পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2.ゲ বিপান করত এই জগৎকে মঙ্গলময় করিয়া তুলিয়াছে। অমঙ্গল মঙ্গলে পরিণত হওয়াতে ঈশ্বরের অচিন্ত্য মহিয়ার পরিচয় পাপ্ত হওয়া যায় । মঙ্গল ও পূর্ণ দুই পৰ্য্যায় শব্দ বলিতে হইবে । যাহা নিরবচ্ছিন্ন মঙ্গল তাহাই পূর্ণ; যাহা পূর্ণ, তাছাই মঙ্গলময় । সুতরাং ঈশ্বর মঙ্গল স্বরূপ যেহেতু তিনি পূর্ণস্বরূপ। পূর্বে । প্রদর্শিত হইয়াছে, পূর্ণ স্বরূপ ঈশ্বর ভিন্ন অন্য সমস্ত সত্তাই অপূর্ণ। কিন্তু অপূর্ণ অমঙ্গল্যের নামান্তর মাত্র । অতএব অপূর্ণ সন্তায় অমঙ্গলের সমাবেশ অনিবাৰ্য্য। সভার এই ভাবের অন্যথা হইতে পারে না । সুতরাং জগতে অমঙ্গলের সদ্ভাব দেখিয়া ঈশ্বরের অপূর্ণতা সিদ্ধান্ত যে নিতান্ত অপসিদ্ধান্ত তাহাতে আর সন্দেহ নাই। যেহেতু এরূপ অমঙ্গলের সদ্ভাব দ্বারা ঈশ্বরের পূর্ণতার কিছু মাত্র অপচয় দিদ্ধান্ত হইতে পারে না ; বরং । পূর্ণতার নিয়মই এই ৷ ৩ । মঙ্গল অমঙ্গল কাহার সম্বন্ধে সীর্থক ? অচেতন পদার্থের অমঙ্গলই বা কি ন্যেরই নিমিত্ত। মনুষ্য এই ধরাধামে সৰ্ব্বজীব-শ্রেষ্ঠ, অতএব মঙ্গলামঙ্গল মনুষ্যের মিমিত্তই সার্থক । মনুষ্য চেতনাবান ক্রিয়াশীল জীব । আত্ম-ক্রিয়া-বোধ-সম্পন্ন ক্রিয়াশীলতাই (Conscious energy) মনুষ্যের জীবন । এই ক্রিয়াশীলতার উন্নতিতে মানব জীবনের উন্নতি। কীটপু হইতে মনুষ্য, এক মনুষ্য হইতে অন্য মনুষ্য যে উন্নত এই ক্রিয়াশীলতার উন্নতিই তাহার কারণ। অর্থাৎ এই সচেতন ক্রিয়াশীলতা,এই জীবন্ত তেজ;এই অক্সিক্রিয়াবোধসম্পন্ন শক্তির তারতম্যেই মনুষ্যের উন্নতিৰু তারতম্য নির্ণীত হয়। কিন্তু মনুT্য একেবারে পূর্ণ প্রভাব লইয়া তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ולש גזול 4" अदनेौश७८ल अदडी॰f झग्र माझे । छेन्नउिद्र উচ্চতর সোপানে উন্নীত হইবার জন্য তাহাকে নিয়ত তেজঃসঞ্চয় করিতে হয় । পরস্তু প্রতিকূলতা ব্যতীত তেজের উপচয় হয় না, প্রত্যুত অপচয়ই হইয়া থাকে । অতএব এই তেজকে এই ক্রিয়াশীলতাকে প্রদীপ্ত রাখিবার জন্য, অন্য কথায় মনুষাকে জীবিত রাখিবার জন্য, প্রতিকূলতা একান্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিকূলতাই অমঙ্গল অতএব মনুষ্য জীবনে অমঙ্গল একান্ত প্রয়োজনীয়। আবার প্রয়োজনীয় যাহা তাহাই মঙ্গলের নিমিত্ত। সুতরাং অমঙ্গল মঙ্গলেরক্ট নিমিত্ত। ধন্য ঈশ্বর ! তোমার কীৰ্ত্তি তোমাকেই সাজে । এক্ষণে প্রতিবাদিরা একথা বলিতে পারেন না যে, জগতের ভাব এরূপ কেন হইল যে উহাতে অমঙ্গল প্রয়োজনীয় হয় । যে হেতু, ঈশ্বর পূর্ণস্বরূপ অতএব অন্য সমস্ত পদার্থকে অপূর্ণ হইতেই হইবে, এই সত্য পুর্ণভাবের অবিচ্ছেদা সতা । ইহা সত্যস্বরূপ ঈশ্বরের ভাব, ইঙ্গার অন্যথা নাই; মঙ্গলই বা কি? অতএব মঙ্গল অমঙ্গল চৈত- কেন না ঈশ্বরের স্বভাব অনতিক্রম্য । 2তু্যত এই ভাবের অনুগত হইয়াই জগৎ স্বস্ট হইয়াছে । জগতের অস্তিত্ব এই সত্যের অনুগত । এতদ্বারা জগৎ বরং লাভবান হইয়াছে। অভাব হইতে উত্থিত হইয়। ভাবে বিরাজ করিতেছে। অতএব জগতে অমঙ্গল প্রয়োজনীয় কেম হইল, এই প্রশ্নের সহজ উত্তর এই যে, জগৎ পূর্ণস্বভাব মঙ্গলময়ের সৃষ্ট বলিয়াই, জগতে অমঙ্গল প্রয়োজনীয় হইয়াছে ; জগর্তের লাভের জন্যই এরূপ হইয়াছে। এণ্ডাবৎ যাহা বলা হইল এস্থলে তাঁহাঁর পুনরুল্লেখ করা আবশ্যক হইতেছে। বলা হইয়াছে যে জগতে দুই প্রকার পদার্থের বিদ্যমানতা হেতুক আমাদের জ্ঞানও দুই