইতে পারে না ; কিম্বা তাহাকে সৰ্ব্বশক্তিমান বলিয়া স্বীকার করিলে, তাহার মঙ্গলময়ত্ব অস্বীকার করিতে হয়। আবার তাছার সর্বজ্ঞতার প্রতিও সংশয় প্রদর্শন করা হইয়াছে। জ্ঞানবান লোকের অাপন শক্তির অসাধ্য কোন কার্য্যের অনুষ্ঠান করেন না ; কিন্তু ঈশ্বর যাহা রক্ষা করিতে পারেন না, এমন অনেক পদার্থের স্বজন করিয়া থাকেন । তাহার। অকাল মৃত্যুকে এই উক্তির প্রমাণস্থলে অবতারণ করেন । এই অকাল মৃত্যু প্রাণী ও উদভিদ জগতে প্রচুর রূপে বর্তমান । এই উভয় জগতে যত পদার্থ স্বস্ট হয়, তাহারা বলেন, ঈশ্বর সকলকে রক্ষা করিতে পারেন না । অতএব নিরর্থক কাৰ্য্যকারিত নিবন্ধন ঈশ্বরকে সৰ্ব্বজ্ঞ বলিয়া ও স্বীকার করা যাইতে পারে না । যথার্থ বটে যে, জগতে যত পদার্থ উপজাত হয়, তৎসমুদায় তাহদের নির্দিষ্ট পরিপক্কাবস্থা প্রাপ্তি জন্য সংরক্ষিত হয় না । অধিকাংশ অকালে কাল-কবলিত হয় । কিন্তু এরূপ হয় বলিয়াই কেবল, বিশেষ না জানিয়! শুনিয়া ঈশ্বরের জ্ঞানের প্রতি দোষারোপ করা যার পর নাই ধৃষ্টতর কর্ম । কর্তার মনের অভিপ্রায় না জানিয়া কেবল মাত্র কার্য্য দর্শন করিলেই কি তাহার বুদ্ধিমত্তার সম্পূর্ণ পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া গেল ? অচিন্ত্যস্বরূপ ঈশ্বরের ত কথাই নাই, সামান্য মনুষ্য সম্বন্ধেও আমরা সাহস করিয়া বলিতে পারি না যে, তাহার বুদ্ধি ও জ্ঞানের পরিচয়-পক্ষে তাহার মনের গুঢ় অভিপ্রায় ও কার্য্যের নিয়ম অবগত হওয়া অনাবশ্যক; কেবল মাত্র তাহার কার্য্যদর্শনই যথেষ্ট । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ১• কয়, ১ ভাগ ঈশ্বরের গুঢ় অভিপ্রায় ও কার্য্যের নিয়ম সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান কতটুকু। আমাদের মধ্যে অতিবড় বিদ্বানেরাও স্বীয় অনভিজ্ঞতা মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করিয়াছেন । এমতাবস্থায় প্রতিবাদীদিগের স্পৰ্দ্ধা নিতান্ত অসহনীয় । কে বলিতে পারে ঈশ্বর কোন গুঢ় অভিপ্রায়ে কি কাৰ্য্য করিয়া থাকেন ? ফলতঃ এই অকাল-মৃত্যু-মূলক আপত্তিকে নিতান্ত অনধিকার চর্চা বোধে এই প্রস্তাবে আমরা কেবল অমঙ্গল-মূলক আপত্তির বিচারেই বিশেষ রূপ মনোনিবেশ করিব । এই আপত্তি খণ্ডন করিতে পারিলে পূৰ্ব্বোক্ত আপত্তি দুর্বল ও লঘু বলিয়া প্রতীত হইবে । ংশয়বাদির জগতে অমঙ্গলের সত্তা প্রত্যক্ষ করিয়া, অর্থাৎ জগৎকে অপূর্ণ দেখিয়া ঈশ্বরের পূর্ণত্বের প্রতিবাদ করিয়াছেন তাহার কার্য্য দেখিয়া অনুমান দ্বারা কারণের স্বরূপ অবধারণার্থ সচেষ্ট হইয়াছেন । কিন্তু এরূপ অনুমান-মূলক যুক্তি-প্রণালী কোন অবিদিত কারণের স্বরূপ নির্ণয় সম্বন্ধে কদাচিৎ সঙ্গত হইলেও, প্রত্যক্ষ মূলকারণ ঈশ্বর সম্বন্ধে কদাপি সঙ্গত হয় না । সুতরাং সংশয়বাদীদিগের পক্ষে এরূপ বলা যুক্তিযুক্ত নহে যে, জগৎরূপ কাৰ্য্য অপূর্ণ, অতএব জগৎ কারণও অপূর্ণ। যেহেতু আমরা ঈশ্বরকে পূর্ণস্বরূপ রূপে নিয়ত প্রত্যক্ষ করিতেছি ; আমরা সহজ জ্ঞান দ্বারা তাহার পূর্ণম্বের পরিচয় প্রাপ্ত হইয়াছি। জগৎ অপু হউক বা না হউক, তদ্বারা আभांदमब्र अँहे नश्च खळांएनब्र श्रबाथ श्रेष्ऊ পারে না ; যেহেতু বাহ্য জগতে নহে, আমরা আমাদের আত্মাতেই ঈশ্বরের অনন্তত্বের পরিচয় প্রাপ্ত হইয়াছি । তবে সংশয়বাদির যদি এরূপ প্রত্যক্ষ সত্যেরও পরীক্ষা করিতে ইচ্ছা করেন আমরা বরং তাছাদের প্রবোধার্থ প্রমাণ করিয়া দিতে প্রস্তুত আছি যে, জগৎ