পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (দশম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N)br আর তোমরা নিত্যনৈমিত্তিক কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়াছ এবং কৰ্ম্মভ্রষ্ট হইয়া মুক্তিলাভের অনুপযুক্ত হইয়াছ।” এইরূপে বৈষ্ণব মতের দেী বল। প্রদর্শিত হুইলে মাধব নামে এক জন বেঞ্চব বলিল “স্বামন ! পাঞ্চরাত্র শাস্ত্রে বলে দ্বিভূজে তপ্ত শস্থ ও চক্র ধারণ করিলে পবমলোকপ্রাপ্তি হয় । বৈষ্ণব মত অপ্রমাণ হইলে সুতরাং পাঞ্চরাত্র শাস্ত্র অপ্রমাণ হয় । অতএব বৈসংব মত অবশ্য অঙ্গীকার করিতে হুইবে । * আচৰ্য্য মাধবকে বলিলেন বেদবিরুদ্ধ বলিয়৷ তোমাদিগের শস্ত্রোক্ত তপ্ত শঙ্খ চক্ৰধারণ তযুক্ত, কারণ "অতীন্দ্রিয়ার্থবিজ্ঞানে প্রমাণং শ্রতিরেব হি । শ্রাতুষ্ট চরিতো গ্রাহ্য। হ্যাগমানাং প্রসজ্যত | ” অতঃপর মারকল্পিত চক্রাদিচিছু পরিত্যাগ পূর্বক শুদ্ধ অদ্বৈতবৃত্তি দ্বারা জীব ও ব্রহ্মের ঐক্যানুসন্ধান করিয়া মুক্তিলাভ কর।” অচির্য্যের এই সছুপদেশ শ্রবণুনন্তর তাহারা সৎ পথগামি হইয় অদ্বৈতমত অবলম্বন করিল। তদনন্তর বৈখানসমতাচারী ব্যাস নামে জনৈক ব্যক্তি শঙ্করাচার্য্যের সমীপে আগমন নাম ব্যাসদাস ৷ fন : নেত: ব্ৰহ্মও আমার পক্ষ নিরসন কf:তে পারেন না । আমার মতে নারায়ণ সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট, সৰ্ব্বোত্তম এবং শুদ্ধ চৈতন্যস্বরূপ । যাহারা নারায়ণের ভক্ত উপাসক তাহাদিগের তদন্ধধারণ অতীব কর্তব্য ; যে হেত্ব শঙ্খচক্ৰাদি দ্বারা শরীর পবিত্র হয় এবং বিষ্ণুর প্রতি ভক্তি প্রদর্শিত হয় । ” শঙ্করাচার্ণ বনিলেন “হে ব্যাদাস! নারায়ণ পরব্রহ্ম, সব দেবময়, সর্লোত্তম সত্য । তুমি নারায়ণের ভক্ত উপাসক, অতএব নারায়ণের প্রতি সাধনের জন্য নিত্যকৰ্ম্ম কর, ব্রাহ্মণদিগের ধৰ্ম্ম প্রধান কর্তব্য । কিন্তু তপ্ত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা রয় তাহাকে বলিল “স্বামিন আপনি । প্রভৃতি কে নিরস্ত করিয়াছেন । অামার আমি বৈখানসমতবাদি- , זיוס ג דס "ג চক্রাদি ধারণ কখন করিও না, কারণ তৎ সমস্ত অপ্রমাণ এবং অমূলক।” ব্যাসদাস বলিল “স্বামিন্‌ ! আমাদিগের আগমাচার প্রমাণ ; পূৰ্ব্বকালে পরমযোগী দত্তাত্রেয় স্ব দেহে শঙ্খচক্রাদি ধারণ করিয়াছিলেন, অতএব মহাব্যক্তিদিগের পরিগৃহীত পথ অবশ্য স্বীকৰ্ত্তব্য। আর পুরাণে যে যে স্থলে বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের কথা আছে সেই সেই স্থলে চক্রাদ্যঙ্কনের উল্লেখ দৃষ্ট হয়, ভগবচ্চিহ্ন না থাকিলে বৈষ্ণবত্বের হানি হয়, অতএব চক্রাদ্যঙ্কনের অঙ্গীকার সিদ্ধ হইল । সুতরাং লোকে ভগবচ্চিত্ন অবশ্য ধারণ করিবে । ” ব্যাসদাস এই কথা বলিলে আচাৰ্য্য উত্তর করিলেন “দত্তাত্ৰেয় স্বশরীর মুদ্রাঙ্কিত করিয়াছিলেন একথা তুমি কোথায় শুনি য়াছ, তিনি পরমযোগী, তাহার মুদ্রাঙ্কনের কি প্রয়োজন ছিল ? এক্ষণে চক্রাঙ্কন অবশ্য কৰ্ত্তব্য এই মন্দ বুদ্ধি পরিত্যাগ করিয়া বিগতচিহ্ন হষ্টয় শুখী হও । পুরাণে ভগবদ্ভ দ্ভ দিগের ভগবচ্চিহ্ন ধারণ যাহা শুনিয়াছ তাহা ভ্রান্তিমূলক । প্ৰহলাদের কে চক্রাঙ্কন করিয়াছিল ? গজেন্দ্র, বিভীষণ, ধ্ৰুব প্রভূতিকে লিঙ্গচিহ্নাদি ধারণ কে করাইয়াছিল ? অতএব মৃঢ়বুদ্ধি পরিত্যাগ কর এবং লিঙ্গাদি পরিহার পূর্বক অহংভাবে আসক্তচিত্ত হও । অহংভাব দ্বারা ভেদা দিপাপ বিদূরিত হইলে মোক্ষ প্রাপ্তি হইবে।” তদনন্তর ব্যাসদাস বিনীতভাবে নিবেদন করিল “হে যতিবর ! কৃপা পূর্বক আমাকে অদ্বৈত মত শিক্ষা দান করুন।” শঙ্করাচাৰ্য্যও তাহাকে কৃতাৰ্থ করিলেন। বৈখানসমতাবলম্বিগণ সকলে অদ্বৈত মত গ্রহণ করিল। পঞ্চবিধ বৈষ্ণব সম্প্রদায় পরাজিত হইলে পর কৰ্ম্মহীন ষষ্ঠতম সম্প্রদায়ের অগ্রণী নামতীর্থ নামে জনৈক বৈষ্ণব শঙ্করাচার্য্যের সকাশে