পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\S)&) রই আছে, কৰ্ম্ম না করিলে পাতিত্য হয়। সন্ধ্যোপাসনা প্রভূতি বেদবোধিত ব্রাহ্মণোচিত নিত্য কৰ্ম্ম অবশ্য কৰ্ত্তব্য । মতু বলিয়া গিয়াছেন । “জীবন কৰ্ম্মপরিত্যাগং যঃ করোতি নরাধমঃ স মূঢ়ো নরকং যাতি যাবদাভূতসংপ্লবং । ” যে পাপিষ্ঠ জীবদ্দশায় কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করে, সে প্রলয়কাল পর্য্যন্ত নরকে বাস করে । তোমরা স্বকৰ্ম্মভ্রষ্ট, সুতরাং তোমাদিগের ব্রাহ্মণ্যহানি হইয়াছে । আর তোমরা যে বলিয়াছ “আমরা জ্ঞানমার্গবৰ্ত্তি,” তাহাতে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা l| তোমাদিগের অধিকার নাই। যদি অধি- । কার থাকে তাহা হইলে সং ও অস । তের লক্ষণ, ব্ৰহ্মনাড়ীর ভেদ এবং ষটুচক্রমাগ প্রদর্শন কর । ইহা শুনিয়া বিষ্ণুশৰ্ম্ম বলিল “যতিনাথ ! কৰ্ম্ম এবং জ্ঞান ত্রিকাল অনন্তদেবের চরণ দর্শন বাতীত আর কিছুই নন্থে।” শঙ্করাচার্য জিজ্ঞাসা করিলেন কতদিন তোমরা এরূপ রহিয়াছ। বিষ্ণুশৰ্ম্ম উত্তর করিলেন, সপ্ত পুরুষ। তখন শঙ্করাচার্য বলিলেন “ রে ব্রাত্য, সকল ধৰ্ম্মের বহিষ্কৃত, দূর হও, তোমার সংসর্গে আমরাও দৃষিত হইব ।” তখন বিষ্ণুশৰ্ম্ম করুণস্বরে বলিল “ আমাদিগের সকল অপরাধ ক্ষমা করুন” এই বলিয়। দওবং প্রণাম পূর্বক কৃতাঞ্জলি হইরা স্থাণুর বিষ্ণুশৰ্ম্মাকে শরণাগত দেখিয় তাহাকে দুমার্গ হইতে রক্ষা করিতে হইবে এই বলিয়া | শঙ্করাচার্যা হস্তীমলক প্রভৃতি স্বশিষ্যদিগের নিকটে তাহকে অপর্ণ করিয়া বলিলেন, শিষ্যগণ। তোমরা ইহার এবং ইহার দলের প্রায়শ্চিত্তবিধান কর। অনন্তর তাহাদিগের প্রায়শ্চিত্ত সম্পন্ন হইলে শঙ্করাচাৰ্য্য তাঁহাদিগকে যদুগদেশ প্রদান পূর্বক অদ্বৈত মতাবলম্বী করলেন । তদনন্তর ব্রহ্মগুপ্ত, আমরা জানি যে । ১• কল্প, ১ ভাগ কৃষ্ণদাস, কমলাভক্ত প্রভৃতি কৰ্ম্মশীল ভক্তগণ শঙ্করাচার্য্যের শরণাগত হইয় অদ্বৈতমত গ্রহণ করিল। এবশুপ্রকারে ভক্তমত নিরাকৃত হইলে ভাগবতমতাবলম্বী বিপ্রদেব নামে জনৈক ব্যক্তি আচার্য্যের সমীপে উপস্থিত হইল। র্তাহার মত এই যে “সর্ববেদেষু যৎপুণ্যং সৰ্ব্বতীৰ্থেষু যৎফলং । তৎ ফলং সমবাপ্নোতিস্তত্বা দেবং জনাৰ্দ্দনং | ” সৰ্ব্ববেদ পাঠ করিয়া যে পুণ্য লাভ হয় এবং সৰ্ব্বতীর্থে ভ্রমণ করিলে যে ফল লাভ হয়, জনাৰ্দন দেবের স্তুতি করিলে সেই ফল প্রাপ্ত হওয়া যায় । কলিযুগে কেশবের নাম সংকীৰ্ত্তন করিলেই মুক্তি করস্থ হয় । সুতরাং নারায়ণভক্তি বশতঃ উদ্ধপুণ্ড, শঙ্খ-চক্ৰগদাপদ্ম প্রভূতি চিন্তু ধারণ পূর্বক গলদেশে তুলসী মালা বন্ধন পূর্বক সৰ্ব্বক্ষণ উচ্চৈঃস্বরে নবায়ণের স্তব অবশ্য কর্তব্য। বিপ্রদের এই রূপে স্বমত ব্যক্ত করলে, শঙ্করাচার্য উত্তপ পরিলেন “হে বিপ্রদেব ! তোমার মত যথার্থ নহে যেহেতু তদ্বিষয়ে বিরোধ এবং চক্রার্ক র অঙ্কন বিষয়ে নিন্দ দুষ্ট হয় । স্থতরাং পাষণ্ডবুদ্ধ পরিত্যাগ করিয়া স্ব কর্তব্য নিত্যকৰ্ম্ম সকল যথাশক্তি সম্পাদন পূর্বক তৎফল ভগবানকে সমর্পণ করিতে শিক্ষা কর এবং শুদ্ধঅদ্বৈতবাদী সদগুরুর নায় নিশ্চলভাবে দণ্ডায়মান হইয়া রহিল । । | { s | আশ্রয় গ্রহণ পূর্বক তদুপদেশানুসারে কৰ্ম্ম বন্ধন বিনষ্ট করিয়া মুক্তি লাভ করিতে চেষ্ট। কর। আর তুমি যে বলিয়াছ স্তুতি মাত্রেই মুক্তি হয় তাহ অত্যন্ত অসঙ্গত, যেহেতু স্তুতি বাক্য, কিন্তু ব্ৰহ্ম বাক্যের অগোচর ও অতীত ; সুতরাং জ্ঞান ব্যতীত মুক্তির আর অন্য কোন উপায় নাই। আচার্য্যের এই উপদেশ শ্রবণানন্তর বিপ্রদেব অভিবাদন পূর্বক তাহাকে বলিল, “স্বামিন শত পুণ্য বলে আপনার পাদদর্শন ঘটিয়াছে, এক্ষণে